হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য সম্পর্কে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে হ্যানিম্যান তার অর্গানন অব মেডিসিনে (২৫৯-২৬৩) পর্যন্ত সূত্রে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।যেমন :-

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য

 

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য সম্পর্কে হ্যানিম্যানকি বলেছেন?

ঔষধি গুণসম্পন্ন সর্ব প্রকার খাদ্য ও পানীয় পরিত্যাগ করতে হবে: হ্যানিম্যান এখানে যা বলেছেন তা হচ্ছে, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগীকে অবশ্যই ঔষধিগুণ সম্পন্ন খাদ্য ও পথ্য পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ ঐ সমস্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন খাদ্য ও পথ্য ঔষধের ক্ষুদ্র মাত্রাকে আচ্ছন্ন এবং বাধা সৃষ্টি করতে পারে। (সূত্র:২৫৯)

        Read More:হোমিওপ্যাথি ঔষধের ক্ষুদ্র মাত্রা

পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

একজন চিকিৎসকের খুব ভাল করে অনুসন্ধান করা উচিত ক্রনিক রোগের চিকিৎসার সময় রোগীর আরোগ্যের বাধাসমূহ কি কি :-

ক্রনিক রোগের রোগীদের চিকিৎসার সময় রোগীর আরোগ্যের বাধাসমূহ কি কি আছে তা একজন চিকিৎসকের উচিৎ খুব ভাল করে অনুসন্ধান করা। কারণ তাদের রোগ ঐ সমস্ত বাধাসমূহের ক্ষতিকর প্রভাব এবং ঔষধি খাদ্য ও পথ্যের দ্বারা বৃদ্ধি হয়। এরপর হ্যানিম্যান বলেন যে, কিন্তু এসব বিষয় অনেক সময়ই চিকিৎসকের নজরের বাইরেই থেকে যায়। (সূত্র: ২৬০)

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য ক্ষতি করেনা এমন স্বাস্থ্যবিধান এবং বিনোদন

চিকিৎসক অবশ্যই ক্রনিক রোগের রোগীকে ঔষধ প্রয়োগকালে আরোগ্যের বাধাসমূহ দূর করে তার পরিবর্তে ক্ষতি করেনা এমন স্বাস্থ্যবিধান এবং বিনোদন: যেমন: প্রায় সব ঋতুতেই মুক্ত বায়ুতে দৈনিক হাঁটা,হাত দ্বারা সামান্য পরিশ্রম করা,উপযুক্ত, পুষ্টিকর ঔষধিগুণহীন খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধান মেনে চলতে পরামর্শ দিবেন। (সূত্র: ২৬১)

তরুণ রোগে রোগীর পথ্য

তরুণ রোগের ক্ষেত্রে রোগী যা খেতে ও পান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে তা তাকে দিতে হবে:- রোগীর তরুণ রোগটি যদি মানসিক উগ্রতা না হয় অর্থাৎ মানসিক উগ্রতা ব্যতীত অন্য সব তরুণ রোগের চিকিৎসাকালে রোগী যে সমস্ত খাদ্য ও পানীয় খেতে ও পান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে সে সমস্ত খাদ্য ও পানীয় তাকে দিতে হবে।

অধিকন্তু রোগীর বন্ধুবান্ধব ও সেবাকারীদেরও এ কথা বলে দিতে হবে যে, তারা যেন তার খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত ইচ্ছা অনিচ্ছায় কোন রকম বাধার সৃষ্টি না করে। (সূত্র: ২৬২)

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য

 

চিকিৎসা চলাকালীন পথ্য ও পরিচর্যা:

