ফসফরাস হোমিও ঔষধ

ফসফরাস হোমিও ঔষধ
ফসফরাস হোমিও ঔষধ

ফসফরাস হোমিও ঔষধ – স্বাস্থ্য এত শীর্ণ যে হাঁটলে মনে হয় যেন বাতাসে দুলছে।ঘাড় সামনের দিকে কিছুটা বাঁকা হয়ে বা ঝুঁকে থাকে।

উৎস : খনিজ।

ধরণ : গভীরক্রিয়, তরুণ, ক্রনিক ও পলিক্রেষ্ট ওষুধ।

মূল বৈশিষ্ট্য : সহজেই রাগ হয় +++, অত্যন্ত সহানুভূতিশীল +++। ধাতুগত বৈশিষ্ট্য : আকৃতি : লম্বা, হালকা পাতলা শরীর, বুক শীর্ণ, গায়ের রং ফর্সা, চোখের ভ্রু, চোখ ও চেহারা বেশ আকর্ষনীয়, নরম,  রেশমী সোনালি বা লাল সুন্দর চুল : ডা. ন্যাস। এক কথায় রাজকীয় চেহারা। প্রথম দেখায় যে কেউ তার প্রেমে পড়ে  যেতে পারে।

অধ্যাপক ডা. স্যারজন ওয়্যার একদিন ক্লাসে ফসফরাস সমন্ধে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফসফরাসের সৌন্দর্য বুঝানোর জন্য পকেট থেকে ইংল্যা ন্ডের দারুণ সুন্দর দিয়াশলাইয়ের বাক্স বের করে ছাত্রদের দেখিয়ে বলেছিলেন এই  হচ্ছে ফসফরাসের রোগী।

চেহারা দেখে বেশ বুদ্ধিমান মনে হয়। ডা.গার্নেসি বলেন ফসফরাসের চুল কালো। স্বাস্থ্য এত শীর্ণ যে হাঁটলে মনে হয় যেন বাতাসে দুলছে। কিশোর কিশোরীরা বয়সের তুলনায় দ্রুত লম্বা হয় এবং রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ঘাড় সামনের দিকে কিছুটা বাঁকা হয়ে বা ঝুঁকে থাকে।

তুলনা :
সালফার ও মেডোরিনাম : শরীরের উপর অংশ কোমর থেকে সামনের দিকে কিছুটা বাঁকা হয়ে বা ঝুঁকে থাকে।  প্রকৃতি : খোলামেলা মনের মানুষ ++, খিটখিটে মেজাজ ++, দ্রুত রাগ হয়, নার্ভাস প্রকৃতির +++, চঞ্চল,আশাবাদী।

কাতরতা : শীত কাতর +++ : ডা. বোগার, ডা. কেন্ট।

মায়াজম : সোরিক +++ (মূলভিত্তি সোরা), সিফিলিটিক +++, সাইকোটিক ++, টিউবারকুলার +++ (নেতৃত্ব অবস্থান)।

প্রবণতা : টিউবারকুলার +++, রক্তক্ষরণ +++, রক্তরস প্রবাহের সরু শিরাসমূহ আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা +++।

পারিবারিক ইতিহাস : বাবা-মার বংশে যক্ষ্মার ইতিহাস থাকতে পারে।

অতীত ইতিহাস : রক্তস্রাব, কন্ঠস্বর বসে যাওয়া, ব্রঙ্কাইটিস, গণোরিয়া, উদ্ভেদ চাপাপড়া ইত্যাদি।

কন্সটিউিশন : টিউবারকুলোসিস +++, সিফিলিটিক +++।

রোগের কারণ : মানসিক পরিশ্রম, সাংঘাতিক আবেগ। তীব্র দুর্গন্ধ, আলো, ঝড়, বজ্রপাত, ধুঁয়া। ভারী জিনিস উত্তোলন করা, অঙ্গ মচকে যাওয়া আঘাত। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ তরল পদার্থের অপচয়, অতিরিক্ত যৌনক্রিয়া। তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফল। চুল কাটলে, কাপড় ধোয়ার কারণে,
গরমের পর বৃষ্টিতে ভিজলে ফসফরাস।

   Read More:Autism হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ২০২৫

বিশেষ লক্ষণসমূহ :

অত্যন্ত শব্দটি দিয়ে ফসফরাসের বিশেষ লক্ষণগুলি সহজে চেনা যায়:

  • অত্যন্ত সুন্দর আকর্ষনীয় চেহারা, লম্বা ও শরীর অত্যন্ত শীর্ণ।
  • বজ্রপাতে, অন্ধকারে ও একা থাকতে অত্যন্ত ভয়।
  • অত্যন্ত তীক্ষ বুদ্ধি, অত্যন্ত চঞ্চল ও অত্যন্ত বাচালতা।
  • ঠান্ডা পানীয়, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম ও চকলেট অত্যন্ত পছন্দ।
  • শরীরের ভিতর ও বাহিরের আক্রান্ত স্থানে অত্যন্ত জ্বালা।
  • অত্যন্ত শীতকাতর কিন্তু মাথায় ও পাকস্থলীর রোগে ঠান্ডা চায় এবং তাতে আরামবোধ করে।
  • বামদিক আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি +++,
  • বাম পাশে কাত হয়ে শুইলে রোগযন্ত্রণা অত্যন্ত বাড়ে
  • অত্যন্ত ক্ষুধা ও অত্যন্ত পিপাসা।
  • মাথা, বুক, পাকস্থলী ও পেটের মধ্যে অত্যন্ত ফাঁকা বা শূণ্যতা অনুভব হয়।
  • রক্তস্রাবের প্রবণতা অত্যন্তবেশি।

ফসফরাস মানসিক লক্ষণ 

মিশুক, চঞ্চল,খুব ফুর্তিবাজ, আবেগপ্রবন ও চটপটে প্রকৃতির (সোরিক)। মানুষকে সহজে বিশ্বাস করে। মন খুলে সব  কথা বলে
কোন কিছু লুকায় না। খুব খোলামেলা

মন : আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম, মেডোরিনাম, ফসফরাস, পালসেটিলা  +++, কার্সিনোসিন, ল্যাকেসিস, নাক্সভম ও সালফার ++। যাদের মন খোলামেলা নয় তাদের সাথে এরা বেশি মিশেনা। সহজ সরল, মার্জিত, রুচিশীল ও পরিছন্ন মনের।

কারো অতীত বা বাজে বিষয় নিয়ে ঘাঁটা-ঘাঁটি করতে চায়না। খুব বুদ্ধিমান, পরিশ্রমী। ফসফরাসের অন্যতম অনুভূতি সে আপনজনের কাছ থেকে যথেষ্ট ভালোবাসা, মূল্যায়ন, মনোযোগ পাচ্ছেনা সে কারণে অন্যের প্রতি খুব খেয়াল রাখে ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে যাতে সকলে তাকে ভালোবাসে। নিজের কাজ বাদ দিয়ে অন্যকে সহযোগীতা করতে চেষ্টা করে। মায়াদয়া বেশি, আনন্দ করে, প্রেমে পড়ে।

অত্যন্ত সহানুভূতিশীল : কার্সিনোসিন, ফসফরাস,স্পঞ্জিয়া +++, ক্যালকেরিয়া-ফস, কষ্টিকাম, ইগ্নেসিয়া, নেট্রাম-মিউর  ও নাক্সভম ++। ফসফরাসের
সহানুভূতির মধ্যে কোন স্বার্থ থাকে না। প্রায় সকলের উদ্বেগের জন্যই সে উদ্বিগ্ন হয়।

তুলনা :
কার্সিনোসিন সকলের প্রতি নিঃস্বার্থভাবে সহানুভূতি দেখায় +++ এবং সকলের জন্য উদ্বিগ্ন হয়। কস্টিকামের সহানুভূতিতে কিছুটা স্বার্থ আছে বলে মনে হতে পারে কারণ এরা অন্যের জন্য উদ্বিগ্ন হলেও আপনজনের  জন্য বেশি হয়।

