হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি(২০২৫) নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক মাত্রা ও শক্তি নির্বাচনের মাধ্যমে রোগীর লক্ষণগুলি আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে উপশম করা সম্ভব হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
- রোগীর লক্ষণ: রোগীর লক্ষণগুলি যত তীব্র হবে, ঔষধের মাত্রা ও শক্তি তত বেশি হবে।
- রোগীর ব্যক্তিত্ব ও মানসিক অবস্থা: রোগীর ব্যক্তিত্ব ও মানসিক অবস্থা ঔষধ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রোগীর রোগের ইতিহাস: রোগীর রোগের ইতিহাসও ঔষধ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ।
- রোগীর শারীরিক অবস্থা: রোগীর শারীরিক অবস্থাও ঔষধ নির্বাচনে বিবেচনা করা হয়।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি নির্বাচনে রোগী দেখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু টিপস দেওয়া হলো- অনুচ্ছেদ (২৭২-২৮৩) তে।
Read More:হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ
ঔষধের মাত্রা ও শক্তি নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন ডাক্তার হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিন এর ষষ্ঠ সংস্করণে। ঔষধ কিরূপে প্রয়োগ করলে রোগীর কোনরূপ ক্ষতি সাধন না করে দ্রুত, নিরাপদ্ স্থায়ীভাবে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে এবং সহজ পথে আরোগ্য সম্পন্ন করা যায়।

সে ব্যাপারে নিম্নে সুচি গুলো দেওয়া হলো-
আমরা যারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত হোমিওপ্যাথিক জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির উপর যখন যা কিছুই আমরা শিক্ষা করি না কেন সে ব্যাপারে হ্যানিম্যান কি লিখে গেছেন,সেটাই আগে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা এবং সে অনুসারেই কাজ করা।
অধ্যায়: ২৯
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি নির্বাচন সম্পর্কে হ্যানিম্যান যা বলেছেন:
- একশত বড়িতে এক গ্রেন হয় এমন আকৃতির ঔষধসিক্ত একটি শুষ্ক বড়িই এক মাত্রা:(অনুচ্ছেদ: ২৭২)
- ঔষধের বড়িগুলো যেভাবে সংরক্ষণ করলে গুণাগুণ স্থায়ী হয়: পাদটীকা : ১৫৮ [অনুচ্ছেদ : ২৭২]
- রোগীকে এক সময়ে একটিমাত্র ঔষধই প্রয়োগ করতে হবে: (অনুচ্ছেদ: ২৭৩)
- অমিশ্রিত ঔষধি দ্রব্য সদৃশ পদ্ধতির চিকিৎসকগণ যেভাবে পেয়ে থাকেন: পাদটীকা: ১৫৯[অনুচ্ছেদ : ২৭৩]
- সর্ব প্রকার সেক, ইনজেকশন ও মলম পরিত্যাগ করতে হবে: (অনুচ্ছেদ: ২৭৪)
- বিচক্ষণ সদৃশ চিকিৎসকগণ ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে যা করেন: পাদটীকা : ১৬০[অনুচ্ছেদ : ২৭৪]
- রোগীর আরোগ্য শুধুমাত্র সদৃশ ঔষধ নির্বাচনের উপরই নির্ভর করে না সেই সঙ্গে মাত্রার ক্ষুদ্রতার উপরও নির্ভর করে:(অনুচ্ছেদ: ২৭৫)
- ঔষধ যদি সদৃশ হয় তাহলে মাত্রা ও শক্তি যত বেশী হয় রোগীর ক্ষতিও তত বেশী হয়:(অনুচ্ছেদ: ২৭৬)
- হ্যানিম্যান প্রথম দিকে ঔষধের যে মাত্রা ব্যবহার করতেন: পাদটীকা : ১৬১[অনুচ্ছেদ : ২৭৬]
- উপদংশের বিরুদ্ধে বিসদৃশ পদ্ধতির পাদঘটিত ঔষধের বৃহৎ মাত্রার ক্রমাগত ব্যবহারে যা ঘটে: পাদটীকা – ১৬২[অনুচ্ছেদ : ২৭৬]
- ঔষধ যথাযথভাবে সদৃশ হলে তা যত বেশী ক্ষুদ্র হয় তত বেশী উপকারী হয়:(অনুচ্ছেদ: ২৭৭)
- সর্বোত্তম আরোগ্যের জন্য ঔষধের সবচেয়ে ক্ষুদ্র মাত্রা কোনটি?(অনুচ্ছেদ: ২৭৮)
- ঔষধশক্তি সবসময়ই রোগশক্তি থেকে অধিকতর শক্তিশালী:(অনুচ্ছেদ: ২৭৯)
আরোগ্য কখন সম্পন্ন হয় তা বুঝার উপায়
(অনুচ্ছেদ: ২৮০)
আরোগ্য পরিপূর্ণভাবে সংঘটিত হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য ঔষধ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে: (অনুচ্ছেদ: ২৮১)
ঔষধ প্রয়োগের প্রথম মাত্রাতেই যদি রোগের সদৃশ বৃদ্ধি হয় তাহলে মাত্রা যে অত্যন্ত বৃহৎ হয়েছে তা তারই নিশ্চিত নিদর্শন: (অনুচ্ছেদ: ২৮২)
কিন্তু তিনটি মায়াজম বাহ্যিকভাবে ত্বকে প্রকাশিত থাকলে ঔষধের বৃহৎ মাত্রা অত্যন্ত উচ্চ হতে উচ্চতর শক্তিতে ঘনঘন প্রয়োগ করতে হবে: পাদটীকা :১৬৩ [অনুচ্ছেদ : ২৮২]
প্রতিটি চিকিৎসকেরই উচিত হ্যানিম্যান কর্তৃক নির্দেশিত ক্ষুদ্র মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগ করা: (অনুচ্ছেদ: ২৮৩)
Resources:
4 thoughts on “হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি(২০২৫)”
Comments are closed.