বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ – বায়ু নিঃশ্বাসের দ্বারা ফুসফুসের মধ্যে আসে এবং প্রশ্বাসের দ্বারা ফুসফুস হতে বের হয়ে যায়। এটাই ফুসফুসের স্বাভাবিক কাজ। ফুসফুসের মধ্যে স্পঞ্জ এর মত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত আছে।
তার মধ্যে বায়ু থাকে, এই বায়ুথলিগুলোকে এয়ার সেল বলে। এ সমস্ত বায়ু ভিতরে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি আবরণ থাকে। কোন কারণে যদি বুকে কফ জমে এই শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি আক্রান্ত হয়ে ঐ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো বন্ধ হয়ে যায় তখন শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

আজকে একটি অত্যন্ত জটিল রোগ নিয়ে আলোচনা করব। এটা তো কম বেশি আমরা একটা সময় কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়েছি বা হই।আশা করছি আপনার আমার সাথেই থাকবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক। জেনে নেওয়া যাক আজকে কি কি টপিক নিয়ে আলোচনা করব-
- বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
- দ্রুত শ্বাসকষ্ট নিবারণের ঔষধ
- বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট কারণ বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট কারণ
- বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট লক্ষণ বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট লক্ষণ
- পরিশেষে বলতে চাই
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম
- একোনাইট
- এন্টিমটার্ট
- এমনকার্ব
- ব্রায়োনিয়া
- বেলেডোনা
- ক্যালকেরিয়া কার্ব
- ক্যামোমিলা
- হিপার সালফার
- হায়োসিয়েমাস
- ইপিকাক
- মার্কসল
- পালসেটিলা
- স্পঞ্জিয়া
- ফসফরাস
- স্ট্যানাম
- সালফার
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যা বংশসূত্রে প্রাপ্ত এই রোগগুলোকে সমূলে ধ্বংস করে রোগীকে আরোগ্যের পথে নিয়ে যায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বহু রোগ হতে রক্ষা করে।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে এমন ভাবে তৈরি করে যে, শরীর এই রোগ উৎপাদক সব থেকে অধিক উত্তেজিত হয় না। লক্ষণ অনুযায়ী নিচের ঔষধগুলো দেওয়া হয়।
দ্রুত শ্বাসকষ্ট নিবারণের ঔষধ
অত্যধিক শ্বাসকষ্টের সময় তাৎক্ষণিক উপকারের জন্য সেনেগা, নক্স ভম, আর্সেনিক, পোথোস ফিটিডাস (pothos foetidus), কার্বোভেজ প্রবৃত্তি ঔষধগুলো দেওয়া হয়।
একোনাইট: বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট রোগের প্রথমাবস্থায় বিশেষ উপকারী। সর্দি জ্বর শুষ্ক কাশি, গলা সুর সুর করা, কাশির জন্য সুস্থ্য হয়ে ঘুমাতে পারে না, শ্বাসকষ্ট ঘুম ভেঙে যায়।
সকালে এবং সন্ধ্যায় কাশি, পিপাসা ইত্যাদি লক্ষণে এই ঔষধটি প্রয়োগ হয়। রোগটি হঠাৎ আক্রমণ হবে তবে মৃত্যু ভয় থাকবে, মৃত্যুর ভয়ের সাথে দিন তারিখও বলে দেবে।
এন্টিমটার্ট: সর্দি প্রধান শিশু এবং বৃদ্ধদের বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টে উপযোগী ঔষধ। শ্বাসনালীর মধ্যে অধিক কফ জমে এবং গলার মধ্যে ঘড় ঘড় শব্দ করে, সুড় সুড় করে কাশি, মধ্যরাত্রির পর কাশির বৃদ্ধি।
