হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও চিকিৎসা[2024]- আপনি কি হোমিওপ্যাথি বিশ্বাস করেন যা কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই বিস্ময়কর কাজ করে? হ্যাঁ, তাহলে হোমিওপ্যাথিই হল নিরাময়ের একটি সামগ্রিক পদ্ধতি যা প্রায় আড়াই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এবং প্রতিদিনই জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে।

এই ব্লগে, আমরা হোমিওপ্যাথি ওষুধের বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসায় তাদের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও সুস্থ থাকুন। আমরা রোগের নামে চিকিৎসা করিনা। এখানে এমন কিছু ঔষধ আছে যা মুমূর্ষ অবস্থায় কাজে লাগে। লক্ষণ মিলিলে এই ঔষধগুলো প্রয়োগ করিতে পারিলে অপূর্ব ফল পাবেন। চলুন জেনে নেই –
হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও চিকিৎসা
- অনিদ্রা-প্যাসিফ্লোরা, রাওলফিয়া।
- অকালবার্ধক্য – পিটুইটারী, টেষ্টিস।
- অর্বুদ ( স্তনগ্রন্থির ) – টিউবারকুলিনাম,স্কিরিনাম।
- আক্ষেপ, তড়কা – প্যাসিফ্লোরা, প্রোটিয়াস।
- আন্ত্রিক ক্ষত – মর্গ্যান গার্টনার, ব্যাসিলাস ডিসেন্টি কা।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা – ইনফ্লুঝিনাম, এভিয়ারি।
- ইরিসিপ্লাস – ষ্ট্যাফাইলোকক্কাস,ইচিনেশিয়া।
- উন্মাদ রোগ – রাওলফিয়া, টিউবারকুলিনাম।
Read More:টিউমার কিউর হোমিওপ্যাথিতে
- এডিসন্স পীড়া (Addison’s disease) – সুপ্রারেনাল।
- ক্রিমি রোগ- স্কিরিনাম।
- কোলাই জীবাণু আক্রান্ত – ব্যাসিলাস কোলাই।
- ক্যান্সার সম্ভাবনা – রেডিয়াম ব্রোম।
- ক্যান্সার (স্তনের ) – স্কিরিনাম।
- কার্বাঙ্কল – ইচিনেশিয়া, সিজিজিয়াম।
- গ্রন্থিবৃদ্ধি (Adenoid ) – ব্যাসিলিনাম।
- গলকোষ প্রদাহ – ষ্ট্যাফাইলোকক্কাশ, ল্যাক ভ্যাকসিনি ফ্লক।
- গণোরিয়৷ – গণোকক্কাস, পেনিসিলিন, ভেসিকেরিয়া।
- গলবেদনা – ইচিনেশিয়া, ল্যাক ভ্যাকসিনি ফ্লক।
- গলগণ্ড – থাইরয়েডিন, থাইরো আয়োডিন।
- গ্যাংগ্রিন – ইচিনেশিয়া।
- চর্মরোগ – মর্গ্যান পিওর, এক্স-রে।
- চর্মরোগ (সোরিয়েসিস) – থাইরয়েডিনাম।
- চক্ষুরোগ – ল্যাক ফেলিনাম।
জ্বর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- জ্বর (বিশৃঙ্খলাযুক্ত) – টিউবারকুলিনাম।
- জ্বর (রেমিটেন্ট) – টিউবারকুলিনাম।
- জ্বর (টাইফয়েড) – টাইফয়েডিনাম, ক্লোরামফেনিকল।
টিটানি – প্যারাথাইরয়েড।
ডিপথেরিয়া—ইচিনেশিয়া,ল্যাক ভ্যাকসিনি ফ্লক।
তাণ্ডব রোগ – প্রোটিয়াস।
দদ্রু – ব্যাসিলিনাম।
ধাতুদৌর্বল্য – শ্যালিক্স নাইগ্রা, টেষ্টিস।
নিউমোনিয়া – টিউবারকুলিনাম, নিউকোকক্কাস (পিউর মালটি-ভ্যালেন্ট)।
নেফ্রাইটিস ( মূত্রপিণ্ড প্রদাহ)– কচের লিম্প।
নখকুনি – ম্যাগনেটিস পোলাস অষ্ট্ৰেলিস।
প্রতিশ্যায় রোগ( নাসিকা মুখাদিতে জলস্রাব) – টিউবারকুলিনাম।
পলিপাস (নাসিকার ) – হিপ্পোজিনিয়াম।
পায়ের কড়া – এক্স-রে।
পুরাতন ক্ষত হইতে রক্তস্রাব – ম্যাগনেটিস পোলি অ্যাম্বো।
পিত্তশিলা (শূল) – কোলেষ্টেরিয়াম।
পক্ষাঘাত (কম্পনশীল ) – প্যারাথাইরয়েড।
প্রসাবাস্তিক সেপটিক জ্বর – ইচিনেশিয়া।
প্রদর আব – এলিটিস।
প্রসবান্তিক দুর্বলতা – এভেনা স্যাটাইভা।
ফোড়া – ষ্ট্রেপ্টোকক্কাস।
ব্রঙ্কাইটিস ( ব্রঙ্কোরিয়া) – হিপ্পোজিনিয়াম।
বসন্ত রোগ – ভেরিওলিনাম।
বয়:ব্রণ – ব্যাসিলাস একনি এট ষ্ট্যাফাইলো।
বহুমুত্র (শর্করাসার} – ইউরেনাম নাইটিক, ইনসুলিন, সিজিজিয়াম।
বাত (গ্রন্থিবাত) – রেডিয়াম ব্রোম।
মেনিঞ্জাইটিস (টিউবারকুলার)- ব্যাসিলিনাম, সাইকোটিক কো।
মূত্রাশয় প্রদাহ – মর্গ্যান গার্টনার, ভেসিকেরিয়া।
