হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন কি, কিভাবে ঘটে এবং কিভাবে ইহা দূর করতে হয়?
(What is suppression? How does it happen and how to drive it away?) হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন(Suppression) কি? হোমিওপ্যাথির পরিভাষায় যে কাজ করলে রোগীর লক্ষণ সমষ্টি (Signs & symptoms) প্রকৃতপক্ষে আরোগ্য না হয়ে বরং অন্তর্মুখী হয় ও জীবনী শক্তি পূর্বের চেয়ে অধিক জটিল হতে জটিলতর রোগ লক্ষণ সমূহ প্রদান করে সেই কাজকেই সাপ্রেসন বলে।হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন(Suppression) জানা একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এখানে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা তুলে ধরা হলো –
- হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন কি
- সাপ্রেসন কি? কিভাবে ঘটে এবং কিভাবে ইহা দূর করতে হয়?
- সাপ্রেসনের প্রধান প্রধান কারণ
- সাপ্রেসনের কুফল সম্পর্কিত কিছু উদাহরণ
- লক্ষণ সমষ্টি চাপা পড়া
কারণ চিকিৎসা করতে গিয়ে তিনি প্রতিনিয়তই সাপ্রেসনের সম্মুখীন হন। সুতরাং সাপ্রেসন সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয় ।সাপ্রেসনের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দমন করা বা চাপা দেওয়া।রোগ লক্ষণ সমূহকে বিসদৃশ চিকিৎসায় চাপা দিলে রোগশক্তি পূর্বের চেয়ে আরো অধিকতর জটিল ও কঠিন রোগ লক্ষণ সমূহ বিচিত্রভাবে রোগীর মনে ও দেহে প্রকাশ করে।
সাপ্রেসন কি এবং কিভাবে ঘটে?
সাপ্রেসন কি এবং কিভাবে ঘটে তা বুঝতে হলে হ্যানিম্যানের জীবনী শক্তি তত্ত্বটি (Theory of vital force) আগে বুঝতে হবে। কারণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রটি এই জীবনী শক্তি তত্ত্বের উপরই প্রতিষ্ঠিত। জীবনী শক্তি কি? জীবনীশক্তি হচ্ছে এমনই একটি শক্তি যা সৃষ্টিকর্তা আমাদের মধ্যে দিয়েছেন যার সাহায্যে আমরা বেঁচে থাকি, বড় হই, চলতে পারি। এই শক্তিকে প্রাণশক্তি নামেও ((Vital energy) অভিহিত করা হয়। এই প্রাণই আমাদের জীবনী শক্তি যার কাজ হচ্ছে ক্রম বিকাশ করা।
জীবনী শক্তির রোগের কারণকে হোমিওপ্যাথি মতে হ্যানিম্যান প্রথমত: দুভাগে ভাগ করেছেন।
- বাহ্যিক কারণ (External cause ) এবং
- অভ্যন্তরীণ কারণ (Internal cause) বা মায়াজমেটিক কারণ।
অভ্যন্তরীণ কারণ আবার দু প্রকার।
- ক্রনিক মায়াজমেটিক কারণ ও
- একিউট মায়াজমেটিক কারণ।
ক্রনিক মায়াজমেটিক কারণই হচ্ছে রোগের মূল কারণ এবং সেগুলি হচ্ছে সোরা, সিফিলিস ও সাইকোসিস। বাহ্যিক কারণও দু প্রকার এবং সেগুলি হচ্ছে বাহ্যিক আঘাত জনিত কারণ (Mechanical cause) ও উত্তেজক কারণ ((Exciting cause)। হোমিওপ্যাথি মতে অভ্যন্তরীণ কারণই হচ্ছে রোগের প্রকৃত কারণ। যেকোন কারণের দ্বারাই জীবনী শক্তি আক্রান্ত হোকনা কেন এতে জীবনী শক্তি যে লক্ষণ সমষ্টি(Signs & symptoms) প্রদান করে বিসদৃশ পদ্ধতিতে তার চিকিৎসা করা মানেই হচ্ছে এই লক্ষণ সমষ্টিকে চাপা দেয়া। অপরদিকে বাহ্যিক আঘাত জনিত রোগ হচ্ছে হোমিওপ্যাথি মতে মায়াজমেটিক রোগ এবং এ রোগের গভীরতা কম হলে ও যথা সময়ে সদৃশ বিধান মতে চিকিৎসা না দিলে এ রোগেও রোগী মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত ভোগতে থাকে।
আমরা জানলাম, হোমিওপ্যাথি মতে লক্ষণ সমষ্টির সাদৃশ্যে চিকিৎসা দিলে জীবনী শক্তি সুস্থ হয়ে যায়, অর্থাৎপুনরায় সে শৃঙ্খলায় ফিরে আসে। আর তাই রোগীও সুস্থ হয়ে যায় কারণ, আগেই বলা হয়েছে যে, আমাদের জীবনী শক্তি সুস্থ থাকলে আমরাও সুস্থ থাকি।এখন লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, জীবনী শক্তি তার বহির্মুখী গতির মাধ্যমে যে লক্ষণ সমষ্টি প্রদান করল তারই সাদৃশ্যে চিকিৎসা দেওয়ায় সে আবার আরোগ্য হয়ে উঠল।
ইহা থেকে কি প্রমাণিত হয়?