আপনজনেরা বাড়ির বাহিরে গিয়ে ভালো থাকলেও বা বাসায় ফিরতে দেরী হলে ফসফরাস উদ্বিগ্ন হয় বার-বার  খোঁজ নেয়। নাইট্রিক-এসিডের সহানুভূতির মধ্যে শর্ত ও স্বার্থ থাকে। তাকে যে ভালোবাসে তার প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভুতি  দেখায়, আর যে তার স্বাথের্র ব্যাঘাত
ঘটায় তার ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না।

সহানুভূতিহীন : এনাকার্ডিয়াম-ওরি, ডিজিটেলিস +++, ক্যামোমিলা, প্লাটিনা ও সিপিয়া ++। ফসফরাস সহানুভূতি চায় +++। সান্তনায় মন ভালো হয়।

তুলনা :
পালস সহানুভূতি চায় +++, সান্তনায় মন ভালো হয়। গরম কাতর, পিপাসাহীন। নেট্রাম-মিউর সহানুভূতি চায় না ++। সান্তনায় বিরক্ত হয়। গরম কাতর খব পিপাসা। ইগ্নেসিয়া সহানুভূতি চায় না ++।সান্তনায় বিরক্ত হয়। শীত কাতর। খুব পিপাসা।

সহানুভূতি চায় : আর্সেনিক-এ্যাল্ব, বেলেডোনা, ক্যামোমিলা, হেলিবোরাস, ফসফরাস, পালসেটিলা +++, কার্সিনোসিন,  হ্যামামেলিস, সিপিয়া ও টিউবারকুলিনাম ++।

শিশুরা আত্মীয় বাড়ি, স্কুল, যে কোন অচেনা পরিবেশ সহজেই যে কারো সাথে মিশতে পারে, সম্পর্ক গড়তে পারে। সমবয়সীদের বন্ধু, বড়দের মামা, খালা, চাচা, ফুফু, দাদু, নানী ইত্যাদি সম্পর্ক বানিয়ে ফেলতে পারে। স্নেহ,আদর খুব পছন্দ করে।

ফসফরাস হোমিও ঔষধ
ফসফরাস হোমিও ঔষধ

 

সামান্য ব্যাপারে আদর না করলে কান্না করে। আদর করলে খুশি হয়ে যায়। সব কিছু জানার অত্যন্ত  আগ্রহ, অবিরত প্রশ্ন করেই চলে। বার বার এ কথা সে কথা জিজ্ঞাসা করে। সঙ্গী পছন্দ তাই সঙ্গী খুজার জন্য বাড়ির বাইরে যায়।

খুব একাকীত্ববোধ, খিটখিটে মেজাজ ও বেশি উত্তেজনা প্রবনতার কারণে সামান্য ব্যাপারে রেগে যায়। মনে নিরাশা, আশঙ্কা। প্রায় সব ক্ষেত্রেই উত্তেজনা থাকে। সামান্য ব্যাপারে এত উত্তেজনা খুব কম ওষুধে আছে।

 কনকমিট্যান্ট : যে কোন রোগের সাথে উত্তেজনা প্রবণতা থাকে +++ : ডা. বোগার। ভয় ও শারীরিক যন্ত্রনা সহ্য করার ক্ষমতা একবারেই কম। যেমন সহজে উদ্বিগ্ন অস্থির হয় ও ভয় পায় তেমনই সহজেই  রাগ হয়। সন্ধ্যা বেলায় উদ্বিগ্নতা বাড়ে।

দেয়াশলাইয়ের বাক্স সুন্দর কিন্তু দেয়াশলাইয়ের বাক্সে কাঠি ঘষা দিলেই যেমন নিমেষে আগুন জ্বলে উঠে ঠিক তেমনি  ফসফরাস যথেষ্ট ভদ্র হলেও সামান্য কারনে সহজেই উত্তেজিত হয়।

মনের দূর্বলতার কারনে সামান্য ব্যাপারে বা বেশি  উত্তেজনার পর খুব দূর্বল হয়ে পড়ে তখন শুয়ে পড়ে, মন বিষন্ন হয় ++। উত্তেজনা আনে এমন নাটক, সিনেমা, ভুতের গল্প,ফসফরাস রোমাঞ্চকর কাহিনী বা দৃশ্য দেখতে বা শুনতে পছন্দ করে।

সহজে বন্ধুত্ব করতে পারে। অনেক বন্ধু বা সম্পর্ক সৃষ্টি করে। ভালো বন্ধু, সঙ্গী সাথীদের সাথে খুব আনন্দ করে। বন্ধুদের সার্থকে যথষ্ট গুরুত্ব দেয়। ভালোবাসার প্রতিদান দেয়। খুব আশাবাদী ++ (টিউবারকুলিনাম +++) সৃষ্টিশীল, স্নেহ পরায়ন, শিল্পীমনা, গায়কী স্বভাবের (সোরিক)। অতিথিকে খাওয়াতে পছন্দ করে প্রয়োজনে নিজে না খেয়ে অতিথিকে খাওয়াবে। সবার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়। সমস্ত চিন্তাভাবনা ও কাজের ফাঁকে একটাই ভাবনা অন্যের ভালোবাসা পেতে চায়।

অত্যন্ত পরোপকারী। অন্যের  বাজে আচরনে সহজে কষ্ট পায় তবে সহজেই কষ্ট ভুলে যায়। সান্তনায় উপশম ++ (পালস +++) :
ডা. ভিতলকাস। অত্যন্ত মিশুক নজরে পড়ার মত এদের আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব। অহংকারী নয় কিন্তু কথা বার্তায় চৌকস।

আন্তরিকতা, সৌজন্যবোধ, বুদ্ধিমত্তা সব কিছুতেই অনন্য। সৌন্দর্য্য, চলাফেরা, কথা বলার আর্ট, আচরণ, এদের সব কিছুই হৃদয় স্পর্শ করে। এরা রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পী, শিক্ষক, নার্স, ডাক্তার, বিক্রয় প্রতিনিধি, রাঁধুনি যাই হোক না কেন সব  ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ভালো করে।

মানুষের সাথে মিশে নিজের নিরাপত্তা তৈরী করতে চায়। সঙ্গী পছন্দ বা একা থাকতে ভয় : আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম, আর্সেকি-এ্যাল্ব হায়োসিয়েমাস, কেলি-কার্ব, লাইকোপডিয়াম,  ফসফরাস +++. এপিস-মেল, কনিয়াম, ক্যালকেরিয়া-কার্ব, জেলসিমিয়াম, কেলিফস, পালসেটিলা, স্ট্রামোনিয়াম ++। ফসফরাস : সঙ্গী পছন্দ +++ কারণ একা থাকতে ভয় পায় +++।সান্তনা পেলে ভালো লাগে ++।

তুলনা :
নেট্রাম-মিউর : সঙ্গী অপছন্দ +++ কারণ একা থাকতে ভালো লাগে ++। সান্তনায় বিরক্ত হয় +++। সিপিয়া : সঙ্গী অপছন্দ +++ কিন্তু একা থাকতে ভয় পায় ++। সান্তনা অপছন্দ করে +++। ফসফরাসের মানুষেরা ল্যাকেসিসের মত বেশি কথা বলে তবে ল্যাকেসিসের মত বার-বার বিষয় পরিবর্তন করে এলোমেলো কথা বলেনা বরং নির্দিষ্ট বিষয়ে অর্থপূর্ণ কথাবার্তা বলে। অত্যন্ত উদ্বিগ্নতা +++।

