Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫

Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫- বর্তমান বিশ্বে অটিজম রোগ নিয়ে প্রত্যেকেই কমবেশি আতঙ্কেতে আছেন।আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করব, আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন। চলুন প্রথমেই জেনে নেই আজকের টপিক গুলো কি কি?

  • অটিজম কাকে বলে?
  • autism চিকিৎসা
  • অটিজম চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ
  • অটিজমের প্রকার
  • অটিজম রোগ কেন হয়?
  • উপসংহার

অটিজম কাকে বলে?

অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) হল একটি বিকাশগত অক্ষমতা যা সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা এবং আচরণে সমস্যার কারণে ঘটে এটি একটি স্নায়বিক বিকাশের ব্যাধি যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ জনে ১.৮ জন অটিজম আক্রান্ত। এই হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। WHO অনুমান করে যে প্রতি ১০০০ জনে ১-২ জন অটিজম আক্রান্ত।

Autism হলো আত্মমগ্নতা। পৃথিবীটা হল একটা বাগান আর বাগানে ফুল হলো শিশু।পরিপূর্ণ সুস্থ শিশু কালো হোক তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সেই শিশু যদি হয় মানসিক ভাবে অসুস্থ, তাহলে ভাবুন তো দেখি, সেই শিশুটিই হবে পরিবারের দুঃখের কারণ। বাবা মার হতাশার কারণ।অনেক অপেক্ষা, আকাঙ্ক্ষা, ধৈর্য, কষ্টের পর যখন শিশুটি এমন হয় তখন মা বাবার মনের অবস্থাটা কেমন হয়।

আমি এমনও দেখেছি অটিজমের বাচ্চা আছে বাসায় তারপরও সামাজিক কারণে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এত বড় সেলিব্রিটি যে সে বাচ্চাটা যে এই অবস্থা ,তা তারা কাউকে দেখাতে চায় না। কারও সাথে পরিচয় দিতে চায় না, সে তার বাচ্চা। প্রতি এক লক্ষ শিশুর মধ্যে ৫০ -৬০ জন অটিজমের শিকার হয়।

এদের মধ্যে আবার শতকরা ৪০ জন বুদ্ধির দিক থেকে খাটো হয় বা আই কিউ কম থাকে। বাকীদের অনেকেরই আবার স্বাভাবিক বুদ্ধি বা তার থেকেও বেশি হতে পারে। এদের মনোযোগ একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে থাকে। তাই এদের ছবি আঁকা হাতের কাজ এবং সেলাই করা বা বা টেকনিকেল কোনো হাতের কাজ করা ইত্যাদি বিশেষ দক্ষতা থাকতে দেখা যায়।

Autism চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
Autism চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

autism চিকিৎসা

কেন Autism হলো তা নিয়ে ভাবার থেকে বরং সমাধানের চেষ্টা করা অনেক বেশি জরুরী।কারণ যেহেতু এখানে অস্পষ্ট তাই নিরাময়ের রুপ রেখাও এখনো অধরা। অটিজমের চিকিৎসার ফল বরং তুলনামূলক বেশি আশাপ্রদ। অটিজম রোগে বাবা-মা এদের নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ও বিষণ্ণতায় ভোগেন।

তাই শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়ের কাউন্সিলিং অত্যন্ত জরুরী।হতাশা যেখানে সমস্যা বাড়ানো ছাড়া কমাতে পারে না সেখানে ধৈর্য অনেক বেশি জরুরী এবং এখানে অনেক বেশি জরুরী ভালো ব্যবহার। এটাই  অটিজমের চিকিৎসার মূল মন্ত্র।

অটিজম শিশুদের শাসন বা প্রশংসা ক্ষমতার প্রভাব এর উপর পড়ে না। তার তো কোনো মানে হয় না।অটিজম বাচ্চাদের এনার্জি অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই এদের সাঁতার বা অ্যাথলেটিকে ভর্তি করানো ভালো।এতে তার চঞ্চলতা কমবে।অন্যান্য মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের মেধা অনুযায়ী পড়াশোনা কাজকর্ম তালিম দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। স্পেশাল কিছু যেমন-