ইহা থেকে প্রমাণিত হয় যে,হোমিওপ্যাথি মতে জীবনী শক্তির আরোগ্যের গতিটিও ভিতর হতে বাহিরের দিকে।অন্য কথায়, জীবনী শক্তির গতিটি যেমন ভিতর হতে বাহিরের দিকে ঠিক তেমনি তার আরোগ্যের গতিটিও ভিতর হতে বাহিরের দিকে। অতি সংক্ষেপে মনে রাখতে হবে যে, প্রকৃতিগত ভাবেই জীবনী শক্তির সাধারণ গতি, তার রোগের গতি ও আরোগ্যের গতি প্রত্যেকটিই ভিতর হতে বাহিরের দিকে।
আর ইহাই হচ্ছে হোমিওপ্যাথি মতে হ্যানিম্যানের জীবনী শক্তি তত্ত্ব। যে কাজ করলে বা যে চিকিৎসা দিলে রোগীর রোগ লক্ষণের গতি অন্তর্মুখী হয় ঐ কাজ বা চিকিৎসাই হচ্ছে সাপ্রেসন বা সাপ্রেসিভ চিকিৎসা। আর বহির্মুখী চিকিৎসা মানেই হচ্ছে সদৃশ চিকিৎসা। যেমন- হোমিওপ্যাথি মতে লক্ষণ সমষ্টির ভিত্তিতে ঔষধ, রোগ শক্তির চেয়ে অধিকতর শক্তিকৃত ঔষধ, সুস্থ দেহে পরীক্ষত ঔষধ, এক সময়ে একটি মাত্র ঔষধ, সূক্ষ্ম মাত্রার ঔষধ ইহাই হচ্ছে সঠিক সদৃশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
অপর পক্ষে ইহার বাহিরে বা বিপরীতে যত প্রকার চিকিৎসা আছে সবই হচ্ছে সাপ্রেসিভ চিকিৎসা। যে সমস্ত কারণে রোগ লক্ষণগুলি চাপা পড়ে রোগী ক্রমান্বয়ে জটিল হতে জটিলতর অবস্থার মধ্যে নিপতিত হয়।
সাপ্রেসনের প্রধান প্রধান কারণ
সাপ্রেসনের প্রধান প্রধান কারণগুলি হচ্ছে নিম্নরূপ:
১. অন্তর্মুখী যে সব চিকিৎসা দেখা যায় তাদের মধ্যে সব চেয়ে মারাত্বক হচ্ছে বাহ্যিক প্রলেপ। বাহ্যিক প্রলেপের জন্য যে সমস্ত মলম তৈরী হয় তাদের প্রধান উপাদান হচ্ছে সালফার যার বাংলা নাম হচ্ছে গন্ধক।এছাড়া অন্যান্য গুরুত্ব পূর্ণ উপাদানগুলো হচ্ছে সালফার আয়োড, জিংক, জিংক আয়োড, কেলি আয়োড বা পটাসিয়াম আয়োডাইড ইত্যাদি।
Read More:সংক্ষিপ্ত ভাবে সালফার ও থুজা
এগুলিই হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন এ স্থূল মাত্রায় মলম আকারে চর্মোদ্ভেদ তাড়াবার জন্য ব্যবহৃত হয়। আমরা চর্মের উপরে যে চুলকানি বা উদ্ভেদ (Itching and eruptions ) দেখতে পাই সেগুলি বিসদৃশ চিকিৎসকদের দৃষ্টিতে রোগ।একারণে তাঁরা চর্মোদ্ভেদ তাড়াবার চেষ্টা করেন। তাঁদের ধারণা যে, চর্মোদ্ভেদ দূর হলেই রোগ ভাল হয়ে যাবে। এরকম চিকিৎসা যে শুধু বিসদৃশ চিকিৎসকগণই করেন তা নয়, আমি দেখেছি অনেক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকও বাহ্যিক ব্যবহৃত মলম দিয়ে চর্মোদ্ভেদের চিকিৎসা করেন ।

প্রকৃতপক্ষে এসব হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কারোরই জীবনী শক্তি তত্ত্বের উপরে কিংবা আরোগ্যের গতি সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাই তাঁরা এই অন্তর্মুখী চিকিৎসা করেন। কিন্তু যিনি প্রকৃতই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকতিনি অবশ্যই জানেন যে, চর্মোদ্ভেদ রোগ নয়, রোগের ফল মাত্র।প্রকৃত রোগ ভিতরে, জীবনী শক্তিতে। জীবনীশক্তি যেহেতু একটি শক্তি, সেই শক্তিকে যে আক্রমন করে সেও একটি শক্তি, শুধু শক্তিই নয় আরো বেশী শক্তিশালী শক্তি।