কনকমিট্যান্ট :
মন : উদ্বিগ্নতার সাথে কপালে ঘাম হয় ++ : ডা. নার। ডা. ভিতলকাস ফসফরাসকে মেঘের সাথে তুলনা করেছেন। মেঘ যেমন আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে  বেড়ায় এক জায়গায় স্থির থাকে না তেমনি ফসফরাসের মানুষেরা কোথাও একদন্ড স্থিরভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। অনবরাত নড়াচড়া করে,ফসফরাস একবার উঠে একবার বসে, এদিক চাই, সেদিক চাই

চা’য়ের ধোঁয়া যেমন চা’য়ের সাথে মিশে থাকে আবার বাতাসের সাথেও সহজে মিশে যায় ফসফরাস ঠিক তেমনি মেঘ ও ধোঁয়ার মত সহজে সর্বত্রই যেতে ও মিশতে পারে। সে তার অতীত গৌরব ভুলে, যে কোন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।

বেশ বুদ্ধিমান তবে এদের সহজেই ঠকানো যায় কারণ এরা সহজ সরল ও ভালো মানুষ। অত্যন্ত মেধাবী ফলে এদেরকে এক কথা দু’বার বলা লাগে না। কোন বিষয় সহজেই বুঝে। সব কিছু জানার খুব আগ্রহ। কিছু বললে সহজে বিশ্বাস করে।

অনুমান ক্ষমতা অসাধারণ। অনেক সময় সে ভবিষ্যত বাণী করতে পারে, আন্দাজ করে আগাম অনেক কিছু বলে দিতে পারে। হয়তো সে আন্দাজ করছে বাসায় দুর্ঘটনা ঘটবে, কিম্বা অনেক সময় ঘরে ঢোকার সাথে-সাথে বলে দিতে পারে ঘরে কিছু একটা ঘটেছে। পরে দেখা যায় সত্যি-সত্যি তাই ঘটে গেছে। স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে বিশেষ করে আপনজনের স্বাস্থ্য নিয়ে।

কারো অসুস্থতার কথা শুনলে ভয় পায়, ভাবে যদি  আমার এ রোগ হয় ফলে এ বিষয়ে সচেতন হয় ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তারের চেম্বারে এসে টেবিলের উপর ভর দিয়ে সামনে দিকে ঝুঁকে বসে, হাঁসি খুশি ভাবে কাছাকাছি আসতে চাই।

এরা  হোমিওপ্যাথির জন্য ভালো রোগী কারণ চিকিৎসকের নিকট কোন কিছু গোপন করে না এবং চিকিৎসক আশ্বাস দিলে উদ্বেগ ও ভয় কমে যায় স্বস্থি পায়। চিকিৎসক যা বলে তা আন্তরিকতার সাথে মেনে চলে।

স্বাস্থ্য বা কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা  করলে ডাক্তার বা যে কেউ একটু আশার বাণী শুনালে সহজেই এদের দুশ্চিন্তা দুর হয়। চিকিৎসকে খুব সহজে বিশ্বাসও ভরসা করে, চিকিৎসকের উপর খুব নির্ভরশীল হয়।

তুলনা :
আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম : ভয়, উদ্বিগ্নতা এবং চিকিৎসকের উপর খুব নির্ভরশীলতা।আর্সেনিক-এ্যাল্ব : নানা ধরনের ভয় ও চিকিৎসকের উপর খুব নির্ভরশীল। শরীরে হাত বুলিয়ে দেওয়া খুব পছন্দ করে :

ক্যালকেরিয়া-কার্ব, ফসফরাস, সাইলিসিয়া +++, ল্যাকেসিস ++ এবং হাত বুলিয়ে দিতে বলে কারণ মাথা ও শরীরে হাত বুলিয়ে দিলে বা হালকা সুড়সুড়ি দিলে আরাম লাগে।

ফসফরাস আতঙ্ক বাড়লে, মানসিক ভাবে অসুস্থ হলে স্ত্রী, সন্তান বাবা-মা,ভাই-বোন, বন্ধু সকলের প্রতি উদাসীন ও অলস হয়ে যায়:  এসিড-ফস, সিপিয়া, এসিড-ফ্লোর। তখন কারো প্রতি খেয়াল রাখে না।

সঙ্গী সাথী থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। কথা বলতে চাই না। অনেক সময় অসুস্থ অবস্থায় এরা বেশি বকা-বকি করে। ঘুম থেকে উঠলে মনটা বেশ ভালো হয়ে যায়। সর্বদা বিশ্রাম পছন্দ করে।

দুঃখ ও প্রেমে ব্যর্থতার কারনে অসুস্থতা। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ভালোবাসা সমন্ধে পাগলের মত প্রলাপ বকে ++। উন্মাদ রোগে  প্লাটিনামের মত নিজেকে খুব দামী মনে করে।নারী পুরুষ উভয়েরই প্রচুর যৌন চাহিদা +++ : ডা. ফাটক। লজ্জাহীনতা বা বেহায়াপনা ফসফরাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য :

হায়োসিয়েমাস, ফসফরাস, সিকেলিকর, স্ট্রামোনিয়াম ও ভিরেট্রাম-এ্যাল্ব +++। ন্যাংটা হতে চায় : হায়োসিয়েমাস +++, বেলেডোনা, ফসফরাস, পালসেটিলা, সিকেলিকর, স্ট্রামোনিয়াম, ভিরেট্রাম এ্যাল্ব ++। বজ্রপাত দেখতে পছন্দ করে : কার্সিনোসিন, সিপিয়া ও ফসফরাস ++

ডা. মার্ফি। ডা. এলেন বলেন ফসফরাসের মানুষেরা শব্দ, আলো ও গন্ধ একটু বেশি হলে অত্যন্ত অসহ্য ও বিরক্তবোধ করে। যে কোন শব্দে সহজেই চমকে উঠে ++ : ডা. কেন্ট। বাইরের যে কোন কিছুতেই এরা অত্যন্ত বিচলিত হয়, সহ্য ক্ষমতা একেবারেই কম।

অনুভূতি :

  • মন : ভ্রান্ত ধারনা যেন শরীরের মধ্য দিয়ে আগুনের শিখা প্রবাহিত হচ্ছে +++।
  • মন : ভ্রান্ত ধারণা কেউ তার শ্বাসরোধ করছে।
  • মাথা, বুক, পাকস্থলী ও পেটের মধ্যে ফাঁকা বা শূণ্যতা অনুভব হয় +++ : ডা. কেন্ট।
  • বুকের উপর কিছু চাপান আছে এমন অনুভব হয়।
  • সে মৃত এমন অনুভূতি ++ : ডা. বোগার।
  • মলদ্বার : মলদ্বার ফাঁক হয়ে আছে এমন অনুভূতি +++ : ডা. বোরিক, ডা. মরিশন।
  • সারা শরীরে জ্বালা অনুভব হয়।

জেনারেলস :
একটানা সারা শরীরে অস্থিরতা অনুভব করে +++ : ডা. হ্যানেমান, ডা. দুবে। ভয় : বজ্রপাতে ভয় +++ : ক্যালকেরিয়া-ফস, নেট্রাম-কার্ব, ফসফরাস, স্টাফিসেগ্রিয়া +++,

এসিড-নাইট্রিক, বোরাক্স,  ব্রায়োনিয়া, ক্যালকেরিয়া-কার্ব, কার্সিনোসিন, জেলসিমিয়াম, গ্রাফাইটিস, লাইকোপডিয়াম, নেট্রাম-মিউর, রডোডেন্ড্রন,  সিপিয়া ++।

ক্যানসারে, ভূতের, মৃত্যু, একা থাকতে, অমঙ্গলজনক কিছু ঘটার ভয় : ক্যালকেরিয়া-কার্ব, কষ্টিকাম, সিমিসিফুগা, টিউবারকুলিনাম +++।

হার্টের রোগ হওয়ার +++,তেলাপোকার, দম বন্ধ হওয়ার, পিয়ানো শুনলে ও ডাক্তারকে ভয় ++। সমুদ্র, নদী, লেক বা পুকুরের জলে নামতে ভয় ++ : হায়োসিয়েমাস, লাইসিন, স্ট্রামোনিয়াম +++, বেলেডোনা,  ল্যাকেসিস, ফসফরাস ++।