রোগী মনে করে কাশলে বোধ হয় কফ উঠবে কিন্তু উঠে না। বুকের ভিতর প্রচুর পরিমাণে সর্দি জমে ঘড় ঘড় শব্দ করে কিন্তু কাশিলে উঠে না। শ্বাসকষ্টের ভাব বর্তমান ও বুকের মধ্যে শ্লেষ্মার ভাব অধিক লক্ষণে এটি প্রযোজ্য।
ব্রায়োনিয়া: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বাসনালী প্রদাহ হলে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টে এই ঔষধটি প্রয়োগ হয়। শুষ্ক কাশি বুকে সূচি বিদ্ধবধ ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন নিশ্বাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি লক্ষণে প্রযোজ্য।
এটির চরিত্রগত লক্ষণ খোঁচামারা ও ছিড়ে ফেলার মত ব্যথা, ঐ ব্যথা সঞ্চালনে বৃদ্ধি এবং বিশ্রামে উপশম। শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী সমূহ সর্বত্র শুষ্ক হয়ে যায়। রাত্রে কাশি, শুষ্ক কাশি, কাশতে কাশতে উঠে বসে। আহার অথবা পানের পর কাশির বৃদ্ধি। শ্লেষ্মা ইটের বর্ণ, চটচটে ও জেলির মত।
Read More:হরমোনের হোমিও চিকিৎসা
বেলেডোনা: রোগের প্রথমাবস্থায় এটি ভাল কাজ করে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্বাসনালী আক্রান্ত হলে এটিতে যথেষ্ট উপকার হয়। অত্যন্ত জ্বর, কাশি, মাথা ধরা সামান্য প্রলাপ, অল্প অল্প কফ বা সর্দি উঠলে এটি বিশেষ উপযুক্ত।এটি কঠিন অবস্থায়ও ব্যবহার করা যায়।
এটি চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উত্তাপ, রক্তিমভাব, দপ দপ করা এবং জ্বালা। এটি শিশুদের উপযোগী ঔষধ। খুস খুস করা, অল্পক্ষণ স্থায়ী শুষ্ক কাশি রাত্রে বৃদ্ধি, স্বরভঙ্গ , স্বরযন্ত্র ব্যথা। স্বরযন্ত্রে ক্ষতবং ব্যথা, শ্বাসক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত কাশির সময় মনে হয় গলায় একটা কিছু আটকে আছে। বাঁশীর মত উচ্চস্বর, নিশ্বাসে শব্দ।
ক্যামোমিলা: শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার ঘড় ঘড়ানি, শুষ্ক কাশি স্বরভঙ্গ ইত্যাদি। শিশুদে অসুস্থতায় প্রথমাবস্থায় বা দাঁত ওঠার সময় এটির ব্যবহার বিশেষ উপকারী।এটির মানসিক অবস্থাটি বিশেষ বিবেচ্য। ঘা ঘ্যান করা এবং অস্থিরতার ভাব।
এটির রোগী স্পর্শকাতর, উত্তেজিত, তৃষ্ণার্ত, উত্তপ্ত এর অবশ দেহ যুক্ত। নিশা ঘর্ম, স্বর নালীতে হেজে যাবার মত ভাব। শুষ্ক সুড় সুড় করা কাশি , স্বরভঙ্গ, হক্ হক্ করে কাশি। শিশুদের বুকে শ্লেষ্মা ঘড় ঘড় শব্দ।

হিপার সালফার: পুরাতন অবস্থায় এই ঔষধটি প্রয়োগ হয়। কফ বসে গিয়ে কাশি, শুষ্ক তরল কাশি, বুকে সাঁই সাঁই শব্দ, ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস রাত্রে বৃদ্ধি দম আটকানো কাশি ইত্যাদি লক্ষণে এটি বিশেষ উপকারী।
Read More:হিপার সালফার হোমিও ঔষধ
স্ক্রোফুলা ও শ্লেষ্মা প্রধান ধাতু যাদের চর্ম স্ফোটক গ্রন্থি স্ফীতির প্রবণতা আছে এই জাতীয় রোগীদের পক্ষে এটি অপরিহার্য। দেহের কোন অংশে ঠাণ্ডা লাগলে বা অনাবৃত হলে অথবা ঠাণ্ডা কিছু খেলে কাশি হয়। ঘড় ঘড় শব্দ যু কাশি, শ্বাসরোধক কাশি, হিস্ হিস্ শব্দ যুক্ত শ্বাস ক্রিয়া। হাঁপানির ভাব।