অর্থাৎ যে রোগ রোগীকে আক্রমণ করেছে তা একটি শক্তি এবং তা জীবনী শক্তি তথা রোগীর অভ্যন্তর প্রদেশেঅবস্থিত। আমরা জানি, শক্তি দেখা, ধরা বা ছোঁয়া যায় না, শুধুই অনুভব করা যায়। সুতরাং যেহেতু রোগ এক প্রকার শক্তি সেহেতু রোগও দেখা যায় না, রোগকে বা রোগ যন্ত্রণাকে শুধুই অনুভব করা যায়।যেহেতু চর্মোদ্ভেদ দেখা যায় সেহেতু চর্মোদ্ভেদ রোগ নয়, রোগের ফল। রোগের ফল কিংবা রোগ লক্ষণকে তাড়াতে হলে রোগ শক্তিকে তাড়াতে হয়। একটি শক্তিকে তাড়াতে হলে তার চেয়ে অধিকতর শক্তিরই প্রয়োজন হয়। যেখানেই দেখবেন চুলকানি,মনে রাখবেন, সেখানে সোরা অবশ্যই আছে। সোরা না থাকলে চুলকানি হবার প্রশ্নই উঠে না। এই চুলকানিকে তাড়াতে হলে সোরাকে তাড়াতে হবে। সোরাই প্রকৃত পক্ষে রোগ। সোরাকে তাড়ালে চুলকানি একাই চলে যাবে।
হ্যানিম্যান বলেছেন,“Cessante causa,cessat effectus.” অর্থাৎ কারণ দূর হলে ফলও দূর হয়। আবার যেখানে চর্মোদ্ভেদ আছে কিন্তু চুলকানি নেই, রোগী অত্যন্ত ঘর্মপ্রবণ, তার সমস্ত রোগ লক্ষণ সমূহই রাত্রে বৃদ্ধি পায়, ঐ রোগীর মধ্যে সিফিলিস অবশ্যই আছে। সিফিলিস মায়াজম বা সিফিলিস নামক ক্রনিক মায়াজমেটিক রোগই ঐ রোগীর রোগ যা এক প্রকার শক্তি। সদৃশ চিকিৎসার মাধ্যমে ঐ সিফিলিস নামক শক্তিকে তাড়াতে পারলে রোগীর চর্মোদ্ভেদ আপনিই চলে যাবে।
একই ভাবে যার শরীরে টিউমার, আঁচিল, বিভিন্ন উপমাংস ইত্যাদি আছে তার শরীরে সাইকোসিস অবশ্যই বর্তমান আছে। সাইকোসিকে সদৃশ চিকিৎসার মাধ্যমে তাড়াতে পারলে সাইকোসিসের ঐ ফলগুলিও, অর্থাৎ টিউমার,আঁচিল,উপমাংস ইত্যাদি একাই উধাও হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা কি দেখি? আমরা অহরহ যা দেখি তা হচ্ছে, চিকিৎসার নীতিমালা কিংবা পরিণাম ফল না জানার কারণে, চুলকানি কিংবা চর্মোদ্ভেদে বাহ্যিক মলম লাগানো হচ্ছে বা বাহ্যিকভাবে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে, টিউমার, আঁচিল,উপমাংস ইত্যাদি কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে রোগ শক্তি অন্তর্মুখী হয়ে যন্ত্রান্তর আক্রমণ করছে, রোগীর রোগ যন্ত্রনা আগের তুলনায় আরো বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে, পরিশেষে রোগীকে অকালে মৃত্যুর কোলে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এছাড়া পচন ও দুর্গন্ধযুক্ত যে কোন প্রকার ক্ষত কিংবা ঘা যেমন সিফিলিস মায়াজমের ফল তেমনি যে কোন প্রকার স্রাব সর্দি যেমন নাকের সদি, কানের সর্দি, জরায়ুর সর্দি ইত্যাদি সাইকোসিস মায়াজমের ফল।
এগুলিকে বাহ্য প্রলেপ বা ইনজেকশনের সাহায্যে কিংবা বিসদৃশ চিকিৎসায় চাপা দিলেও পরিনাম ফল একই রকম বিপজ্জনক। অপর পক্ষে তরুণ সিফিলিসের ফল যা জননেন্দ্রিয়ের ক্ষত (Chancre) নামে পরিচিত। তাকে বাহ্য প্রলেপ কিংবা ইনজেকশন অথবা অসম লক্ষণে স্থূল ((Crude) মাত্রার ঔষধ দিয়ে চাপা দিলে এবংগনোরিয়ার (Gonorrhoe)স্রাব যা জননেন্দ্রিয়ে দেখা দেয় তা উপরোক্ত প্রকার অসম লক্ষণে চাপা দিলে মারাত্বক পরিনাম ফলের সৃৃষ্টি হয় এবং তা যে শুধুমাত্র নিজ জীবনেই ভোগ করতে হয় তা নয় অধিকন্তু তা বংশানুক্রমিক ভাবে (Genetically)চলতে থাকে।