সমুদ্র, নদী, লেক বা পুকুরের গভীর জলে সাঁতার কাটতে ভয় + : মেডোরিনাম, সোরিনাম। গভীর জলে নামতে ভয় + : ফসফরাস, স্ট্রামোনিয়াম +।

ফিজিক্যাল জেনারেল : শরীরের ভিতরে ও বাইরে অত্যন্ত জ্বালা+++। হাত-পাঠান্ডা,পা’য়ের পাতা বরফের মত ঠান্ডা : ডা. ভিতলকাস।

ক্ষুধা : অত্যন্তক্ষুধা +++, ঘন ঘন খায়, খাওয়ার জন্য রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে। পিপাসা : প্রচুর পিপাসা, অনেকখানি করে ঠান্ডা পানি পান করে +++।

পছন্দ : ঠান্ডা পানীয়, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, লবণ ও টক, ঝাল, দুধ, চকলেট, মদ পছন্দ +++। ভাত বা ঝরঝরে ভাত।  এলুমিনা, ফসফরাস ও স্টাফিসেগ্রিয়া ++। ঠান্ডা দুধ ++, মাছ পছন্দ।

লবণ ও টক সমান পছন্দ : কার্বোভে, নেট্রাম-মি, ফসফরাস, ভিরেট্রাম-এ +++। ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানীয় পছন্দ : একোন, আর্স, ব্রায়ো, ক্যামো, কার্সিন, চায়না, সিনা, ইউপেট-পার্ফো, মার্কসল,  নেট্রাম-সা, ফস,ভিরেট্রা +++।

ঠান্ডা খাবার পছন্দ : ফস, পালস +++, এপিস, ব্রায়োনি, নেট্রাম-সা, সাইলি ও থুজা ++। গরম পানীয় অপছন্দ : ফস, পালস +++, এপিস ++। গরম খাবার অপছন্দ : গ্রাফাই, ফস ও পালস +++, এপিস ++।

ঘাম : সারা শরীরে প্রচুর ঘাম হয় এমন কি সামান্য পরিশ্রম করলে প্রচুর ঘাম হয় +++। দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম ++।

কনকমিট্যান্ট : ঘামের সাথে ভয় হয় ++ : ডা. বোগার।স্নান: শীতকালে বা ঠান্ডার দিনে স্নান করতে চায় না + : ডা. আবু বকর।

অপছন্দ : গরম খাবার, গরম পানীয়, ফল +++, মিষ্টি, মাছ, শাকসব্জি, টমেটো, কফি ++। অসহ্য : গরম খাবার, গরম পানীয়ে রোগলক্ষণ বাড়ে +++,
দুধ ++। ফুলের গন্ধ সহ্য হয় না : গ্রাফাইটিস, নাক্সভোম,  ফসফরাস +++।

ঘুম :অনিদ্রা +++ বা গভীর ঘুম ++। ডান দিকে কাত হয়ে শুইলে তৃপ্তিদায়ক ঘুম হয় +++ : ডা. টাইলার, ডা. নার।

সাংঘাতিক ক্ষুধা ও পিপাসার কারনে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় ফসফরাস।

শয়ন : ডান দিকে কাত হয়ে শুইলে আরাম লাগে +++। বাম দিকে কাত হয়ে শুইতে পারে না কারণ তাতে রোগ বাড়ে  +++। চিৎহয়ে শুইলে আরাম পায় ++। পেটে ভর দিয়ে বা হাঁটুতে ভর দিয়ে মুখমন্ডল বালিশে চেপে শোয় ++।

স্বপ্ন : জীবজন্তু বা জীবজন্তুতে কামড়ানো, উড়ে বেড়ানো, আগুন, মরা মানুষ ও বৃদ্ধ মানুষ স্বপ্নে দেখে ++। বৃদ্ধি : সন্ধ্যায়, মধ্যরাতের পরে বা পূর্বে, বাম কাতে শুইলে, ঠান্ডায়, লবণ খেলে, ক্ষুধা লাগলে রোগলক্ষন বাড়ে +++।

আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনে রোগ বৃদ্ধি হয় +++। সাধারণত গরমে বৃদ্ধি ++। বুক, গলা ও ঘাড়ের সমস্যাসহ অনেক রোগ লক্ষণ ঠান্ডা বাতাস বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি হয় ++।

উপশম : শরীরে হাত বুলিয়ে দিলে, ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা পানীয় পানে, আহারের পর ও ঘুমালে রোগলক্ষন উপশম +++।

বি.দ্র. শুধু পিঠ, মাথা, মুখমন্ডল ও চোখের জ্বালা ঠান্ডা প্রয়োগে উপশম। বাকি সমস্ত রোগলক্ষন উত্তাপে উপশম ++।

আক্রান্ত দিক : শরীরের বামদিক বেশি আক্রান্ত হয় +++, শরীরের উপর অংশ ডান দিক ও নিচের অংশ বাম দিক  আড়াআড়ি ভাবে আক্রান্ত হয় +++।

পার্টিকুলার লক্ষণ : 

  • সন্ধ্যায় স্বরভঙ্গ ও কণ্ঠনালীতে তীব্র ব্যথা।
  • সন্ধ্যায় কথা বললে, হাসলে কন্ঠস্বর বসে যায় বা ফ্যাঁসফ্যাঁস করে।
  • সচরাচর বাম দিকের বুকে কফ জমে।
  • বুকে ভারী কিছু চাপানো আছে এমন অনুভূতি।
  • কফ রক্তবর্ণ বা পুঁজযুক্ত।
  • বুকের মধ্যে তীব্র সুচফুটানো ব্যথা, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, কাশির সময় সারাশরীর কাঁপে।
  • বাম দিকে কাত হয়ে শুইলে এবং ঠান্ডা বাতাসে বৃদ্ধি।
  • ডান দিকে কাত হয়ে শুইলে উপশম হয়।
  • টাটকা ঠান্ডা পানি পানের খুব ইচ্ছা।
  • পাকস্থলী একেবারে ফাঁকা বা খালিবোধ।
  • পাকস্থলীতে তীব্র জ্বালা যা  ঠান্ডা খাবার বা পানীয় পানে উপশম হয়।
  • কোষ্ঠবদ্ধতায় মল শুষ্ক, শক্ত, লম্বা, সরু, বের হতে খুব কষ্ট হয়।
  • পাতলা পায়খানায় মলদ্বার ফাঁক হয়ে আছে এমন অনুভূতি।
  • পাতলা উজ্জল লাল বর্ণের রক্তস্রাব হয় যা জমাট বাঁধে না।

