সোরা মায়াজম – শারীরিক অবয়ব সোরা মায়াজমের। বা ফিজিক্যাল কনষ্টিটিউশন (Physical constitution) শারীরিক অবয়ব: সোরা মায়াজমের। – সোরার ফিজিক্যাল কনষ্টিটিউশন যদি আমরা জানতে চাই

সোরা মায়াজম চেনার উপায়
এ প্রশ্নটির উত্তর পেলেই তার ফিজিক্যাল কনষ্টিটিউশন বা শারীরিক অবয়ব সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে এবং তাকে ফিজিক্যাল কনষ্টিটিউশনের মাধ্যমে অন্য দুটি ক্রনিক রোগ থেকে আলাদা করা যাবে।
সোরা ভীতিপূর্ণ, আশঙ্কাপরায়ন, স্বার্থপর, অপরিচ্ছন্ন, চঞ্চল ও পরিবর্তনশীল। এর উদ্ভেদগুলি রসশূন্য ও শুষ্ক। চুলগুলি লাবণ্যহীন, মাথায় মরাসমাস, মস্তকে ঘর্মের অভাব, জ্বালাপূর্ণ ও যন্ত্রণাযুক্ত নানা প্রকার চর্মরোগ মুক্ত বাতাসে ও সন্ধায় উপশম। চিরুণী না ভিজিয়ে চুল আঁচড়ানো কষ্টকর।
মাথা থেকে চুল উঠে। ঠোঁট দুটি নীলাভ, আরক্তিম, শুষ্ক এবং জ্বর অবস্থায় সোরার ঠোঁট দুটি উজ্জ্বল লালবর্ণ ধারণ করে। মাঢ়িতে, জিহ্বায় ও দাঁতের গোড়ায় ময়লা জমে। উদর পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও ক্ষুধার অনুভূতি, আহারের পরই খাওয়ার ইচ্ছে যেন ক্ষুধার নিবৃত্তি কোন প্রকারেই হয়না।
উদরে নানা প্রকার শূন্যতাবোধ যা দ্বিপ্রহরে ও রাত্রিকালে প্রবলাবে দেখা দেয়। তার যাবতীয় রোগ লক্ষণ, বিশেষ করে উদর সংক্রান্ত, আহারের পরেই বৃদ্ধি পায়। সোরার চামড়া অপরিচ্ছন্ন, শুষ্ক, খসখসে, উদ্ভেদপূর্ণ এমনকি অনেক সময় উদ্ভেদ শুন্য। সোরা মানসিকভাবে অত্যন্ত চঞ্চল।

তার মনোস্তরের এই চঞ্চলতা বা অস্থিরতার সহিত দেহস্তরে থাকে উদ্ভেদযুক্ত কিংবা উদ্ভেদবিহীন চুলকানি। যে কোন প্রকার চর্মরোগ চাপা দেয়ার ফলস্বরূপ সর্দি লক্ষণের আবির্ভাব। হাত ও পায়ের তলে জ্বালা, মাথার তালু গরম।
এছাড়া হস্তপদ প্রান্তদেশ সমূহে উত্তাপের অনুভূতির ন্যায় মুুখমন্ডলটিতে ও উত্তাপ অনুভূত হয়। অধিকন্তু সোরিক ময়েদের প্রথম ঋতু আরম্ভের পূর্বে মুখমন্ডলটিতে উত্তাপের অনুভূতি বিকশিত হয়।
স্নানে অনিচ্ছা, শৃঙ্খলাবোধের অভাব, পরিচ্ছন্নতায় অনিচ্ছা,শ্রমমিুখতা তার বৈশিষ্ট্য। জিহ্বা হলদে বর্ণের ময়লাযুক্ত। সোরার নিম্নোক্ত লক্ষণগুলি যেগুলিকে হোমিওপ্যাথি মতে রোগের চিহ্ন (Signs) বা বস্তুগত লক্ষণ (Objective symptoms) অথবা রোগের ফল এবং অ্যালোপ্যাথি মতে রোগ বলা হয়।
Read More:স্ত্রীরোগ চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি মতে
সেগুলি যখন রোগীর মধ্যে পাওয়া যাবে তখন আমরা বুঝব যে,রোগীর মধ্যে সোরা আছে কারণ সোরা ছাড়া এ চিহ্নগুলি রোগীর মধ্যে আসতে পারেনা।
সোরা মায়াজম এর রোগ
সেই চিহ্নগুলি হচ্ছে মাথা ঘোরা, উদরাময়, পেট ফাঁপা, অম্ল, অজীর্ণ, উদ্ভেদযুক্ত বা উদ্ভেদহীন চুলকানি, চোখ ও নাক হতে কেবলই জলস্রাব ও তথায় জ্বালা,প্রদাহ ও জ্বালাযুক্ত স্বরভঙ্গ, মেরুমজ্জা ও মস্তিষ্কের অস্থায়ী প্রদাহ ও জ্বালা, স্তন প্রদাহ, হৃৎযন্ত্রের প্রদাহ, বিসুচিকা, কোষ্ঠবদ্ধতা, নানা যন্ত্রের শুধুু কার্যগত বিশৃঙ্খলা,শোথ ইত্যাদি।
সোরিক অবস্থায় রোগীর উদ্বেগ, এডিএইচডি (অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিজিজ), অনৈচ্ছিক প্রস্রাব (এনুরেসিস), সিলেক্টিভ মিউটিজম এবং আরও অনেক কিছুতে ভুগে থাকেন।
মায়াজমের সম্পর্কে গভীরভাবে বোঝার জন্য, জে এইচ অ্যালেনের বইটি পড়ুন ‘ক্রনিক মিয়াসমস অ্যান্ড সিউডোপসোরা’
Resources: https://homeotreatment.com/
5 thoughts on “সোরা মায়াজম[2025]”
Comments are closed.