অর্থাৎ ধাতুগত রূপ নেয়। হ্যানিম্যান তাঁর লিখিত ‘‘The Chronic Diseases Their Peculiar Nature and Their Homoeopathic Cure” নামক গ্রন্থে বাহ্য প্রলেপ কিংবা বিসদৃশ চিকিৎসার ভয়াবহ পরিনতির শতাধিক উদাহারণ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যা তিনি তাঁর সময়ের পূর্বের বিসদৃশ চিকিৎসকদের (Old School physicians) লেখা বই থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। জেনে রাখা দরকার কেন হ্যানিম্যান তাঁর সময়ের পূর্বের চিকিৎসকদের লিখিত অভিজ্ঞতা সঞ্চিত বই থেকে সাপ্রেসিভ চিকিৎসার বাস্তব পরিণতি তুলে ধরেছেন।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে, আগেকার দিনের চিকিৎসকগণ তাঁর সমসাময়িক কালের চিকিৎসকদের চেয়ে অনেক বেশী বিবেক সম্পন্ন ছিলেন। তাঁরা সাপ্রেসিভ চিকিৎসার অনিষ্ট সম্বন্ধে হাজার হাজার উদাহরণ লিখে আমাদের সামনে ধরে দিয়ে সতর্ক করে গেছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঐ চিকিৎসা পদ্ধতিতেই তাঁরা প্র্যাকটিস করে গেছেন কারণ সদৃশ প্রথা তাঁদের জানা ছিলনা। সাপ্রেসন চিকিৎসায় এসব খাঁটি মানুষদের মন্তব্য গুলো এতই চমৎকার যে, কোন বিবেচক ব্যক্তিই ঐ উদাহরণগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে বা কিছু নয় বলে উড়িেয়ে দিতে পারবেন না।

সাপ্রেসনের কুফল
সাপ্রেসনের কুফল সম্পর্কিত কিছু উদাহরণ :
উপরে উল্লেখিত হ্যানিম্যানের ক্রনিক ডিজিজ বই থেকে তুলে ধরা হলো:-
১. ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সের একজন লোক দীর্ঘদিন যাবৎ চুলকানিতে কষ্ট পাচ্ছিল এবং ঐ চুলকানি মলম (Ointment) লাগিয়ে তাড়ান হয়। তখন থেকে তার হাঁপানী শুরু হয় এবং দিনের পর দিন তা বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত এমনকি নড়াচড়া না করলেও শ্বাসপ্রশ্বাস খুব ঘন ঘন ও মারাত্বক শ্বাস কষ্ট, সেই সঙ্গে অনবরত সাঁই সাঁই শব্দ ও সামান্য একটু কাশি হত। তাকে ১ ড্রাম স্কুইলস (Squills) ইনজেকশন নিতে ও তিন গ্রেন স্কুইলস খেতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু ভুল করে সে ঐ এক ড্রাম স্কুইলস খেয়ে ফেলে। এতে এমন ভয়ানক গা বমি বমি (Nausea)ও উকি (Retching) উঠতে লাগল যে, তার প্রাণ বেরিয়ে যাবার মত অবস্থা হয়েছিল। এর পর পরই হাতে, পায়ে ও সমস্ত শরীরে প্রচুর পরিমাণে আবার সেই চুলকানি দেখা দিল ও সঙ্গে সঙ্গে হাঁপানীও চলে গেল।
২. বত্রিশ বছর বয়সের একজন লোকের চুলকানি (Itching) গন্ধকের মলম (Sulphur Ointment) লাগিয়ে দূর করা হয় এবং সে এগার মাস ধরে কঠিন হাঁপানীতে ভোগতে থাকে। বার্ক জুস (Birch Juice) খাবার পর ২৩ দিনের দিন আবার ঐ চুলকানি দেখা দেয়।
৩. তের বছরের একটি ছেলে শিশুকাল হতে মস্তকের কেশ দাঁদে (Tinea Capitis) ভূগছিল। তার মা ঐটি তাড়াবার ব্যবস্থা করেন, ফলে ছেলেটি হাঁপানী, হাত, পীঠ, এবং হাঁটুর প্রচন্ড ব্যথায় অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ল।এক মাস পরে তার সমস্ত শরীরে চুলকানিযুক্ত উদ্ভেদ দেখা দিবার পর সে হাঁপানী ও অন্যান্য ব্যথা থেকে রেহাই পেল।