ফসফরাস এর অদ্ভুত ও বিরল লক্ষণ

  • মন : ভ্রান্তবিশ্বাস ফসফরাস দেখে যেন ঘরের কোন থেকে কিছু বের হয়ে আসছে ++।
  • মন : ভ্রান্তবিশ্বাস দেখে যেন ঘরের কোন থেকে অপরিচিত কিছু মানুষ তার দিতে তাকিয়ে খিলখিল করে হাঁসছে বা মুখ ভ্যাংচাচ্ছে।
  • ভয় পাওয়ার ফলে বদহজম +++।
  • কেউ তার ঘরের ভিতর প্রবেশ করলেই কাশি হয় +++।
  • জ্বরের সময় রুচি বেড়ে যায় +++।
  • মাথা ব্যথার সময় ক্ষুধা বাড়ে +++।
  • ফুলের গন্ধ অসহ্য লাগে +++।
  • অনেক সময় সে ভবিষ্যত বাণী করতে পারে, আন্দাজ করে আগাম অনেক কিছু বলে দিতে পারে।
  • গর্ভবতি মহিলা গরম জলে হাত ডুবালে বমি হয় +++ ।
  • শীতকাতর কিন্তু ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা পানীয় ও ঠান্ডা চায় +++।
  • মন : ঘামের সময় কথা কম বলে +++ : ডা. বোগার।
  • মাথা : ফুলের গন্ধে মাথা ঘুরায় +++ : ডা. বোগার।
  • যে কোন গন্ধে মাথা ঘুরায় ++।
  • মন : ঘামের সময় মন বিশৃংখল ও নিস্তেজ হয় ++ : ডা. বোগার।
  • মন : ঘামের সময় অপ্রয়োজনীয় কল্পনা করে ++ : ডা. বোগার।
  • খাবার দেখলে ক্ষুধা কমে যায় ++।
  • মাসিকের পূর্বে কান্না করে ++ : ডা. কেন্ট।
  • পিয়ানোর শব্দ শুনলে মন খারাপ হয়।
  • শরীর সামান্য কাটলে বা আঁচড় লাগলে প্রচুর রক্তপাত হয় কিন্তু রক্তে সহজে জমাট বাঁধেনা।
  • ঝড়ের সময় তীব্র মনোকষ্ট হয় ++।
  • কানের ব্যথা বাতাসে উপশম হয় ++
  • গরম বা ঠান্ডা পানিতে হাত রাখলে দাঁত ব্যথা হয় ++
  • খোলা বাতাসে হাই তুললে হাতে সুড়সুড়ি লাগে ++
  • ঝড়ের সময় হাত-পা ভারী হয়ে যায় ++
  • বায়ু নির্গত হওয়ার সময় মলদ্বার হতে রক্তস্রাব হয় ++।
  • বধিরতায় যে কোন শব্দ শুনতে পায় কিন্তু মানুষের কন্ঠস্বর শুনতে পায় না।
  • উত্তেজনার পর উদরাময় দেখা দেয় + : ডা. বোগার।
  • রক্তস্রাব যতই বাড়ে মাথা ও পেটে ততই ঠান্ডা চায় এবং তাতে আরাম লাগে।
  • গরম খাবার খেলে শরীরে তাপ অনুভব হয় +++।
  • ফসফরাস ঘুমের মধ্যে বিছানা থেকে উঠে ঘুরে বেড়ায় বা ঘরের বাইরে চলে যায় ++ : অধ্যাপক ডা. আবু বকর।
  • সহবাস করলে মাথাব্যথা হয় ++ : ডা. কেন্ট।
  • মন : পর্যায়ক্রমে হাঁসি কান্না হতে থাকে ++ : ডা. কেন্ট।
  • আহারের সামান্য পরেই সাংঘাতিক ক্ষুধা লাগে +++।
  • সকালে হাঁটলে দুধের মত সাদাস্রাব হয় ++
  • পরিশ্রম করার পর রক্তবমি হয় ++।
  • স্বপ্নে রক্ত বা রক্তের পুকুর দেখে ++ ডা. মার্ফি।
  • শীত করলে ক্ষুধা বাড়ে ++।
  • অসুস্থ হওয়ার আগে ক্ষুধা বাড়ে ++।
  • মাসিকের সময় ত্বকে রক্তস্রাবী ক্ষত হয় +++।
  • মাসিকের পর চোখের চারপাশ নীল হয়ে যায় ++।

ফসফরাসের নামের মধ্যে ফসফরাসের মূল লক্ষণসমূহ অর্ন্তনিহিত

Phosphorus :

  • P : Passionate : কামুক/যৌন চাহিদা বেশি।
  • H : Hurry : তাড়াহুড়া করে।
  • O : Open hearted : খোলামেলা মন।
  • S : Sympathetic : সহানুভূতিশীল।
  • P : Prostration after excitement : উত্তেজনার পর ক্লান্তি।
  • H : Haemorrhagic diathesis: রক্তক্ষরন প্রবনতা।
  • O : Offended easily: সহজেই উত্তেজিত হয়।
  • R : Restless: অস্থির।
  • U : Unable to drink water during pregnancy : গর্ভাবস্থায় পানি পান করতে পারে না।
  • S : Stoop Shouldered : কাঁধ সামনের দিকে বাঁকা হয়ে বা ঝুঁকে থাকে।

রোগ লক্ষণ :

মাথা : তরল পদার্থ ক্ষয়ের কারনে মাথা ঘুরে : ফস +++, চায়না, সিপি ++। সকালে ঘুম ভাঙ্গলে মাথা ঘুরায় +++।শোয়া  বা বসা থেকে উঠতে গেলে মাথা ঘুরে +++, ব্রায়োনিয়া ++।

কনকমিট্যান্ট :

  • মাথাঘুরার সাথে ঘাম হয় +++ : ডা. বোগার।
  • মাথাঘুরার সাথে দৃষ্টিশক্তি কমে যায় +++ : ডা কেন্ট।
  • মাথাঘুরার সাথে মাথার ভিতরে ব্যথা হয় +++ : ডা. এলেন।

মাথা ব্যথা : ক্ষুধা লাগলে +++, সহবাস করলে মাথাব্যথা হয় ++।গরম ঘরে, মাথা ঢেকে রাখলে +++,গরম পানীয় পানে +++ (পালস), সূর্য্যদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত ++, গরম খাবার খেলে ++(পালস, সালফ), সন্ধ্যায় মাথাব্যথা বাড়ে  ++। ঠান্ডা বাতাসে +++ ও ঠান্ডা প্রয়োগে ব্যথা কমে ফসফরাস ++।

কনকমিট্যান্ট : মাথাব্যথা : মাথাব্যথার সাথে বমি ভাব বা বমি ++ : ডা. কেন্ট।

তুলনা : সিপিয়া : মাথাব্যথা ঠান্ডার সময় +++, মাথায় ঠান্ডা লাগলে +++।ঠান্ডা বাতাসে, সন্ধ্যায় বাড়ে ++। আহারের পর  +++ ও মাথা ঢেকে রাখলে উপশম হয় ++। নেট্রাম মিউর : মাথা ব্যথা গরমের সময় +++, সকাল ১০টায় +++ বা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃদ্ধি +++ বা সূর্য্যদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত ++ অর্থাৎ সূর্যের তাপে বৃদ্ধি ++। গরম ঘরে বাড়ে ++। খোলা বাতাসে, ঠান্ডা প্রয়াগে বা  ঠান্ডা পানিতে মাথা ধুইলে ব্যথা কমে ++।

কান : শ্রবণশক্তি একবার বৃদ্ধি পায় আবার কমে যায় এভাবে পর্যায়ক্রমে বাড়ে-কমে। অদ্ভূত ব্যাপার সব কিছু ভালো ভাবে শুনতে পায় কিন্তু মানুষের কথা ভালো ভাবে শুনতে পায় না। চোখ : চোখে জ্বালা ও তীব্র ব্যথা, ঠান্ডা পানিতে ধুইলে আরাম লাগে।

তুলনা : চোখের নীচের পাতা ফোলায় এপিস, উপর পাতা ফোলায়-কেলি কার্ব, উভয় পাতা ফোলায় ফসফরাস।

ফসফরাস হোমিও ঔষধ
ফসফরাস হোমিও ঔষধ

মূখ : দাঁতের ব্যথায় রাতে মুখে কাপড় জড়িয়ে রাখতে হয়। দাঁত তোলার পর উজ্জল লালবর্ণের প্রচুর রক্তস্রাব হয়। রক্ত জমাট  বাঁধে না।

নাক : পানির মত তরুণ সর্দি, হাঁচি, কখনো সর্দির সাথে রক্ত বের হয়। সর্দি পেকে সবজে হলুদ বর্ণের হয়। সর্দিলাগার প্রবণতা খুব বেশি। ফুলের গন্ধ অসহ্য লাগে +++ : ফসফরাস, গ্রাফাইটিস, নাক্সভম +++, ল্যাক-কান ++।