মৃগী রোগ – মর্গ্যান গার্টনার, প্যাসিফ্লোরা।
মূত্রকৃচ্ছ তা ও অবাধ মূত্র (বৃদ্ধদের ) – পিটুইটারি।
বামনত্ব (ক্রেটিনিজম) – থাইরয়েডিন।
রজোনিবৃত্তিকালীন পীড়৷ – মর্গ্যান পিওর।
রক্তের নিম্ন চাপ-ব্যাসিলাস নং “৭”।
রক্তস্রাব – এড্রিনালিন।
রক্তচাপ (উচ্চ ) – রাওলফিয়া, পিটুইটারি।
শিড়পীড়া – টিউবারকুলিনাম।

শিশুর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- শিশুর উদর পীড়া – গার্টনার।
- শিশুর অতি বৃদ্ধি – পিনিয়েল।
- শিশুর শীর্ণত – থাইরয়েডিন।
- শিশুর কোষ বৃদ্ধি – থাইমাস।
স্ত্রীরোগ – ল্যাক ভ্যাকসিনি,কর্পাস লুটিয়াম,ওভারি, ম্যামারি গ্ল্যাও,এলিটি স,ভাইবার্ণাম প্রুনি। সূতিকা জ্বর – ষ্ট্যাফাইলো, ইচিনেশিয়া।
সিফিলিস – পেনিসিলিন, ইচিনেশিয়া, ক্যাসকারা এমারগো। সৰ্প দংশন – ইচিনেশিয়া। স্নায়বিক দৌর্বল্য (টনিক) – এভেননা স্যাটাইভা, এলফালফা। হাঁপানি – ব্যাসিলিনাম, হিপ্পোজিনিয়াম, ব্যাসিলাস নং “৭”, প্যাসিফ্লোরা। হুপিং কাশি – পার্টুসিন, ক্লোরামফেনিকল।
- হাম রোগ – মরবিলিয়াম।
- হার্টফেল সম্ভাবনা – এড্রিনেলিন।
- হাতের তালুর চর্মরোগ – এক্স-রে।
- হৃৎরোগ, হৃৎশূল (টনিক) – ক্রেটিগাস।
- হিষ্টিরিয়া – প্রোটিয়াস, প্যাসিফ্লোরা।
- হার্টফেল সম্ভাবনা – এড্রিনেলিন।
- হাতের তালুর চর্মরোগ – এক্স-রে।
- হৃৎরোগ, হৃৎশূল (টনিক) – ক্রেটিগাস।
- হিষ্টিরিয়া – প্রোটিয়াস, প্যাসিফ্লোরা।
READ MORE : হোমিওপ্যাথি টিউবারকুলার মায়াজম
হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও চিকিৎসা – হোমিওপ্যাথি কোন রোগের কি ঔষধ এখানে তা তুলে ধরা হয়েছে। আসা করি আপনাদের প্যাক্টিসে কাজে আসবে। এটি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, লক্ষণ হল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি নির্দিষ্ট ওষুধের লক্ষণগুলির একটি বিবরণ যা রোগীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লক্ষণগুলি রোগীর শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। হোমিওপ্যাথিতে, একজন রোগীকে তার লক্ষণগুলির একটি বিস্তারিত বিবরণ দিতে বলা হয়। এই তথ্যটি ব্যবহার করে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক একটি ওষুধ নির্বাচন করেন যা রোগীর লক্ষণগুলির সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটিকে “সদৃশের দ্বারা নিরাময়” (similia similibus curantur) নীতি, যা বলে যে একটি ওষুধ সেই রোগের লক্ষণগুলির একটি সেট তৈরি করতে পারে যা এটি নিরাময় করতে ব্যবহৃত হয়।
হোমিওপ্যাথিতে সর্বাবস্থায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ চিকিৎসা রয়েছে। লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ নির্বাচন হলে হোমিওপ্যাথিতে অধিকাংশ সমস্যাই সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং সারা জীবন ঔষধ খেয়ে যেতে হয় না। প্রয়োজন শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা। যাতে আপনি আপনার অবস্থার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পান। আমার এই ব্লগ যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান অথবা যে টপিক সম্পর্কে জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কমেন্ট করুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আমার পেজে। আমি চেষ্টা করব আপনাদের মনের মত করে উত্তর দেওয়ার জন্য। ধৈর্য ধরে এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Resources:
2 thoughts on “হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও চিকিৎসা[2024]”
Comments are closed.