৪. কেশ দাঁদ বাদাম তেল (Almond oil) মালিশ করে তাড়াবার ফলে হাত পায়ের অত্যন্ত অবসন্নতা,আধকপালে মাথা ব্যথা, অক্ষুধা, হাঁপানী, দম বন্ধকর সর্দির জন্য রাত্রে জেগে ওঠা, সেই সঙ্গে বুকে মারাত্বক ঘড় ঘড় শব্দ ও বাঁশির মত আওয়াজ এবং হাত পায়ের আক্ষেপযুক্ত মোচড়ানী, যেন এখনই মারা যাবে এবং রক্ত প্রশ্রাব দেখা দিয়েছিল। সাপ্রেসন এ যখন ঐ কেশ দাঁদ আবার দেখা দিল সে ঐ সমস্ত অসুস্থতা থেকে আরোগ্য হল হোমিওপ্যাথিতে ।
৫. গন্ধকের মলম লাগিয়ে ৪৬ বছর বয়সের একটি লোক চুলকানি তাড়ায়।এতে তার বুকের প্রদাহ,গয়েরের সঙ্গে রক্ত ওঠা, শ্বাসকষ্ট ও অত্যধিক মানসিক উৎকন্ঠা শুরু হল। পরদিন গায়ের তাপ ও উৎকন্ঠা প্রায় অসহ্য হয়ে উঠল এবং তৃতীয় দিন বুকের ব্যথা বাড়ল। ঘর্ম দেখা দিল। ১৪ দিন পর আবার চুলকানি দেখা দিল এবং রোগী অধিকতর আরাম অনুভব করতে লাগল। কিন্তু ঐ চুলকানি আবার শুকিয়ে গেল।ফলে আগেকার রোগ লক্ষণগুলি আবার দেখা দিল এবং চুলকানি শুকিয়ে যাবার ১৩দিন পর লোকটি মারা গেল।
৬. একজন মন্ত্রী (Minister) চুলকানি তাড়াবার জন্য অনেক দিন যাবত অভ্যন্তরীণ ঔষধ ব্যবহার করেন (Used internal remedies) উপকার না পেয়ে বিরক্ত হয়ে শেষে মলম লাগিয়ে চুলকানি দূর করেন। এতে তার হাত দুটো পক্ষাঘাত গ্রস্ত হয় ও হাতের চেটোর চামড়া শক্ত ও পুরু হয়ে ফেটে ফেটে রক্তে ভরে গেল ও তাতে অসহ্য চুলকানি হতে লাগল।
উপরে ৬ জন রোগীর রোগ লক্ষণের (Signs & symptoms) সাপ্রেসন কিভাবে হয়েছিল তা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো যেগুলি হ্যানিম্যান তারঁ আগের পুরাতন পন্থী চিকিৎদের বই থেকে সংগ্রহ করে তার “(The Chronic Diseases Their Peculiar and Their Homoeopathic Cure”নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন।
ঐ বই হতে অনুবাদ করে এ কয়টি এখানে উপস্থাপন করা হলো। আরো উপস্থাপন করা যেত কিন্তু দরকার নেই কারণ বিবেকবান চিকিৎসকদের বুঝার জন্য এ কয়টিই যথেষ্ট। কেইসগুলি পর্যালোচনা করে মনোযোগের সাথে চিন্তা করলে বুঝা যাবে যে সোরার চিহ্ন ও লক্ষণগুলিকে (Signs symptoms) চাপা দিবার ফলে প্রত্যেকটি রোগীর মধ্যে বিচিত্র রকম চিহ্ন ও লক্ষণের সমষ্টির উদ্ভব হয়েছে।
অন্য কথায় সোরার লক্ষণ সমষ্টিকে বিসদৃশ চিকিৎসায় চাপা দিবার ফলে রোগীর মধ্যে পূর্বের চেয়ে আরো অধিকতর জটিল লক্ষণ সমষ্টি দেখা দিয়েছে। একারণেই হ্যানিম্যান সোরাকে বহুমাথা বিশিষ্ট ((Hydraheaded Monster) দানব নামে অভিহিত করেছেন। আবার কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, ভুলক্রমে শক্তিকৃত ঔষধ অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের কারণে ঔষধ আংশিকভাবে সদৃশ হওয়ায় লক্ষণগুলি সাপ্রেসনমুক্ত হয়ে রেগীা সুস্থতার দিকে এগিয়ে গেছে।
