হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি? চিকিৎসক একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল পেশা। চিকিৎসকদের করণীয়গুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রোগীদের সাথে যোগাযোগ। চিকিৎসকদের রোগীদের সাথে তাদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি নিয়ে খোলাখুলি এবং তথ্যপূর্ণভাবে কথা বলা উচিত।

তাদের রোগীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত এবং তাদের উদ্বেগগুলি সমাধান করার জন্য কাজ করা উচিত। ১৫৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশনানুসারে রোগীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে তার লক্ষণসমষ্টি তৈরী করার পর চিকিৎসকের করণীয়: এ প্রসঙ্গে হ্যানিম্যান ১০৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলেন –

‘When the totality of the symptoms that specially mark and distinguish the case of disease or, in other words, when the picture of the disease, whatever be its kind, is once accurately sketched, the most difficult part of the task is accomplished.

The physician has then the picture of the disease, especially if it be a chronic one, always before him to guide him in his treatment; he can investigate it in all its parts and can pick out the characteristic symptoms,

in order to oppose to these, that is to say, to the whole malady itself, a very similar artificial morbific force, in the shape of a homoeopathically chosen medicinal substance, selected from the lists of symptoms of all the medicines whose pure effects have been ascertained.

And when, during the treatment, he wishes to ascertain what has been the effect of the medicine, and whatchange has taken place in the patient’s state,

at this fresh examination of the patient he only needs to strike out of the list of the symptoms noted down at the first visit those that have become ameliorated, to markwhat still remain, and add any new symptoms that may have supervened.’

কিভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রোগের চিত্রটি অঙ্কিত করবেন?

অর্থাৎ রোগ যাই হোক না কেন যখন তার বিশিষ্ট ও পরিচায়ক লক্ষণগুলো একবার জানা যায় বা রোগের চিত্রটি অঙ্কিত হয়ে যায় তখন কাজের সর্বাপেক্ষা কঠিন অংশটি শেষ হয় চিকিৎসক তখন চিকিৎসা কার্য পরিচালনার জন্য রোগীর রোগের চিত্রটি, বিশেষভাবে রোগটি যদি ক্রনিক হয়, তাহলে তা তাঁর সম্মুখে সর্বদা তাঁর পথ নির্দেশক হিসেবে পান।

       Read More:চিকিৎসকের দায়িত্ব অর্গানন অব মেডিসিন

এখন, তিনি এর সমস্ত দিক পরীক্ষা করে তা থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণগুলো নির্বাচন করে বিশুদ্ধভাবে পরীক্ষিত ঔষধগুলো থেকে সদৃশভাবে একটি ঔষধ প্রয়োগ করতে পারেন এবং চিকিৎসা চলাকালে যখন তিনি জানতে চান ঔষধটা দ্বারা রোগীর কতটা উপকার এবং অবস্থার কি কি পরিবর্তন হয়েছে।

তখন তিনি তাকে প্রথম দেখে যে লক্ষণসমষ্টি তৈরী করেছিলেন সেখান থেকে যে যে লক্ষণ ধ্বংস হয়েছে সে সে লক্ষণ কেটে দিবেন, অবশিষ্ট লক্ষণগুলি চিহ্নিত করবেন এবং যদি নূতন কোন লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে তবে তা যোগ করে নিবেন।

এখানে যা ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন তা হল, রোগীর রোগের প্রকার যাই হোক না কেন, যখন তার বৈশিষ্টপূর্ণ লক্ষণগুলো একবার লিখিত বা চিত্রিত করা হলো তখন চিকিৎসকের সবচেয়ে কঠিন কাজটি সম্পন্ন হলো। অন্য কথায়, রোগ ক্রনিক বা তরুণ যে প্রকারেরই হোক, তার পরিচায়ক লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে তার একটি প্রতিচ্ছবি অঙ্কন করতে পারলেই চিকিৎসকের কাজের সর্বাপেক্ষা কঠিন অংশটি শেষ হলো।

কারণ চিকিৎসাকার্যে অগ্রসর হতে হলে এ চিত্রটিই হবে তাঁর পথ প্রদর্শক। অর্থাৎ ঔষধ নির্বাচনে সহায়তা করবে। লক্ষণগুলো লিখে নেয়ার পর চিকিৎসক রোগের সকল অংশ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং পরিচায়ক লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে তাদের সমষ্টির মাধ্যমে সদৃশ ঔষধটি নির্বাচন করতে পারেন।

কিভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বুঝবেন ঔষধটা রোগীর কতটা উপকার হয়েছে?

ঔষধ প্রয়োগের পর তাতে কি উপকার হলো তা দেখতে হলে তিনি যে লক্ষণগুলো প্রথমে লিখে নিয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে যেগুলো ঔষধ সেবনের পর অপসারিত হয়েছে সেগুলো কেটে দিবেন। যেগুলো এখনও বর্তমান আছে সেগুলো চিহ্নিত করবেন এবং নূতন কোন লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকলে সেগুলোকে অবশিষ্ট লক্ষণসমষ্টির সাথে যোগ করে নিবেন।

হ্যানিম্যান বলেন যে, এভাবে সদৃশ লক্ষণের ভিত্তিতে রোগীকে ঔষধ প্রয়োগ করে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী যে লক্ষণগুলো নিয়ে এসেছিলো সেগুলো মৃদুভাবে পুনরায় দেখা না দেয়।(২৮০ নম্বর অনুচ্ছেদে)

রোগীর লক্ষণের এই মৃদু প্রত্যাবর্তন দেখে বুঝতে হবে যে, রোগী যে রোগ নিয়ে এসেছিল তা আরোগ্য হয়েছে কিন্তু সে সামান্য ঔষধি রোগে ভুগছে এবং এখন ঔষধ বন্ধ রাখলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সে সদৃশ বৃদ্ধি থেকে মুক্ত হবে এবং পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করবে। এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে,

একটি রোগচিত্রে বা ঔষধচিত্রে কমপক্ষে কয়টি লক্ষণ থাকা উচিত?

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি

এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই যা বলতে হয় তা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ রোগে এবং বিশেষ করে ক্রনিক রোগে ঔষধ নির্বাচনকালে রোগীর ধাতুগত অবস্থা সহযোগে ঔষধ নির্বাচন করতে হয় এবং এর সাথে একাধিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণের সমষ্টির প্রয়োজন হয়। রোগীলিপি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ১৫৩ নম্বর অনুচ্ছেদের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন।

রোগীর কেইস রেকর্ড অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ কি এবং সেগুলোর সমষ্টির মাধ্যমে কিভাবে একটি রোগীর বা একটি ঔষধের লক্ষণসমষ্টি তৈরী হয় তা প্য্যাকটিক্যালি বোঝা অধিকতর সহজ হয়।

আমরা জানি, যে কোন বিষয়েই হোক না কেন পারদর্শি হতে হলে একদিকে যেমন তাত্ত্বিক (Theoretical) অন্যদিকে তেমনি ব্যবহারিক(Practical) জ্ঞান প্রয়োজন হয় কাজেই কিছু কেইস অ্যানালাইসিস এখানে উপস্থাপন করা দরকার। তবে তার আগে, আমাদের অর্গাননের 11 অনুচ্ছেদটি বুঝতে হবে। রোগী যদি চিকিৎসকের কাছে এমন কোন লক্ষণ নিয়ে আসে যেমন-

‘The patient thinks his legs are cut off and that he is walking on his knees.’

রোগীর মনে হচ্ছে যে, তার পাগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে এবং সে তার হাঁটুর উপর ভর দিয়ে হাঁটছে, যা ম্যাটিরিয়া মেডিকার কোন ঔধেই লিখিত নেই বা পাওয়া যাচ্ছে না সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক ঐ রোগীর ঔষধ কিভাবে নির্বাচন করবেন?এ প্রশ্নের উত্তর আমরা অর্গাননের ১৩৬নম্বর অনুচ্ছেদে পাই যেখানে হ্যানিম্যান বলেন-

Although, as has been said, a medicine, on being proved on healthy subjects cannot develop in one person all the alterations of health it is capable of causing, but can only do this when given to many different individuals, varying in their corporeal and mental constitution,

yet the tendency to excite all these symptoms in every human being exists in it (§ 117), according to an eternal and immutable law of nature, by virtue of which all its effects, even those that are but rarely developed in the healthy person,

are brought into operation in the case of every individual if administered to him when he is in a morbid state presenting similar symptoms, it then, even in the smallest dose,  being homoeopathically selected,

silently produces in the patient an artificial state closely resembling the natural disease, which rapidly and+ permanently (homoeopathically) frees and cures him of his original malady.’

অর্থ হচ্ছে,যদিও, যেমন বলা হয়েছে, একটি ওষুধ, স্বাস্থ্যকর বিষয়ের উপর প্রমাণিত হওয়ার কারণে একজন ব্যক্তির মধ্যে স্বাস্থ্যের সমস্ত পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, তবে এটি শুধুমাত্র তখনই করা যেতে পারে যখন বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেওয়া হয়, তাদের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ভিন্ন।

সংবিধান, তবুও প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণগুলিকে উত্তেজিত করার প্রবণতা রয়েছে (§ 117), প্রকৃতির একটি চিরন্তন এবং অপরিবর্তনীয় নিয়ম অনুসারে, যার গুণের গুণে এর সমস্ত প্রভাব, এমনকি যেগুলি সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে খুব কমই বিকশিত হয়,

প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয় যদি তাকে পরিচালনা করা হয় যখন সে একটি অসুস্থ অবস্থায় একই রকম উপসর্গ উপস্থাপন করে, তখনও, এমনকি সবচেয়ে ছোট ডোজ, হোমিওপ্যাথিকভাবে নির্বাচিত হয়ে, নীরবে রোগীর মধ্যে একটি কৃত্রিম অবস্থা তৈরি করে যা ঘনিষ্ঠভাবে প্রাকৃতিক রোগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা দ্রুত এবং স্থায়ীভাবে (হোমিওপ্যাথিকভাবে) তাকে তার আসল রোগ থেকে মুক্ত করে এবং নিরাময় করে।’

হ্যানিম্যানের ম্যাটিরিয়া মেডিকা পিউরা, বোরিকের ম্যাটিরিয়া মেডিকা ও অ্যালেনের কিনোটস ম্যাটিরিয়া মেডিকায় এই লক্ষণটি নেই। রাডার হোমিওপ্যাথিক সফ্টওয়্যারে ৭৫৪টা ম্যাটিরিয়া মেডিকা আছে।

Synthesis repertory:
Found in Ipecac: Stomach feels relaxed, as if hanging down. Stomach:
Hanging relaxed, sensation: (89): ARS., CAUST.,IGN., IP, NA-C., SULPH.

এই অস্থায় ঔষধ কিভাবে নির্বাচিত হবে?তাহলে এখন প্রশ্ন হল, একজন সফল ডাক্তারের জন্য কতগুলো ওষুধ অধ্যয়ন ও সংগ্রহ করতে হয়? আমরা অর্গাননের অনুচ্ছেদ ১০৬- এ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই, যেখানে হ্যানিম্যান বলেছেন-

The whole pathogenetic effects of the several medicines must be known; that is to say, all the morbid symptoms and alterations in the health that each of them is especially capable of developing in the healthy individual must first have been observed as far as possible before we can hope to be able to find among them, and to select, suitable homoeopathic remedies for most of the natural diseases. ‘

অনুবাদ: অনেকগুলো ঔষধের পরিপূর্ণ রোগ উৎপাদন ক্ষমতা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ঔষধ স্বতন্ত্রভাবে সুস্থ মানবদেহে যে সমস্ত রোগলক্ষণ এবং পরিবর্তনসমূহ সৃষ্টি করতে পারে তা যতটা সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার পূর্বেই জেনে নিতে হবে যাতে করে সেগুলোর মধ্য হতে আমরা বেশীরভাগ প্রাকৃতিক রোগের উপযুক্ত সদৃশ ঔষধগুলো খুঁজে বের করে তা রোগীর জন্য নির্বাচন করতে সক্ষম হওয়ার আশা করতে পারি।

Resource:

http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1482/section-53921.html

Share this content:

Dr. Khatun invites you to join her in this journey with City Homeo. Your engagement and encouragement are crucial in advancing this endeavor. Together, we can strive towards a healthier community and a better tomorrow.

1 thought on “হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি”

Comments are closed.