নিজের হাতে খাওয়া,জামার বোতাম আটকানো।এদের বাবা-মা ও শিক্ষকদের বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোতে যায়। তাতে তাদের অবর্তমানে অন্তত কারো মুখাপেক্ষী হয়ে তাদের থাকতে হয়না।

অন্যান্য চিকিৎসার মতো শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ অনুযায়ী অটিজম বাচ্চাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। অর্গানের আনুচ্ছেদ (২১০ – ২৩০) ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে। কাউন্সেলিং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে এই রোগের প্রতিকারের যথেষ্ট ভালো কাজ দিচ্ছেউল্লেখযোগ্য সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে।

অটিজম চিকিৎসায় হোমিও ঔষধ

Autism (অটিজমের)কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হল –  ব্যারাইটা কার্ব, নেট্রাম মিউর, টিউবারকুলিনাম,ব্যাসিলিনাম, মেডোরিনাম,সিফিলিনাম, হিলিয়াম (Helium) একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ, ভেরিলিয়ানা(Valeriana), গ্যালিয়াম এসিড (Gallium Acid).

এম .এম.আর ভ্যাকসিন (MMR Vaccine), ডি. এন .এ / আর .এন. এ (DNA/RNA Vaccine ), টরুলা(Tolula), ট্যারেন্টুলা (Tarentula His), বেলেডোনা(Belladona),  স্ট্রেমোনিয়াম(Stramonium), অপিয়াম(Opium), আর্নিকা(Arnica)।  

অটিজমের প্রকার

প্রধানত ৫ ধরনের অটিজমের রোগী দেখতে পাওয়া যায়:

  1. Asperger’s syndrome
  2. Rett syndrome
  3. childhood disintegrative disorder
  4. Kanner’s syndrome and
  5. pervasive developmental disorder

আরো আছে – যাদের কোন হুশ নেই, সব সময় যেন নিজের জগতেই থাকে তাদেরকে বলে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার। অর্থাৎ বর্ণ সচ্ছলতার মত বহুমুখী লক্ষণের সমাহার এই রোগ।এক্ষেত্রে শিশুর সামাজিক বোধের বিকাশ হয় না।পরিচিত বা অপরিচিত কারোর সঙ্গেই মিশতে পারে না।

হাজার বার ডাকলেও কারোর দিকে তাকায় না। হয়তো সে কোন খেলনা নিয়ে মগ্ন হয়ে বসে আছে অথচ সেটা নিয়ে যে সে খেলছে তা বলা যাবে না।কোন শারিরীক প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও এরা অনেকেই কার্যত কোন অর্থপূর্ণ কথা বলে না।

অনেকে আবার একইশব্দ বার বার বলতে থাকে অথবা মা-বাবা যে কথাগুলো বলেন তার শেষের একটা দুটো শব্দই বারবার বলতে থাকে। এরা যেন নিজেদের কল্পনার জগতে বাস করে।যদিও সেই কল্পনার জগত কতটা সুসংবদ্ধ তা নিয়ে সংশয় আছে।

asperger’s  সিনড্রোম অটিজম শিশুরা সকলেই নিজেকে গুটিয়ে রাখে তা নয়। অটিজম এর অনেকেই বেশ চঞ্চল পড়াশোনাও কিছু করতে পারে।

Read More:হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পথ্য

এদের সমস্যা হল নিজের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর এদের নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। ফলে কখনোই তারা স্থির থাকতে পারে না। সকলের সামনে হয়তো তারা ক্রমাগত দেওয়ালে মাথা ঠুকসে, নিজের হাত কামড়াচ্ছে,রক্ত বের হলেও কোন হুশ নেই।