এক কথায় অন্তমুর্খী যে কোন চিকিৎসা মানেই হচ্ছে হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন এ রোগীর লক্ষণ সমষ্টিকে চাপা দেয়া। আর একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে বিসদৃশ চিকিৎসায় রোগীর লক্ষণ সমষ্টিকে সাময়িকভাবে চাপা দেয়া গেলেও রোগকে বা রোগশক্তি যা রোগের প্রকৃত কারণ তাকে চাপা দেয়া যায়না।এর প্রমাণ হচ্ছে সোরার লক্ষণ এবং চিহ্ন উভয়কে চাপা দিবার ফলে রোগীর মধ্যে আরো জটিল ও কঠিন চিহ্ন ও লক্ষণ সমূহ দেখা দিয়েছে। এ চিহ্ন ও লক্ষণগুলি কার সৃষিট? এর উত্তর হচ্ছে এ চিহ্ন ও লক্ষণগুলি সোরা নামক রোগ শক্তিরই সৃষ্টি।
লক্ষণ সমষ্টি চাপা পড়ার দ্বিতীয় প্রথাটি হচ্ছে :
যেখানে অস্ত্রোপচার (Surgery) না করেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাতেই রোগীর রোগ লক্ষণসমূহ আরোগ্য হবে সেখানে সদৃশ চিকিৎসার উপরে ধারণা না থাকার কারণে অস্ত্রোপচার করা। অ্যালোপ্যাথগণ ইহা করেন কারণ তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতিই এরকম।
তাঁদের প্যাথির অর্থাৎ, অ্যালোপ্যাথির সংজ্ঞা হচ্ছে, “Allopathy is a kind of treatment to suppress the principle of opposites.” যার অর্থ হচ্ছে অ্যালোপ্যাথি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে অসম লক্ষণে রোগ লক্ষণকে চাপা দেয়া হয়। অ্যালোপ্যাথির উপরোক্ত সংজ্ঞা হতে বুঝা যাচ্ছে যে, লক্ষণ সমষ্টিকে চাপা দেয়াই হচ্ছে তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতি সেটা যেকোন প্রকারেই হোক। সুতরাং তাঁদের প্যাথি মতে অস্ত্রোপচার বৈধ এবং অতি স্বাভাবিক ঘটনা।
তাছাড়া রোগ লক্ষণকে চাপা দিবার জন্য তাঁরা অ্যালোপ্যাথি ছাড়াও অ্যান্টিপ্যাথি (Antipath),আইসোপ্যাথি (sopathy)টটোপ্যাথি Tautopathy) ইত্যাদি যে কোন প্যাথির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু আমি দেখেছি অনেক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকও প্রকৃত সদৃশ নীতির পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে রোগীর যেখানে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই সেখানে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জনের কাছে পাঠাচ্ছেন।
আমরা জানি,যত প্রকার টিউমার,আঁচিল বা মাংস বৃদ্ধি আছে সবই হচ্ছে সাকোসিসের ফল এবং যত প্রকার পচন বা ঘা (টষপবৎ) আছে সবই সিফিলিসের ফল। এগুলি রোগ নয়, রোগের ফল মাত্র যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। সদৃশ বিধান মতে চিকিৎসা দিতে পারলে রোগের কারণ দূর হলে রোগের ঐ ফলগুলিও দূর হবে এতে কোনই সন্দেহ নেই। হ্যানিম্যান সার্জারীর কথা অস্বীকার করেননি বরং সার্জারীর জন্য রোগীকে সার্জনের কাছে পাঠাতে বলেছেন।
কিন্তু সেটি কখন? সেটি কেবল মাত্র বাহ্যিক আঘাত জনিত রোগের (Mechanicaldiseases) ক্ষেত্রে। যেমন, পড়ে গিয়ে অঙ্গহানি হওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা আকস্মিক দূর্ঘটনা জনিত কোন কারণে শরীরের কোন অংশ বিশেষে মারাত্বকভাবে কেটে যাওয়া বা ছিড়ে যাওয়া অথবা কোন অঙ্গ ভেঙ্গে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এবং তাদের বাহ্যিক আঘাত জনিত ঐ রোগের চিকিৎসা অ্যালোপ্যাথিতে করে পরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীর চিকিৎসা সমাপ্ত করতে হবে।
