মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস বুঝুন সামলান প্রতিরোধ করুন – অস্টিওপরোসিস এমন একটা ভয়ংকর রোগ যা নিঃশব্দ ঘাতকের মত জীবনটাকে কুরে কুরে নিঃশেষ করে দেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওপরোসিস বাড়তে থাকে।
সারা বিশ্বে মহিলারাই আক্রান্ত হয় বেশি, পুরুষরাও হয় তবে সেটা একটু বেশী বয়সে।
অস্টিওপরোসিসে সারা বিশ্বে ৫০বছর পার হওয়ার পরে প্রায় বিশ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয় তার মধ্যে ৬৮% মহিলা।

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশই অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত এবং প্রতি পাঁচ জন পুরুষের মধ্যে একজন এবং প্রতি দুইজন মহিলার মধ্যে একজন এরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
মহিলারা কেন আক্রান্ত হচ্ছে? কারণ মহিলাদের প্রতিমাসে একবার করে মাসিক হয়। মাসিকটা মূলত নির্ভর করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের উপর।
এই ইস্ট্রোজেন হরমোনটা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন অযথা চিন্তা ভাবনা তাদের শারীরিক,এবং মানসিক সুস্থতার জীবনকে হতাশাগ্রস্থ করে তোলে। যার জন্য বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হয় ।
মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস: বুঝুন, সামলান, প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কি করতে পারি আমি আমার ব্লগে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি আপনারা আমার সাথে থাকবেন, চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকে কি কি টপিক গুলো আলোচনা করব
- অস্টিওপরোসিসের ভূমিকা
- বুঝুন অস্টিওপরোসিস কি?
- অস্টিওপরোসিসের লক্ষণ
- অস্টিওপরোসিসের কারণ
- অস্টিওপরোসিসে কারা বেশি ঝুকিতে আছে
- অস্টিওপোরোসিসে কোন অংশ ঝুঁকিতে থাকে বেশি
- অস্টিওপরোসিসের জন্য Diagnosis.
- অস্টিওপরোসিসের প্রতিরোধ
- অস্টিওপরোসিসে নিজেকে সামলান
- উপসংহার
বুঝুন অস্টিওপরোসিস কি?
হাড়ের ঘনত্ব বা ডেনসিটি কমে যাওয়াকে অস্টিওপরোসিস বলে। অস্টিওপরোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীর হাড়ের ছিদ্র বেড়ে যায়। হাড় দেখতে মৌচাকের মতো ঝাঁজরা বা ফুটোর মতো দেখায়। ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার জন্য হাড়টা নরম হয়ে দুর্বল হয়ে যায় ।
এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা ৫০বছরের বেশি বয়সী প্রতি তিনজন মহিলার মধ্যে একজন এবং পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন এরোগে আক্রান্ত হয়।
বাংলাদেশের মহিলাদের সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সেই মেনোপজ দেখা দেয় আক্রমণটা সাধারণত এই বয়স থেকে শুরু হয় আর পুরুষদের ৬৫বছরের পরেই সাধারণত দেখা দেয়।
তবে একটা সময় বিশেষ করে মেয়েদের ৫০ বছরের পরে বা মেনোপজের পরে অস্টিওপরোসিস বেশি দেখা যায় পুরুষদের দেখা যায় ৭০ বছরের পরে।
বয়স্কদের শুধু যে বয়স হলেই এরোগ দেখা যায় তা নয়। বর্তমানে কম বয়সীদেরও এরোগ দেখা যায়।
আমাদের দেশে সাধারণত ১৫বছর থেকে ৩৫বছর পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং চল্লিশ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে ।
মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস বুঝুন সামলান প্রতিরোধ করুন
অস্টিওপরোসিসের লক্ষণ
অস্টিওপরোসিসে সাধারণত কোন লক্ষণ প্রথমেই দেখা যায় না। মূলত এটা বয়সজনিত রোগ।
লক্ষণ তখনই দেখা যায় যখন কোন কারনে দেহে ফ্রেকচার বা ফাটল হয়ে ব্যথা হয় এবং যখন ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে তখনই বুঝা যায় যে অস্টিওপরোসিস হয়েছে।
এখন আমি আপনাদের সাথে অস্টিওপরোসিসের কিছু লক্ষণ তুলে ধরছি।
- হাড় ভাঙা হলো অস্টিওপরোসিসের অন্যতম লক্ষণ