ঘাড় গলা : ঘাড় গলার গ্লা- ফুলে বড় হয়ে যায়, ব্যথা করে (স্ক্রুফুলা)। খাদ্যনালীর সংকোচনের ফলে খাবার গিলতে কষ্ট হয়,গলার ভিতরে ব্যথা করে।

স্বরযন্ত্র : কণ্ঠনালীতে ব্যথা ও জ্বালার কারণে কথা বলতে কষ্ট হয়। সন্ধ্যায় কণ্ঠস্বর বসে যায় ++ (কার্বোভেজ +++)।
তুলনা : কষ্টিকাম : সকালে কণ্ঠস্বর বসে যায় ++ (ব্রোমিয়াম ও কার্বোভেজ ++)। কার্বোভেজ : রাতে কণ্ঠস্বর বসে যায় ++ (কার্বো-এ্যানিমেলিস ++)।

বুক : নিউমোনিয়ায় বুকের বাম দিক আক্রান্ত হয়, আক্রান্ত পাশে শয়নে বৃদ্ধি ফলে বাম পাশে কাত হয়ে শুইতে পারে না, ডান পাশে কাত হয়ে শুইলে আরামবোধ করে। ঠান্ডা পানীয় পান করতে চায় এবং তাতে উপশমবোধ করে। উদরাময়  থাকে, আহারে ও নড়াচড়ায় উপশম হয়।

ডা. নার বলেন নিউমনিয়ায় রোগীর যদি মনে হয় তার বুক শক্ত করে বাঁধা রয়েছে +++ এবং ডা. কেন্ট বলেন নিউমনিয়ায় নাকের পাতা উঠা নামা করলে ++ ফসফরাস অসাধারণ ওষুধ। বুকে  সর্দি জমে।

বুকের মধ্যে ফাঁকা অনুভব হয় কিন্তু বুকের উপর ভারী কিছু চাপানো এমন অনুভূতি।শ্বাস গ্রহনে কষ্ট হয়। হৃৎপিন্ড খুব বেশি ধড়ফড় করে। উত্তেজনার পর বা সামান্য নড়াচড়ায় বুক ধড়ফড় করে বা বৃদ্ধি হয় +++

হৃৎপিন্ড : ডা. কেন্ট,  ডা. বোগার। হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি ও ব্যথা বাম দিকে কাত হয়ে শুইলে বৃদ্ধি হয় : ফসফরাস, স্পাইজেলিয়া +++, এগারিকাস, ন্যাজা  ++। বাম পাশে কাত হয়ে শুইলে হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি বৃদ্ধি হয় : ক্যাক্টাস-গ্রা, নেট্রাম-মি, ফসফরাস, সোরিনাম, পালস  +++, ব্যারাইটা-কা, গ্রাফাই, ক্যালমিয়া-ল্যাট, ল্যাক-কানিনাম, ল্যাকেসিস, লিলিয়াম-টি, লাইকো, ন্যাজা, স্পাইজে, ট্যাবেকাম ++।

বাম পাশে কাত হয়ে শুইলে হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি উপশম হয় : আর্জেন্ট-না, ইগ্নেসি, ম্যাগ-মিউর +। ডান পাশে কাত হয়ে শুইলে হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি বৃদ্ধি হয় : এলুমি, আর্জেন্ট-না, লিলিয়াম-টি ++। ডান পাশে কাত হয়ে শুইলে হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি উপশম হয় : ফসফরাস, সোরিনাম +++, ল্যাকেসি, ট্যাবেকাম ++।

কাশি : সূর্যাস্ত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাশি বৃদ্ধি হয়। ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে, কথা বললে বা হাসলে কাশি বৃদ্ধি হয়। জোরে কথা বললে বা পড়লে প্রচ- শুষ্ক কাশি হয় +++।  গলায় অনবরাত সুড়সুড় করে কাশি হয় +++। বাম পাশে কাত হয়ে শুইলে কাশি বাড়ে ++। গরম পানীয়, গরম খাদ্যে কাশি বৃদ্ধি হয় ++। কেউ তার ঘরের ভিতর প্রবেশ  করলেই কাশি হয় +++।

যক্ষ্মার লক্ষণ : ফসফরাসে পূর্ণাঙ্গ যক্ষ্মা প্রকাশ পেলে সন্ধ্যায় কন্ঠস্বর বসে যায়, বুকের মধ্যে শুন্যতাসহ চাপবোধ হয়। শুস্ক  কাশিসহ ব্যথা হয় এজন্য কাশির সময় বুকে হাত দিয়ে রাখে। হাসলে,কাশলে,কথা বললে, ঠান্ডা বাতাসে বাম পাশে কাত হয়ে শুইলে বৃদ্ধি।

এজন্য সর্বদা ডান দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকতে চাই। রক্তবমি দেখা দিলে ঠান্ডা পানি পানের ইচ্ছা আর থাকে না এই অবস্থায় ফসফরাস প্রয়োগ না করা উচিৎ।

পিঠ : পিঠে দুই পাখনার হাড়ের মাঝখানে জ্বালা আর এই জ্বালার সময় পেটে খালিবোধ ও মনে হতাশা থাকে : ডা.  গার্নেসি।

পাকস্থলী : পাকস্থলীতে ব্যথা ও জ্বালা, গরম খাবারে বৃদ্ধি। পাকস্থলীর ব্যথা ঠান্ডা কিছু খেলে কমে। গরম পানিতে হাত  ডুবাইলে বমি আসে। গর্ভাবস্থায় পানি পান করতে, গোসল করতে ও পানিতে হাত দিতে পারে না। এমন কি পানি  দেখলেও বমি আসে ফলে গোসলের সময় চোখ বন্ধ করে রাখে।

পানি পান করার কিছুক্ষন (১০/১৫ মিনিট) পরেই বমি হয়। গরম পানি পান করলে সহ্য হয় না সাথে সাথে বমি হয়ে যায়। সামান্য পানি পান করলে বমি হয়ে যায় : এপোসাইনাম-ক্যান, আর্সেনিক, বিসমাথ, ব্রায়োনিয়া, ক্যাডমিয়াম-সালফ,  ফসফরাস +++। কখনো উজ্জল লাল রংয়ের রক্তবমি হয়।

তুলনা : আর্সেনিক : ঠান্ডা পানি পানের অল্পক্ষন পরেই বমি হয় কিন্তু গরম পানি পান করলে বমি অনেক দেরিতে হয় আরাম  লাগে।

পেট : পেটের মধ্যে কলকল ও গড় গড় শব্দ করে। পেটে সুচ ফুটানোর মত যন্ত্রণা করে। ব্যথায় পেট অনেক সময় স্পর্শকাতর হয়। লিভার বড় হয়, লিভার সিরোসিস (এসিড-মি)। লিভার শুকিয়ে যায়, হেপাটাইটিস। মারাত্মক জন্ডিস। পেটে পানি জমে পেট বড় হয়ে যায়। জ্বর

সন্ধ্যায় বৃদ্ধি : একোনাইট, বেলেডোনা, চায়না, ল্যাকেসিস, লাইকো, ফসফরাস, পালসেটিলা, রাসটক্স, সাইলিসিয়া  +++ ইত্যাদি।

জ্বালা : এটি জ্বালার খুব বিখ্যাত ওষুধ। প্রায় সকল অসুখের সাথে জ্বালা থাকে। দুই স্কন্ধের মাঝে মেরুদন্ডে অত্যন্ত জ্বালা  +++। হাত, হাতের
তালু, বুকের মধ্যে, ফুসফুস, পাকস্থলী, পেটসহ সর্বশরীরে জ্বালা। জ্বালা ঠান্ডায় উপশম।

কনকমিট্যান্ট :
মন : যে কোন রোগের সাথে জ্বালা থাকে +++ : ডা. বোগার।

ডা. ন্যাসের মতে জ্বালার ৩টি শ্রেষ্ঠ ওষুধের মধ্যে তুলনা :