ইহাই হ্যানিম্যানের নির্দেশ। অন্য কোনও ক্ষেত্রে সার্জারীর প্রয়োজন হতে পারে তবে সেটা ঐ রকম অবস্থা বুঝে অত্যন্ত বিবেচনা প্রসূত। অস্ত্রোপচারের ফলে যে সাপ্রেসন হয় তা সদৃশ চিকিৎসায় দূর করা অতীব কঠিন কাজ। মনে করুন, কোন ব্যক্তির কোন অঙ্গে দাঁদ হওয়ায় উহা বিসদৃশ চিকিৎসায় চাপা দেওয়ায় রোগীর মধ্যে অন্য লক্ষণ সমষ্টি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় রোগীকে সদৃশ চিকিৎসা দিলে প্রথমে রোগীর ঐ নির্দিষ্ট অঙ্গের নির্দিষ্ট স্থানে আগে দাঁদ দেখা দিবে তার পর ঐ পরবর্তী লক্ষণগুলি একাই চলে যাবে।
কিন্তু ঐ অঙ্গই যদি কেটে ফেলা হয় তা হলে ঐ দাঁদটি কিভাবে কোথায় আবার দেখা দিবে? অথচ ঐ দাঁদটি পুনরায় বের করতে না পারলে সদৃশ নীতিতে রোগীর রোগ আরোগ্য সম্ভব নয়। সুতরাং একান্তই অসহায় না হলে হোমিওপ্যাথি অস্ত্রোপচার অনুমোদন করেনা।
তৃতীয় প্রকারের সাপ্রেসনটি হচ্ছে :
বিসদৃশ লক্ষণে ম্যালেরিয়া জ্বরের চিকিৎসা।ইহা উল্লেখ করার মত একারণে যে, এ ধরণের সাপ্রেসন প্রতিনিয়তই হচ্ছে যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ম্যালেরিয়া হলেই রোগী উগ্র মাত্রার কুইনাইন কিংবা আর্সেনিক প্রয়োগে জ্বরটি চাপা দেন। ফল স্বরুপ তার যকৃত(Liver), প্লীহা (Spleen) ইত্যাদি বড় হয়, উদরাময়, শোথ ইত্যাদি দেখা দেয়।
আবার কারো বা যক্ষা কিংবা ঐ জাতীয় রোগ লক্ষণ দেখা দেয়। শেষে রোগীর মৃত্যুর কোলে আশ্রয় গ্রহণ ছাড়া গত্যন্তর থাকেনা। হ্যানিম্যান বলেছেন যে, একমাত্র হোমিওপ্যাথি মতে ঔষধ প্রয়োগ করলেই মানব জাতির সর্ব প্রকার ব্যাধিকে সুনিশ্চিতভাবে আরোগ্য করা সম্ভব একথাটি একজন হোমিওপ্যাথের সর্বাবস্থায়ই স্মরণ রাখা আবশ্যক।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা কি পেলাম? আমরা পেলাম একমাত্র সদৃশ চিকিৎসা ছাড়া জগতে বাকী যত সব চিকিৎসা আছে সবই অন্তর্মুখী চিকিৎসা। প্রকৃত সদৃশ চিকিৎসা কি তা প্রথমেই আলোচনা করা হয়েছে। আমরা জানলাম যে,আমাদের প্যাথিতে, অর্থাৎ হোমিওপ্যাথিতে রোগের গতি ও আরোগ্যের গতি উভয়ই ভিতর হতে বাহিরের দিকে। আর তাই সদৃশ চিকিৎসা দিতে হলে চিকিৎসার গতিটিও অবশ্যই অনুরুপভাবেই ভিতর হতে বাহিরের দিকে হতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হোমিওপ্যাথ হয়েও যারা বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য রোগীকে মলম দেন, এক সঙ্গে একই সময়ে ব্যবহারের জন্য একাধিক ঔষধ দেন, মাদার টিংচার দেন, প্যাটেন্ট ঔষধ দেন, বায়োকেমিক ঔষধ দেন, হার্বাল ঔষধ দেন, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী ইত্যাদি ঔষধ দেন তাঁরা কতটুকু সদৃশ চিকিৎসা করেন? এবং তাঁদের দ্বারা রোগীর লক্ষণ সমষ্টি আরোগ্য হয় নাকি সাপ্রেস হয়?