- সাধারণত মেরুদন্ডে ব্যথাটা প্রথম শুরু হয়। তখন বিছানা থেকে উঠতে গেলেই কোমরে, পিঠে ব্যথা লাগে, হাঁটলে বা দাঁড়ালেও ব্যথা লাগে
- একটু হাটলেই দুর্বল মনে হয়
- কোন কোন সময় দেহের উচ্চতা ১-২ ইঞ্চি কমে যায়। কারণ মেরুদন্ডের উচ্চতা কমে যাওয়ার ফলে এরূপ দেখা যায়
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওপরোসিস বাড়তে থাকে। যার কারণে রোগী সামনের দিকে ঝুঁকে হাটে
- সাধারণ কাজকর্ম করতে গেলেও যেমন- গাড়িতে উঠার নামার সময়ে সামনে ঝোঁকা,ভারী ব্যাগ বহন করা, মোচড় দেওয়া এবং শরীর প্রসারিত করা এগুলো করার সময়ও অসহ্য ব্যাথার সৃষ্টি হয়
- মেরুদন্ডে হাত দিলে তা উঁচু মনে হবে
- একটা সময় কুঁজো হয়ে যায়
- পারিবারিক ইতিহাসে এরোগ পাওয়া গেলে
- অস্বাভাবিক ভাবে হাঁটা এবং মাঝে মাঝে পেশী সংকোচনের জন্য এবং (সারকোপেনিয়া) পেশী ভর কম এর ফলেও হাঁটার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
- কোমরে ফাটল থেকে ওজন বহন করার সময় ব্যথা
অস্টিওপরোসিসের কারণ
প্রাথমিক কারণ মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেনের হরমোন মাত্রা কমে যাওয়া এবং খাদ্য অভ্যাস দ্বারা আক্রান্ত হয় দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য বিশেষ করে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করা।
সাধারণত ঘটনাক্রমে বিশেষ করে ছোটখাট পতন এবং আঘাতের পর ফ্রেকচার বা ফাটল যেমন- মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচার, হিপ ফ্র্যাকচার (প্রায় ১৫% মহিলা), এবং রেডিয়াল ফ্র্যাকচার,ভার্টেব্রাল ফ্র্যাকচারগুলি বেশির ভাগই উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে মনে করা হয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি কারণে অস্টিওপরোসিস হয়।
- মহিলাদের মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনটা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- ফ্রেকচার বা ফাটল যেমন- মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচার, হিপ ফ্র্যাকচার রেডিয়াল ফ্র্যাকচার,ভার্টেব্রাল ফ্র্যাকচারগুলি মূলত দায়ী ।
- বয়স বৃদ্ধির জন্য বার্ধক্যজনিত কারণে হতে পারে।
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দেহে কম পরিমাণে থাক।।
- সারাদিন এসির মধ্যে থাকা ও অলস ভাবে জীবন যাপন করা।
- গায়ে রৌদ্র না লাগিয়ে গৃহের মধ্যে নিজেকে বন্দী রাখা।।
- খেলাধুলা বা পরিশ্রম না করা। ।
- সারাদিন বসে বসে কম্পিউটারে কাজ করা বা টিভি দেখা।
- বিশেষ করে এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকা।
- ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।।
- ধূমপান ও মদ্যপান করা।
- স্টেরয়েড ওষুধের ব্যবহার।
অস্টিওপরোসিসে কারা বেশি ঝুকিতে আছে
মেনোপজের শুরুতে আপনার হাড়ের ঘনত্ব যত বেশি, অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি তত কম।
মেনোপজের পর প্রথম সাত বছরে, কম মহিলার হাড়ের ঘনত্বের ২০% পর্যন্ত দ্রুত কমে।
হাড়ের এই ঘনত্ব দ্রুত কমে যাওয়া অস্টিওপরোসিসের জন্য একটি ঝুঁকি নির্দেশ করে।
অস্টিওপরোসিসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ ফ্র্যাকচার। যাদের মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচারের ইতিহাস আছে তাদের হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি এবং প্রায় ১.৫ গুণ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি রয়েছে।
এশিয়ান মহিলাদের তুলনায় আফ্রিকান আমেরিকান মহিলাদের সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে রয়েছে।
মজার বিষয় হল যদিও আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে অস্টিওপরোসিস সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে,তারা হাসপাতালে থাকার চেয়ে মারা যেতে পছন্দ করে।