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি কি খাওয়া যায় না

  • হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য – একঘেঁয়ে খাদ্য দীর্ঘদিন দেওয়া ঠিক নয়। কিছুটা বৈচিত্র্য আনার জন্যে খাদ্যের তারতম্য করা আবশ্যক।
  • সাধারণ রোগীর অবস্থানুযায়ী পথ্যের অবস্থা করাই সংগত। রোগের উপর পথ্য নির্বাচন করা সমীচীন নয়। তবে বিভিন্ন রোগে যেসব খাদ্য ক্ষতিকর তাও বর্জন করা উচিত এবং উপকারী খাদ্য গ্রহণ করতে উপদেশ দিতে হবে।
  • স্থায়ী বা চিররোগের চিকিৎসাকালে পথ্যাপথ্য নির্বাচন বিশেষ সতর্কতার সাথে করা উচিত। বিশেষভাবে স্থায়ী বা চিররোগের চিকিৎসাকালীন ওষুধের ক্রিয়া যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেজন্যে অনিস্টকর প্রভাবসমূহ হতে এবং রোগ উৎপাদক খাদ্য ও অনিয়ম হতে সর্বদা সতর্ক থাকা দরকার।
  • চা,কফি ও মদ, পিঁয়াজ, ওষুধ যুক্ত টুথপেস্ট ও দন্তমাজন,জর্দা, নস্য, অতিরিক্ত জল ও চিনি ব্যবহার, জলাভূমিতে বাস ইত্যাদি পরিত্যাগ করা একান্ত প্রয়োজন।
  • অতিভোজন, অসময়ে ভোজন,অনিয়মিত ভোজন ও অখাদ্য ভোজন সুচিকিৎসার পরিপন্থী। এ জন্যে এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • উদর সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের খাঁটি সন্দেশ, রসগোল্লা, দই ভিন্ন যাবতীয় মিস্টান্ন ও তৈল দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য বর্জন করা প্রয়োজন।
    অম্লরোগে আক্রান্ত রোগীদের টক ও মিষ্টি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা ভাল। এ সাথে রোগীর অসহ্য খাদ্যও বর্জন করতে হবে।
  • আমাদের মত গ্রীষ্ম প্রধান দেশে অতিরিক্ত মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি শরীরের জন্যে হিতকর নয়। তাছাড়া হাম, বসন্ত, আমাশয় প্রভৃতি রোগে এগুলো বন্ধ রাখা উচিত।
  • মরিচ বিশেষ করে শুষ্ক মরিচ বিভিন্ন রোগের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। অর্শ ও অন্ত্রের ক্ষতে এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কার্বংকল, গ্যাংগ্রীন ও নালীঘায়ে মাছ, মাংস ও মিস্টদ্রব্য নিষিদ্ধ।
  •  উদরাময় ও আমাশয়ে কচি ডাবের জল,বার্লি, ঘোল ও মুগের ডালের জুস্ উপকার। বহুমুত্রে শর্করা ও শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য নিষিদ্ধ। পুরাতন চালের ভাত এবং সবুজ শাক-সব্জি, আলু, পটল, কাঁচকলা, বরবটি,কাঁচা পেঁপে, ঢেঁড়শ প্রভৃতির জুস্ ও সরিষার তৈল অবস্থা বুঝে পরিমাণ মত প্রয়োগ করা উচিত। যকৃতের দোষে মাখন বা সরিষার তৈল ব্যবহার উচিত নয়। মাছ, মাংস, ডিম, ছানা, দই ও দুধ সুখাদ্য। কলেরায় কচি ডাবের জল উত্তম পথ্য।
  • হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য – সাধ্যের অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করা স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।
  • অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস বা অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় মানসিক ও নৈতিক অবনতি ঘটায়। তাই এ বিষয়ে সুস্থ ও অসুস্থ উভয় অবস্থায়ই সতর্কতা অবলম্বন করা বিশেষ দরকার।
  • অধিক রাত্রি জাগরণ অনিস্টকর। রাত্রি জাগরণ শরীর ও মনকে দুর্বল করে ফেলে। এ কারণে অধিক রাত্রি জাগরণ হতে বিরত থাকা আবশ্যক।
  • নির্বাচিত ওষুধের সাথে যে সকল বিরোধিতা ঘটে বা যে সকল খাদ্য ওষুধের ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটায় চিকিৎসাকালীন সে সকল খাদ্য গ্রহণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
  • যে সকল খাদ্য ধাতুদোষ সংশোধক ওষুধের বিসদৃশ, সে সকল খাদ্য উক্ত ওষুধ চলাকালীন সময়ে বন্ধ রাখা আবশ্যক। ব্রাইওনিয়ার রোগী প্রায়ই বাঁধাকপি, তেল ও মসলা আহার করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ কারণে ব্রাইওনিয়া প্রয়োগের পর ঐ সকল খাদ্য বন্ধ রাখতে হয়।
  • পালসের রোগী চর্বিযুক্ত খাদ্য সহ্য করতে পারে না। তাই, পালস সেবনের পর চর্বিযুক্ত খাদ্য বন্ধ করা দরকার। তা না হলে ওষুধের ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটায় ও বিশৃংখল অবস্থা আনয়ন করে। মোটকথা, ওষুধ এবং রোগীর বিসদৃশ খাদ্য ব্যবহার করা যাবে না।

    Read More:ল্যাকেসিস হোমিও ঔষধ

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য – ওষুধ যেমন রোগীর সদৃশ হওয়া প্রয়োজন, তেমনি রোগী যা খাবে তা ওষুধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। রাসটক্সের রোগীকে সাধারণত স্নানবন্ধ রাখতে হবে। সালফার প্রয়োগের পর ডিম, কাঁচা পিঁয়াজ ও কাঁচা সরিষার তৈল বন্ধ রাখা আবশ্যক।

কারণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য ঐ সকল খাদ্যে সালফার থাকায় ওষুধের ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। নেট্রাম মিউর সেবনের পর কাঁচা পিঁয়াজ ও লবণ আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম সেবনের পর কাঁচা লবণ ও চিনি ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং এ কারণে ওষুধের প্রতিকূল ও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী খাদ্যগুলো সম্পর্কে চিকিৎসকের সম্যক ধারণা থাকা উচিত এবং রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের সময় খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ দেয়া আবশ্যক।

https://play.google.com/store/apps/details?id=obertho.humiopathic.chikitsha&hl=bn

 

সিটি হোমিও

রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার,
দোকান নং-116( গ্রাউন্ড ফ্লোর -70, 70/Aপ্রগতি শরণি,
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা 1212,বাংলাদেশ।
01736181642

 

Share this content:

Dr. Khatun invites you to join her in this journey with City Homeo. Your engagement and encouragement are crucial in advancing this endeavor. Together, we can strive towards a healthier community and a better tomorrow.

1 thought on “হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য”

Comments are closed.