হয়তো ক্রমাগত হাততালি দিয়ে যাচ্ছে বারণ করলেও শোনে না। অটিজমের এই ধারণাকে বলে asperger’s সিনড্রোম।শৈশবের তুলনায় বয়ঃসন্ধির সময় এর প্রকোপ বেশি হয়।

Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫
Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫

অটিজম রোগে বয়স

অটিজমের লক্ষণ সাধারণত ২ – ৩ বছর বয়সের পরেই ধরা পড়ে।এই সময় বাচ্চা দীর্ঘদিন ধরে কারো সঙ্গে কথা না বললে বা না মিশতে পারলে সতর্ক হোন।গত দুই দশকের মধ্যে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা যেন হঠাৎ করেই খুব বেড়ে গেছে।

অটিজম রোগ কেন হয়?

কেন এই রোগ হয় তার কারণ এখনো অস্পষ্ট। অনেকে বলেন জনসচেতনতা বেড়েছে বলে এদের সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। তাই এদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। অনেকের মতে জন্মের পর শিশুকে দেওয়া বিভিন্ন ভ্যাকসিন এর কুফল শিশুর মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে এই ধরনের রোগ সৃষ্টি করে।

ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের চাপ বা অন্য কোন কারণে মর্ডান সাইন্স বিষয়টাকে তেমন আমলে না দিলেও আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন এর কুফল নষ্টকারী ঔষুধ দিয়ে দেখেছি। অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা না গেলেও কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন, এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে।

  1. জিনগত সমস্যা।
  2. পরিবেশগত সমস্যা।

অটিজমে আক্রান্ত শিশুর ডিএনএ কপি নম্বর ভ্যারিয়েন্ট নামক ত্রুটি বহন করে। পরিবেশের বিষাক্ত উপকরণ জিনের ওপর কাজ করে স্নায়ুকোষ ধ্বংস করে। এই বিষাক্ত উপাদান গর্ভের শিশু ও শিশুর বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ের মস্তিষ্কের কোষকে ধ্বংস করে।

যেসব রাসায়নিক দ্রব্য অটিজমের জন্য দায়ী বলে ধারণা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মার্কারি, লেড, পোকা-মাকড় মারার বিষ, খাদ্য সংরক্ষণ করার রাসায়নিক দ্রব্য, খাদ্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কৃত্রিম রং ইত্যাদি।

Read More:ফসফরাস হোমিও

অটিজমের কারণ শিশু গর্ভে থাকাকালীন মায়ের মানসিক চাপ পারিবারিক কলহ অন্তর্দ্বন্দ্ব, শারীরিক বা মানসিক আঘাত ইত্যাদি গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের উপর বাধা সৃষ্টি করে। ফলে মস্তিষ্কের যে স্থান থেকে আবেগ, বোধ বুদ্ধি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয়, সেখানকার গঠনে কমতি থেকে যায় অটিজম এর। ফলে পরবর্তীকালে তাদের অ্যাক্টিভিটি অটিজম ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

উপসংহার

আজকের ব্লগে আপনাদেরকে ‘Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫ ‘ সম্পর্কিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো। আশা করছি ব্লগটি আপনাদের উপকারে আসবে

আমার এই ব্লগ যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান অথবা যে টপিক সম্পর্কে জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন,সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আমার পেজে।

আমি চেষ্টা করব আপনাদের মনের মত করে উত্তর দেওয়ার জন্য। নিয়মিত আরো বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেলগুলো পেতে হলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন

সিটি হোমিও

রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার,
দোকান নং-116( গ্রাউন্ড ফ্লোর -70, 70/Aপ্রগতি শরণি,
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা 1212,বাংলাদেশ।
01736181642

Resources:

  1. https://medium.com/
  2. https://www.rcpsych.ac.uk/mental-health/translations/bengali/physical-illness-and-mental-health
Share this content:

Dr. Khatun invites you to join her in this journey with City Homeo. Your engagement and encouragement are crucial in advancing this endeavor. Together, we can strive towards a healthier community and a better tomorrow.

1 thought on “Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫”

Comments are closed.