কারণ শুয়ে থাকলে ব্যথাটা বেশি বৃদ্ধি পায়। এবার জেনে নেওয়া যাক কারা কারা বেশি ঝুকিতে আছে।
- বংশে অস্টিওপোরোসিসের ইতিহাস থাকিলে।
- ৬৫ বছরের বেশি বয়স যাদের।
- যেসব মহিলাদের অল্প বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
- ওভারি অল্প বয়সে কেটে বাদ দিলে।
- কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা।
- গায়ের রং যাদের সাদা তারাও ঝুঁকিতে আছে।
- পার্কিনসন ও অটোইমিউন ডিজিস থাকিলে।
- পূর্বে হাড় ভাঙার ইতিহাস যাদের আছে।
- পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ, চোখের ব্যাধি ইত্যাদি থেকে পতনের ঝুঁকি।
- গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া নেই এমন দেশগুলিতে অস্টিওপরোসিসের অতিরিক্ত ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত। এটি একটি উল্লেখযোগ্য কারণ যে, ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজন ।
- নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ব্যবহার, যা অস্টিওপোরোসিসের জন্য ঝুঁকির গৌণ কারণ হিসাবে পরিচিত। যেমন- কর্টিকোস্টেরয়েড, থাইরক্সিন, অ্যান্টাসিড এবং কেমোথেরাপি, বিশেষ করে অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটর।
- কিছু রোগ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত হয় যেমন – হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, সিলিয়াক ডিজিজ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, অটোইমিউন ডিজঅর্ডার যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এসএলই (সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস), অ্যাঙ্কাইলোজিং এবং স্পন্ডিলোসিস।
- পিরিতে বা নিচে বসে কুটাবাছা করা।
- ধূমপান ও মদ্যপান করার অভ্যাস যাদের আছে।
অস্টিওপোরোসিসে কোন অংশ ঝুঁকিতে থাকে বেশি
হাড় ভাঙ্গার ইতিহাসই মূলত দায়ী ।এবার দেখে নেওয়া যাক কোন অংশ ঝুঁকিতে থাকে বেশি।
সাধারণত মেরুদণ্ডের নিচের অংশ, কোমরের ভার্টিব্রা, হিপ জয়েন্ট, উপরের বাহুর হাড় এবং হাতের কব্জি ঝুঁকিতে থাকে বেশি।
অস্টিওপরোসিসের জন্য Diagnosis
উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখতে পেলে আমাদের ৪০বয়সের পর থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্ক্রিনিং করা উচিৎ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক অস্টিওপরোসিসের জন্য কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন।
DXA test( ডেক্সা টেস্ট একধরণের এক্স-রে প্রযুক্তি,এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা এক্স-রে চেয়ে কম রেডিয়েশন
এবং যন্ত্রণাহীন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যার সাহায্যে বডি ফ্যাটের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা, দুর্বল এবং চর্বিহীন মাংসপেশী চিহ্নিত করা, শরীরে জলীয় উপাদানের পরিমাণ বোঝা
এবং সঠিকভাবে হাড়ের ঘনত্ব যাচাই করা সম্ভব।
BMD (Bone Marrow Density)(এই পরীক্ষা দ্বারা অস্টিওপোরোসিস , ফ্র্যাকচার (ভাঙা হাড়)-এর ঝুঁকি আছে কিনা নির্ধারণ করা হয়।
এটি অস্টিওপরোসিস চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করে। পরীক্ষাটি রোগীর নিতম্ব এবং ল্যাম্বার মেরুদন্ডে হাড়ের ঘনত্ব পরিমাপ করতে পারে।
এটি একটি সাধারণ এক্স-রে পরীক্ষার মতো পরীক্ষা)
Classification according to T-Score value:
- Normal: greater than -1.0
- Osteopenia: -1.0 to -2.5
- Osteoporosis: less than -2.5
- Severe or established osteoporosis: less than -2.5 plus history of fragility fractures
Lab tests
Blood tests(ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি পরিমাপ করার জন্য)
মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস বুঝুন সামলান প্রতিরোধ করুন