ফসফরাস : জ্বালা ও ব্যথা ঠান্ডায় উপশম। আর্সেনিক : আগুনের মত ঠান্ডা ও ব্যথা উত্তাপ প্রয়োগে উপশম। সালফার : ঠান্ডাও ব্যথা ঠান্ডায়উপশম।

মল : যে সব ব্যক্তি ক্রনিক পাতলা পায়খানায় ভুগে তাদের ক্ষেত্রে ফসফরাস দারুন কাজ করে : ডা হ্যানেমান। মলে সাগু  দানার মত সাদা-সাদা পদার্থ ভাসে এটি একটি মূল্যবান লক্ষণ। ঠান্ডা খাবার খেলে উদরাময় উপশম হয় +++।

ফসফরাস এর মল সবুজবর্ণের বা রক্তমিশ্রিত। গরম পানীয়, গরম খাদ্যে উদারাময় বৃদ্ধি হয় ++। নিজের অজান্তে বা কোন অনুভূতি ছাড়াই  মল বের হয়ে যায় +++।

তুলনা : মলদ্বার ফাঁক হয়ে থাকে : এলো, ফস +++, সিকেলি ++। ফসফরাস : কলেরা ও পাতলা পায়খানাসহ মলদ্বার ফাঁক হয়ে থাকে। এপিস : অসাড়ে মল নিঃসরনসহ মলদ্বার ফাঁক হয়ে থাকে।

কোষ্ঠবদ্ধতা : ফসফরাস : মল শুষ্ক, শক্ত, লম্বা, সরু, বের হতে খুব কষ্ট হয় : ডা. গার্নেসি। নেট্রাম-মিউর : মল শুষ্ক, শক্ত, লম্বা, মোটা, বের হতে খুব কষ্ট হয়।

রক্তস্রাব : সহজেই রক্তক্ষরনের প্রবনতা : ক্রোটেলাস, ফেরাম-মেট, ফসফরাস, ল্যাকেসিস +++। সামান্য ক্ষত, নাক,  মুখ, মলদ্বার, মুত্রদ্বার দিয়ে প্রচুর রক্তস্রাব হয় সহজে বন্ধ হতে চায় না।

রক্ত উজ্জল লালবর্ণের পানসে। ক্রনিক রক্তক্ষণের  চেয়ে তরুণ রক্তক্ষণে ফসফরাস বেশি কার্যকরী। রক্ত জমাট বাঁধে না +++ : এসিড না, ফেরাম-ফ, ইপি, ল্যাকে, ফস  +++, কার্বোভে, ক্রোটেলাস-হরি, মিলিফো ও সিকেলি ++।

স্ত্রীরোগ : ঘন ঘন ও প্রচুর পরিমানে মাসিক হয় এবং দীর্ঘদিন থাকে। স্ত্রীলোকদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে নাক, মুখ দিয়ে রক্তস্রাব হয়। হিলাদের অত্যন্ত যৌন উত্তেজনা অথচ সহবাসে অনিচ্ছা। প্রচুর হলুদ বর্ণের সাদাস্রাব, জননেন্দ্রীয় : অতিরিক্ত উত্তেজনা, হস্তমৈথুসের ফলে ধ্বজভঙ্গ।

অত্যাধিক যৌন চাহিদা কিন্তু ক্ষমতা নাই : এগারিকাস, এমন-কার্ব, ক্যালকেরিয়া-কার্ব, কনিয়াম, গ্রাফাইটিস, লাইকো,  সেলিনিয়াম, ফসফরাস +।

কনকমিট্যান্ট : মন : যৌন উত্তেজনার সাথে মানসিক দুর্বলতা দেখা দেয় ++ : ডা. স্মিথ।

মূত্রযন্ত্র : মূত্রথলী প্রস্রাবে পূর্ণ অথচ প্রস্রাবের বেগ বা প্রস্রাব হয় না। প্রসাবে তীব্র জ্বালা। কারো আবার অসাড়ে প্রস্রাব হয়ে  যায় +++।

ত্বক : দাদ, শুষ্ক একজিমা বা রক্তস্রাবী একজিমা, সোরিয়েসিস, রক্তস্রাবী বসন্ত। ত্বকে ছোট ছোট কালো, নীল দাগ পড়ে,  চামড়ার নীচে কোন কোন স্থানে রক্ত জমে।রক্ত বর্ণের টিউমার বা জন্ম থেকেই মাংশপিন্ডের মত রক্তবর্ণের টিউমার।

দূর্বলতা : উদ্বিগ্ন হলে বা সামান্য পরিশ্রম করলে শরীর, হাত-পা কাঁপে। শরীরের পেশীসমূহ লাফায়। ঘন ঘন খায় তা না  হলে দুর্বল হয়ে পড়ে।

টনসিল : টনসিল বা অনেক রোগ যদিও ঠান্ডায় বৃদ্ধি হয় তারপরও তার ঠান্ডাই পছন্দ। এটি টিউবারকুলার মায়াজমের বড়  বৈশিষ্ট্য।

পক্ষাঘাত : পক্ষাঘাতে আক্রান্ত অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ফুলে যায়।

কনকমিট্যান্ট : মন : পক্ষাঘাতের সাথে পাগলামো করে ++ : ডা. বোরিক।

ব্যথা : ব্যথা ধীরে আসে, ধীরে যায় ++ : ডা. কেন্ট, ডা. বোগার।

শরীর কাঁপে : সামান্য পরিশ্রম করলে শরীর কাঁপে +।

কনকমিট্যান্ট :

  • মন : পক্ষাঘাতের সাথে পাগলামো করে ++ : ডা. বোরিক।
  • মন : ঘামের সাথে ভয় হয় ++ : ডা. বোগার।
  • মন : যৌন উত্তেজনার সাথে মানসিক দুর্বলতা দেখা দেয় ++ : ডা. পিয়ারি স্মিথ।
  • মন : যে কোন রোগের সাথে উত্তেজনা ও জ্বালা থাকে +++ : ডা. বোগার।
  • মন : উদ্বিগ্নতার সাথে কপালে ঘাম হয় ++ : ডা. নার।
  • মাথাঘুরা : মাথাঘুরার সাথে ঘাম হয় +++ : ডা. বোগার।
  • মাথাঘুরা : মাথাঘুরার সাথে দৃষ্টিশক্তি কমে যায় +++ : ডা কেন্ট।
  • মাথাঘুরা : মাথাঘুরার সাথে মাথার ভিতরে ব্যথা হয় +++ : ডা. এলেন।
  • মাথাব্যথা : মাথাব্যথার সাথে বমি ভাব বা বমি ++ : ডা. কেন্ট।

 