হায়োসিয়েমাস: শুষ্ক আক্ষেপিক কাশি, রাত্রে শয়ন করলে কাশির আরম্ভ এবং সমস্ত রাত্রি কাশি। বিছানা হতে উঠে বসলে কাশির উপশম। স্নায়ুমণ্ডলের উপর এটির বিশেষ ক্রিয়া। কাশির সময় গলা সুড় সুড় করে। দিন রাত্রি কাশি কথা বললে কাশির বৃদ্ধি। মস্তিষ্ক আক্রমণ করে এর বিকৃতি ঘটে।
ঝগড়া করার প্রবৃত্তি এবং অশ্রীল ব্যবহারের একটি মূর্ত রূপ। দুর্বলতার সঙ্গে স্নায়বিক উত্তেজনা। কম্পন সহ দুর্বলতা এবং পেশী সমূহের বিক্ষেপ।Asphyxiation শ্বাসরোধে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আক্ষেপ, সম্মুখ দিকে বেঁকে পড়ে। রাত্রি কালে শুষ্ক আক্ষেপিক কাশি, শয়নে বৃদ্ধি এবং বসে থাকলে উপশম।
গলার মধ্যে সুড় সুড় করে, আলজিহ্বা বড় হয়ে গেছে। রক্তকাশ। এই রোগীর মানসিক লক্ষণটিও বিবেচ্য। অত্যন্ত সন্ধিগ্ধ। বাচাল, অশ্লীল, উলঙ্গ হয়, সব কিছুতেই হাসে। বিড় বিড় করে প্রলাপ বকে, সর্বদা বিছানা ঘুটে। মুখে ফেনা, দাঁতে ময়লা পড়ে। জিহ্বা শুষ্ক লাল ফাটা ফাটা, শক্ত এবং অনড়। কষ্টে জিহ্বা বের করে।
ইপিকাক: বুকের ভিতর সাঁই সাঁই শব্দ, গলার ভিতর সুড় সুড় করে আক্ষেপিক কাশি, কাশির সময় দম আটকে আসে। ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট, কাশতে কাশতে বমি শিশুদের কাশিতে বিশেষ উপকার। ফুসফুস এবং পাকাশয়ের স্নায়ুমণ্ডলের উপর এর যথেষ্ট ক্রিয়া।
শ্বাসকষ্ট বুকে অনবরত সংকোচন বোধ। হাঁপানি বার বার হাঁচি, সর্দি, হিস হিস শব্দ যুক্ত কাশি, মনে হয় বুকে সর্দি ভরা অনবরত কাশি এবং প্রবল কাশি, প্রতি নিঃশ্বাসের সঙ্গে কাশি । মনে হয় বুকে শ্লেষ্মা জমে আছে কিন্তু কাশলে উঠে না। শিশু কাশতে কাশতে শক্ত হয়ে পড়ে বুকে বুদবুদ শব্দ। নীল মুখমণ্ডল।
মার্কসল: শুষ্ক কাশি, গাঢ় হরিদ্রাবর্ণের গয়ের, গলা ব্যথা, গলাফুলা, মুখে ক্ষত, শ্বাসকষ্ট, সন্ধ্যায় কাশির বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণে বিশেষ উপকারী। উদরাময় ভাব থাকলেও উপকার।
রোগীর অত্যধিক শ্বাসকষ্ট রোগীকে বিছানা হতে বসতে হয়। শ্বাসক্রিয়া দ্রুত হ্রাস এবং বুকে জ্বালাবোধ। সূর্যতাপ থাকলে বারবার হাঁচি। অতি ভোর সকালে উদরাময়।
পালসেটিলা: পুরাতন অবস্থায় এটি অনেক সময় ভাল কাজ করে। সহজে প্রচুর কফ উঠে, ঘন ও হলদে বর্ণের কফ, রাত্রে শুলে শুষ্ক আক্ষেপিক কাশি, জ্বর না থাকলে ব্যবহার করা যায়।
রোগীর পরিবর্তনশীল প্রকৃতি। রোগী খোলা বাতাস চাষ, শীত হলেও খোলা বাতাস চায় এবং আরাম পায়। শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী সমূহ আক্রান্ত হয়। সন্ধ্যাকালে এবং রাত্রে শুক কাশি উপশম লাভের জন্য রোগীকে উঠে বসতে হয়। প্রাতকালে প্রচুর কফ।
স্ট্যানাম: পুরাতন রোগে বিশেষ উপকারী। স্নায়ুমণ্ডল এবং শ্বাস যন্ত্রের উপর এটির বিশেষ ক্রিয়া। রোগগুলো ধীরে ধীরে আসে এবং ধীরে ধীরে যায। স্বরভঙ্গ, জোরে শ্লেষ্মা তুলতে হয়।
সন্ধ্যা হতে মধ্যরাত পর্যন্ত ভীষণ শুষ্ক কাশি হাঁসলে, কথা বললে, গান করলে কাশির উদ্রেক। দিনে প্রচুর মিষ্টি স্বাদযুক্ত কফ উঠে। বুকে ব্যাথা কথা বলতে কষ্ট হয়। নিঃশ্বাস নিলে বাম বক্ষে সূচী বিদ্ধবধ ব্যাথা। এক পা তুলে অপর পা ছাড়িয়ে নিদ্রা যায়।