অস্টিওপরোসিসের প্রতিরোধ
অস্টিওপরোসিস হওয়ার আগেই যাতে প্রতিরোধ করা যায় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫মিনিট সময় করে রোদ লাগাতে হবে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা যাবে না।
প্রাকৃতিকভাবে বা প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে গড়ে তোলা।
নিজেকে এসসিতে অভ্যস্ত না করা। চেয়ারে বসার সময় মেরুদন্ড সোজা করে বসতে হবে।
কোন কিছু নিচে পড়ে গেলে বাঁকা হয়ে না ঝুঁকে পিঠটাকে টান টান করে বসে জিনিসটাকে উঠানো।
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন দই,বাদাম কমলার রস,কলা, গরুরদুধ, সয়াদুধ, দুধ জাতীয় খাবার চিজ, ছানা, পালং শাক, শ্যামন মাছ, তিল ,তিসি, ব্রুকলি এবং টাটকা ফল, সব্জি প্রবৃতি খাবার গুলো পরিমাণ মতো খাওয়া।
পরিমাণ মতো কথাটি কেন বলছি কারণ অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে পিত্তপাথর ও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক রয়েছে।
অস্টিওপরোসিসে নিজেকে সামলান
সপ্তাহে তিন থেকে চার বার প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিয়মিত শরীরচর্চ, যোগব্যায়াম ও হাঁটাচলা করা।
চলাচলের সময় কোথাও পড়ে যাতে না যায় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
হাঁটাচলা করার সময় প্রয়োজনে সাপোর্ট হিসেবে হাতে একটা লাঠি রাখুন। মোটকথা লাইফস্টাইল চেঞ্জ করতে হবে।
ভারী ওজন কখনো বহন করা যাবে না। মদ্যপান এবং ধূমপান প্রথমেই বাদ দিতে হবে।
যদিও বাঙালি মেয়েরা তেমন একটা এগুলোতে তেমন অভ্যস্ত না।
পিড়ি বাদ দিয়ে কুটাবাছা করার জন্য চপিংবোর্ড ব্যবহার করা এবং হাই কমোড বসে পায়খানা করা।
কোন কাজ করার সময় তাড়াহুড়া করে না করা। প্রতিদিন বাথরুম পরিষ্কার করে রাখা যাতে পিছল না যায়।
চোখের সমস্যা থাকলে দ্রুত চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া।
উপসংহার
পরিশেষে বলতে চাই, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন। মেয়েরা হলো হেড অফিস, হেড অফিসে গন্ডগোল হলে সব কিছুই লন্ডভন্ড হয়ে যাবে।
এছাড়া উপরোক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই অস্টিওপরোসিসের হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত ফলপ্রসূ চিকিৎসা রয়েছে।
লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ নির্বাচন হলে হোমিওপ্যাথিতে অস্টিওপরোসিসের অধিকাংশ সমস্যাই সম্পন্ন নিরাময়যোগ্য এবং এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং সারা জীবন ঔষধ খেয়ে যেতে হয় না।
প্রয়োজন শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা।
Read More:হোমিওপ্যাথিতে হাঁপানি আরোগ্যের পদ্ধতি
আপনি যদি আমার আর্টিকেলটি ভালভাবে পড়ে থাকেন তাহলে মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস: বুঝুন, সামলান, প্রতিরোধ করুন এই সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন।
আমি আসলে চেষ্টা করেছি সহজে আপনাদেরকে বুঝাতে যে, এই মহিলাদের অস্টিওপরোসিস নিরব ঘাতক, এ রোগ থেকে নিজেকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
আমার এই ব্লগ যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে বা হোমিওপ্যাথিতে মহিলাদের অস্টিওপরোসিসের ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানান অথবা যে টপিক সম্পর্কে জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কমেন্ট করুন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আমার পেজে। আমি চেষ্টা করব আপনাদের মনের মত করে ব্লগ উপহার দেওয়ার জন্য। ধৈর্য ধরে এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Resources:
1 thought on “মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস বুঝুন সামলান প্রতিরোধ করুন”
Comments are closed.