ফসফরাস হোমিও ঔষধ এর কাজ কি

বিজ্ঞ চিকিৎসকদের ফসফরাস এর পর্যবেক্ষন,অভিজ্ঞতা ও মতামত

  • ফসফরাসে এক ধরনের উত্তেজক পদার্থ থাকে যা হাড়ের শেষ প্রান্তসমূহ দ্রুত বৃদ্ধি করে ফলে ফসফরাসের রোগীরা বয়সের
  • তুলনায় বেশী লম্বা হয়।
  • প্রাণীদেহে মাত্রাতিরিক্ত ফসফরাস থাকলে দেহের গ্লুকোজ ও চর্বি ধ্বংস করে, প্রয়োজন মাফিক চর্বি উৎপন্ন হতে দেয় না ফলে ফসফরাসের রোগীদের শরীর শীর্ণ বা চিকন হয়।
  • ডা. স্যার জন ওয়্যার বলেন ফসফরাসের রোগী যেন একটি দিয়াশলাই এর বাক্স। ফসফরাসের মানুষেরা দিয়াশলাই এর বাক্সের মত দারুণ সুন্দর।
  • দিয়াশলাই’য়ের বাক্সে যতক্ষন আগুন ধরে নাই ততক্ষন সুন্দর স্বভাভাবিক, আগুন ধরলেই নিমিষে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অনুরুপ ফসফরাসের মানুষেরা এমনিতে খুব বেশ ভালো তবে রাগলে খুব উত্তেজনাপ্রবন হয়, আর উত্তেজনার পর নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
  •  দীর্ঘদিন টিউবারকুলার দোষে ভুগার পর এরা নীরব পাগলে পরিণত হয়। ঘরের কোন বসে থাকে। তখন এরা কথা কম বলে। ফসফরাস অশ্লীল আচরণ করে, লজ্জাস্থান প্রদর্শন করে।
  • কলেরায় মলদ্বার ফাঁক হয়ে অসাড়ে মল নির্গত হতে থাকে। তাই মলদ্বার সংকুচিত করার জন্য এই ক্ষেত্রে ফসফরাসের পূর্বে নাক্সভম দিতে হয় : ডা. হেরিং, ডা. কেন্ট ও ডা. বেল।
  • নিউমোনিয়ায় ফসফরাসের পরিপুরক হিসাবে সালফার নয় টিউবারকুলিনাম উত্তম কাজ করে।
  • অত্যন্ত ক্ষুধা, বুক, পাকস্থলী ও মাথায় শূণ্যতাবোধ সেই সাথে দুর্বলতাবোধ করতে থাকে। এমন অবস্থায় ফসফরাস উচ্চশক্তি প্রয়োগ বিপদজনক।
  • মাসিকে অত্যাধিক রক্তস্রাবের কারণে বন্ধ্যাত্ব হয় : সোরা দোষ : ডা. হ্যানেমান।
  • অতিরিক্ত যৌন চাহিদার কারণে বন্ধ্যাত্ব : সোরা দোষ : ডা. হানেমান।
  • যদিও ঠান্ডা পানীয় খুব পছন্দ কিন্তু রক্তবমি দেখা দিলে ঠান্ডা পানীয় পানে চাহিদা থাকেনা। এই অবস্থায় ফসফরাস  প্রয়োগ না করাই উচিত।
  • মধ্য বয়সে রক্তস্রাব প্রবণতা ধ্বংসের দিকে যেতে থাকে। তখন প্রচুর পুষ্টিকর খাদ্য খেলেও কাজে লাগে না শরীর ক্রমে ক্রমে দুর্বল হতে থাকে। পছন্দের সব খাবারে রোগ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে ফসফরাস প্রয়োগ না করাই উচিৎকারণ এতে রোগী দ্রুত মৃত্যুর পথে এগিয়ে যায়। তখন আরোগ্যের অবস্থা থাকেনা। তবে এ ক্ষেত্রে ফসফরাসের আংশিক পরিপুরক কোন ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।
  • উত্তেজনা ও জ্বালা এর মূল্যবান লক্ষণ : অধ্যাপক ডা. আবু বকর।
  • ফুসফুসের রক্তস্রাবে ফসফরাস উচ্চশক্তি প্রয়োগ করা ঠিক নয়। কারণ তাতে উপশম না হয়ে বরং অতি দ্রুত গতিতে  মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই প্রকার রক্তস্রাব পরিপূর্ণ যক্ষ্মার পূর্বাভাস।
  • যারা শীর্ণ হয়ে জন্মে বা ক্রমশ শীর্ণ হতে থাকে দূর্বল ও দ্রুত লম্বা হয় তাদের শরীরে যক্ষ্মার স্পষ্ট লক্ষণ বহন করছে।
  • সামান্য ক্ষত হতে প্রচুর রক্তস্রাব প্রবণতার ফলে জরায়ুতে টিউমার হতে পারে। ইহা খুব কষ্টকর ও বিপদজনক।
  • অল্পে ঠান্ডা লাগা,অতিরিক্ত রক্তস্রাব ও উদরাময়ের প্রবণতা অকাল মৃত্যুর ইংগিত বহন করে।
  • ফসফরাসের রোগী শিশুকাল থেকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত প্রায় সর্বাবস্থায় ফসফরাসের লক্ষণ বহন করে।
  • কেউ রোগীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিলে রোগী যদি তাতে আরামবোধ করে তবে ফসফরাসের ক্ষেত্রে লক্ষণটিকে গুরুত্ব দিবেন।
  • ফসফরাস পাকা মদখোরদের মদের নেশা দুর করে।
  • ফসফরাসের রোগীরা গরমে ঘাম ও শীতকালে সর্দিতে খুব কষ্ট পায়।
  • ফসফরাস দুঃখের কারণে পরবর্তীতে নেট্ট্রামে পরিনত হতে পারে।
  • কোন রোগী যখন বলে তার পেটে কোন রকম খাবারই সহ্য হয় না তখন ফসফরাসকে স্বরণ করবেন।
  • মাঝে মঝে এর রোগীদের কন্ঠস্বর বসে যায় আর বার-বার কন্ঠস্বর বসে যাওয়া যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব লক্ষণ।
  • এদের শরীরের যে কোন স্থান থেকে যেমন সহজেই রক্তস্রাব হয় তেমনি সহজেই উদরাময় ও নিউমোনিয়ায় ঘনঘন  আক্রান্ত হয়।
  • হোমিওপ্যাথিক ওষুধের উচ্চশক্তি সহ্য হয় না রোগ বৃদ্ধি পায় : (কিছু রোগীর ক্ষেত্রে) : এসিড-নাইট্রিক, আর্সেনিক,
  • মেডোরিনাম, ফসফরাস +++, থুজা ++।
  • এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ সহ্য হয় না : এসিড-নাইট্রিক, মেডোরিনাম, মার্কসল, পালসেটিলা, সালফার +++, আর্সেনিক,  নাক্সভম, ফসফরাস ++।

সতর্কতা : ফুসফুসের যক্ষ্মা, জ্বর, ধ্বজভঙ্গ ও নিউমোনিয়ায় খুব সাবধানতার সাথে ফসফরাস ব্যবহার করতে হয়। বিশেষত ফুসফুসের যক্ষ্মায় এবং বুক, পেট ও মাথার মধ্যে খালি খালি বোধ সেই সাথে দুর্বলতা থাকলে উচ্চশক্তি ব্যবহার বিপদজনক।

ফুসফুসের যক্ষ্মায় উচ্চশক্তি প্রয়োগ করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে রোগীর জীবণ মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। এক্ষেত্রে ৩০ শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ফসফরাসের আগে বা পরে কষ্টিকাম ব্যবহার নিষেধ। ওষুধ চলাকালীন কাঁচা লবণ ও রসুন না খাওয়া উচিত +++ কারণ অনেক সময় এইসবে ওষুধের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।

বিষক্রিয়া : ফসফরাসের বিষক্রিয়ায় শরীর হলদে হয় ও শুকিয়ে যায়, টিসু, লিভার, ফুসফুস ও হাড়কে আক্রমন করে। ক্যাম্ফর, কফিয়া ও নাক্সভম ফসফরাসের ক্রিয়া নষ্ট করে।ইহা আয়োডিন, হিপার ও অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফল দুর করে।

পরামর্শ : অন্য চিকিৎসার পর রোগী এলে যদি ফসফরাস প্রয়োগের দরকার হয় তবে ফসফরাসের পূর্বে একদাগ উচ্চশক্তির নাক্সভম প্রয়োগ করা ভালো : অধ্যাপক ডা. আবু বকর। অনুপূরক : আর্সেনিক।

ধন্যবাদান্ত :
ডা. মোহা. আশরাফুল হক
প্রভাষক
মেটেরিয়া মেডিকা বিভাগ
সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সাভার, ঢাকা।
ফোন : 01718 520 306
Share this content:

Dr. Khatun invites you to join her in this journey with City Homeo. Your engagement and encouragement are crucial in advancing this endeavor. Together, we can strive towards a healthier community and a better tomorrow.