এমনকার্ব: পুরাতন ব্রংকাইটিসের ভাল ঔষধ। কাশ ও কফ রক্ত ছিট যুক্ত, ঠাণ্ডা বাতাসে কাশির বৃদ্ধি। মোটা মোটা স্ত্রীলোক, যারা সর্বদাই ক্লান্তি বোধ করে এবং অভি সহজেই সর্দি লাগে তাদের পক্ষে উপকারী। শরীরের যাবতীয় যন্ত্রে তাপ বোধ।
স্বরভঙ্গ রাত তিনটার পর কাশির উদ্রেক তৎসহ শ্বাসকষ্ট। হৃদস্পন্দন এবং বুকের মধ্যে জ্বালা পোড়া ভাব। শ্বাস প্রশ্বাসে প্রচণ্ড কষ্ট বোধ করে ধীর কষ্টকৃত শ্বাসক্রিয়া বুকে বুদবুদ শব্দ, শীতকালীন সর্দি, আঠাল শ্লেম্মা তাতে রক্তের ছিট। ফুসফুস ধমনীর স্ফীতভাব।
ক্যালকেরিয়া কার্ব: অতি সহজেই সর্দি লাগলে এই ঔষধটি প্রয়োগ হয়। ডাঃ হ্যানিম্যান প্রবর্তিত এই এন্টিসোরিক ঔষধটি অতি উৎকৃষ্ট ধাতু দোষ সংশোধক।এটির প্রধান ক্রিয়া পরিপোষণ কেন্দ্রে। অতিরিক্ত পরিশ্রম হতে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিবোধ।
পেশী সমূহের গভীর তম অংশে ফোঁড়া খুব খুক করা শুষ্ক কাশি, রাত্রে কষ্ট দায়ক কাশি, প্রাতে প্রচুর শ্লেষ্মা উঠে। অত্যধিক শ্বাসকষ্ট, বেদনাশূন্য স্বরভংগ প্রাতে বৃদ্ধি, কেবল মাত্র প্রাতেই শ্লেষ্মা উঠে। শ্লেষ্মা গাঢ়, হরিদ্রাভ এবং অম্লস্বাদ যুক্ত।
স্পঞ্জিয়া: শুষ্ক কাশি, স্বর ভংগ, দম আটকানো কাশি এবং তৎসহ জ্বর থাকলে বিশেষ উপকারী। শ্বাসযন্ত্রের উপর এটির বিশেষ ক্রিয়া। কাশি, ঘুংড়ি কাশির ক্ষেত্রে উপকারী। সামান্য পরিশ্রমে অবসাদ বোধ করে, দেহ ভার বোধ।
বুক এবং মাথায় রক্তের উচ্ছ্বাস। যাবতীয় বায়ুপথের শুষ্কতা। স্বরভঙ্গ, স্বর যন্ত্র শুষ্ক, সংকুচিত এবং জ্বালাকর। কাশি শুষ্ক। মনে হয় স্বর যন্ত্র একটা ছিপি দিয়ে আটকানো আছে। গরম পানীয়ে উপশমবোধ।
ফসফরাস: রক্তমিশ্রিত কফ, কাশি, বুকে ব্যাথাবোধ। শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর উপর বিশেষ ক্রিয়া। স্বরভংগ, সন্ধ্যাকালে বৃদ্ধি, স্বরযন্ত্র অত্যন্ত ব্যাথা। গলকোষ ব্যাথার জন্য কথা বলতে পারে না। গলায় সুড়সুড় ভাব এবং কাশি।
Read More:ফসফরাস হোমিও ঔষধ
বুকে টান টান ভাব এবং অত্যন্ত ভার বোধ। বাম পার্শ্বে শয়নে বৃদ্ধি। কাশির সঙ্গে সমস্ত দেহ কাঁপতে থাকে। পয়ের লোহার মরিচার বর্ণ রক্তের ন্যায় বর্ণ এবং পুজময় ঠাণ্ডা বাতাসে কাশির বৃদ্ধি। কাশির সময় মিষ্ট স্বাদ এবং কঠিন শুষ্ক টান টান ভাব যুক্ত যন্ত্রণাদায়ক কাশি। বুকে খোঁচামারা বেদনা।
সালফার: শ্বাসনালীর ভিতর সুড় সুড় করে সরল কাশি, বুকে বেদনা বোধ ও গাঢ় কফ উঠে, স্বপ্ন ভঙ্গ। মধ্যে মধ্যে শক্ত আকৃতির খণ্ড বস্তু শ্লেষ্মা নির্গত হয়। পুরাতন রোগে বিশেষ উপযোগী। ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত প্রধান সোরা দোষয় ঔষধ। বুকে চাপ বধ।

বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট কারণ
জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণে বুকে কফ জমতে পারে ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বংশগত ইতিহাসে পরিবারে বাবা-মা, দাদা দাদু বা ভাই বোনের কারো কারোর হাঁপানি বা টিউবারকিউলোসিস বা আমবাত, এলার্জি, একজিমার ইতিহাস থাকলে সেই পরিবারের শিশুর শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আবার অনেক অসুখ আছে যেগুলো সঠিক চিকিৎসা না করলে পরবর্তীকালে হাঁপানিতে পরিণত হতে পারে যেমন- কানে রস করা বা ওটাইটিস মিডিয়া, ঘন ঘন সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ, এলার্জিক রাইনাইটিস, সাইনোসাইটিস, জিই আর ডি ডিজিস ইত্যাদি।