আমার মতে, হ্যানিম্যানের জীবনী শক্তি তত্ত্বের সাথে এ সমস্ত চিকিৎসকদের তত্ত্বের কোন মিল নেই। আর তাই তাঁদের দ্বারাও রোগীর লক্ষণ সমষ্টির সাপ্রেসনই হয়, কারো দ্বারা কম, কারো দ্বারা বেশী। তবে পুরাতন পন্থী চিকিৎসকদের (Old School physicians) দ্বারা যত বেশী পরিমাণে হয় তত বেশী পরিমাণে নয়। এতে রোগীর রোগের বয়স বাড়তে থাকে এবং সেই সাথে রোগের গভীরতা ও জটিলতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এ ধরণের হোমিওপ্যাথদের লক্ষ্য করে কেন্ট বলেছেন যে, তথাকথিত হোমিওপ্যাথদের দ্বারা হোমিওপ্যাথির যতটা ক্ষতি সাধিত হয়েছে হোমিওপ্যাথি বিরোধীদের দ্বারা ততটা হয়নি।
এতক্ষণ আমরা জানলাম সাপ্রেসন কি এবং ইহা কিভাবে ঘটে। এখন জানব সাপ্রেসনের কবল থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায়। হ্যানিম্যানের সময়ের আগে ও তাঁর সময়েও সাপ্রেসন ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাপ্রেসনের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সাপ্রেসনের জট খোলার কৌশল জানতে হবে। ইহা বলা যত সহজ করা তার চেয়ে অকে বেশী কঠিন।
হ্যানিম্যান বলেছেন :-
“In the study of the chronic miasms and their suppression, three things ought to be considered,First,when the period of infection took place;Second,when the whole
organism is tainted;Third,when external symptoms make their appearance.”
যার অর্থ হচ্ছে ক্রনিক মায়াজম সমূহ এবং তাদের সাপ্রেসন সম্পর্কে জানতে হলে তিনটি বিষয়কে বিবেচনা করতে হবে। প্রথমত, সংক্রমণটি কখন হয়েছিল; দ্বিতীয়ত, সমগ্র দেহটি কখন আক্রান্ত হয়েছিল; তৃতীয়ত, বাহ্যিক লক্ষণগুলি কখন প্রকাশ পেয়েছিল। এখানে প্রশ্ন হওয়া স্বাভাবিক যে হ্যানিম্যান কেন উপরোক্ত তিনটি বিষয় বিবেচনা করতে বলেছেন। হ্যানিম্যান উপরোক্ত তিনটি বিষয় বিবেচনা করতে বলেছেন কারণ, রোগীর চিকিৎসাকালে লক্ষণ সংগ্রহের সময় উপরোক্ত প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া গেলে রোগীর রোগের বয়স এবং তার ভীরতা অনুধাবন এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ নির্বচন করা অধিকতর সহজ হয়।
Reference:
- The Chronic Diseases Their Peculiar Nature and Their Homoeopathic Cure By Dr.Samuel Hahnemann,
- Organon of Medicine By Dr.Samuel Hahnemann
- The Chronic Miasms By Dr.J.Henry Allen,
- Lectures on Homoeopathic Philosophy By Dr.J.T. Kent,
- The Principles and Art of Cure by Homoeopathy By Herbert A.Roberts,M.D.
ডা. হাবিবুর রহমান
ডি. এইচ. এম. এস. (ঢাকা), গভ. রেজি. নং ২৩৮৬১
বি. এ. অনার্স. (ইংলিশ), এম. এ. (ইংলিশ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Cell: 01736 757 306
Organon of Medicine গ্রন্থের বাংলা অনুবাদক,
হ্যানিম্যান কর্তৃক নির্দেশিত ঔষধের শক্তি মাত্রা ও প্রয়োগ গ্রন্থের লেখক
আপনি পড়তে পারেন আরও
হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এ রোগীর সমস্ত লক্ষণ না মিলিলে।
Acid Nitric হোমিওপ্যাথি মেডিসিন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর করণীয় কি?
Autoimmune Diseases জীবানু কি?
1 thought on “হোমিওপ্যাথি সাপ্রেসন”
Comments are closed.