জেনেটিক কারণে সংবেদনশীল এই শ্বাসনালী যখন পরিবেশের কিছু উত্তেজক পদার্থের সংস্পর্শে আসে যাদের বলা হয় অ্যালার্জি। তখন শ্বাসনালী মিউকাস গ্রন্থগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে আঠালো মিউকাস নির্গত হয়ে বায়ু চলাচলের পথকে সরু করে দেয়।
তার ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় , বুকে চাপবোধ হয় , সাঁই সাঁই আওয়াজ শুরু হয়। শিশুর ঘন ঘন সর্দি কাশি লেগে থাকে, শরীরে এনার্জি থাকে না, খেলাধুলায় উৎসাহ থাকে না।
পরিবেশগত কারণ – হিম, ঠাণ্ডা, প্রভৃতি লাগা, উগ্র পদার্থের আঘ্রাণ, ঋতু পরিবর্তন, হাম, বসন্ত, জ্বর ইত্যাদি কারণে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। দুর্বলতা, স্বাস্থ্য ভঙ্গ এবং কাশি ও বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টর পরবর্তী লক্ষণ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন যে এই জাতীয় রোগের কারণ হচ্ছে এক জাতীয় জীবাণুর আক্রমণ।
আবার ষ্ট্রেপটোকক্কাস, ষ্টাফাইলোকক্কাস, নিউমোকক্কাস প্রভৃতি বীজাণুর আক্রমণের ফলে সাধারণত বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। বেশীক্ষণ ভিজে কাপড়ে থাকা, জলে ভেজা, বৃষ্টিতে ভেজা ইত্যাদি কারণেও বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়া বীজাণুর আক্রমণে শ্বাসনালী ও শাখা-প্রশাখার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝিল্লী আক্রান্ত হয়ে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে৷
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট লক্ষণ
বুকে কফ জমে সাধারণত অল্প অল্প শুষ্ক কাশি এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সামান্য কষ্ট, কাশিতে সামান্য শ্লেষ্মা বা গয়ের উঠে তৎসহ সামান্য জ্বরের তাপমাত্রা থাকতে পারে। এই তাপমাত্রা ১০০° হতে ১০২° পর্যন্ত হতে পারে।
ছোট বড় সমস্ত বায়ুনালী আক্রান্ত হয়ে এবং এর মধ্যে সর্দি বা শ্লেষ্মা জমে থাকে এই জন্য বাতাস যাতায়াতের পথ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যদি ঐ শ্লেষ্মা বা সর্দি বের না হয় তবে নিশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হতে পারে। শিশু এবং বৃদ্ধদের পক্ষে এটা অতি মারাত্মক রোগ। নিঃশ্বাসে ভয়ানক কষ্ট, প্রবল কাশি, গয়ের আদৌ উঠে না।
পরিশেষে বলতে চাই
আমার এই ‘বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ’ ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন এবং নিয়মিত আরো বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগগুলো পেতে হলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
প্রয়োজনে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন-
সিটি হোমিও
রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার,দোকান নং-116
( গ্রাউন্ড ফ্লোর) -70, 70/Aপ্রগতি শরণি,
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা 1212,বাংলাদেশ।
01736181642
Resources: