ঔষধের প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান (Administration of remedy) ঔষধ যদি সদৃশ হয় তাহলে মাত্রা ও শক্তি যত বেশী হয় রোগীর তত বেশী ক্ষতি হয়। এরপর অর্গাননের ২৭৬ নম্বর সূত্রে হ্যানিম্যান বলেন,
“A medicine, even though it may be homoeopathically suited to the case of disease, does harm in every dose that is too large, and in strong doses it does more harm the greater its homeopathicity and the higher the potency selected, and it does much more injury than any equally large dose of a edicine that is unhomoeopathic, and in no respect adapted to the morbid state (allopathic).
Too large doses of an accurately chosen homoeopathic medicine, and especially when frequently repeated, bring about much trouble as a rule. They put the patient not seldom in danger of life or make this disease almost incurable. They do indeed extinguish the natural disease so far as the sensation of the life principle is concerned and the patient no longer suffers from the original disease from the moment the too strong dose of the homoeopathic medicine acted upon him but he is in consequence more ill with the similar but more violent medicinal disease which is most difficult to destroy.”
অর্থাৎ কোন ঔষধ রোগীর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিতে উপযোগী হওয়া সত্বেও ও প্রতিটি মাত্রাই রোগীর ক্ষতি করে যদি মাত্রাটি অত্যন্ত বৃহৎ হয় এবং এক্ষেত্রে ঔষধ যত বেশী সদৃশ এবং উচ্চ শক্তিতে (potency) নির্বাচিত হয় তার বৃহৎ মাত্রাসমূহ তত বেশী ক্ষতি করে। অসদৃশ ও রুগ্নাবস্থায় সম্পূর্ণ অনুপযোগী অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের বড় মাত্রা যে পরিমাণ ক্ষতি করে সদৃশ লক্ষণযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৃহৎ মাত্রা তার চেয়েও অধিক ক্ষতি করে।
Read More:হোমিওপ্যাথিতে সাইকোসিস মায়াজম
সঠিকভাবে নির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৃহৎ মাত্রা বিশেষভাবে পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করলে নিয়ম অনুযায়ী নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। এ ধরনের ঔষধ প্রয়োগ প্রায়ই রোগীর জীবন বিপন্ন করে কিংবা তার ব্যাধি একেবারেই অনারোগ্য করে তোলে।
ঔষধের বৃহৎ মাত্রার প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান:
লক্ষণসমষ্টির ভিত্তিতে সঠিকভাবে নির্বাচিত বৃহৎ মাত্রার এ ঔষধ রোগীর জীবনীশক্তি সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক রোগটি আরোগ্য করে বটে এবং যে মুহূর্তে তার উপর হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বৃহৎ মাত্রাটি সক্রিয় হয় সে মুহূর্ত হতে রোগী আর ঐ মৌলিক রোগটি ভোগ করে না ঠিকই কিন্তু পরিণতিতে সে সদৃশ প্রচন্ড ঔষধজ রোগ দ্বারা অধিকতর অসুস্থ হয়ে পড়ে যে রোগ দূরীভূত করা অত্যন্ত কঠিন।

হ্যানিম্যান এখানে যা বুঝাতে চেয়েছেন তা হচ্ছে, রোগী ক্ষেত্রে ঔষধ যত বেশী সদৃশ ও যত বেশী উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ হয় তার বৃহৎ মাত্রা তত বেশী ক্ষতিকর হয়। যে ধরনের ক্ষতি হয় তা হচ্ছে, এ অবস্থায় প্রায়ই রোগীর জীবন বিপন্ন হয় অথবা তার রোগ অনারোগ্য অবস্থা ধারণ করে। এ ছাড়া রোগী ঔষধজ রোগ যা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি নামেও পরিচিত তা দ্বারা এত বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে যে, তা আরোগ্য করা একেবারেই কঠিন। ঔষধ যথাযথভাবে সদৃশ হলে তা যত বেশী ক্ষুদ্র হয় তত বেশী উপকারী হয়। অপরপক্ষে, হ্যানিম্যান অর্গাননের ২৭৭ নম্বর সূত্রে বলেন,
“For the same reason, and because a medicine, provided the dose of it was sufficiently small, is all the more salutary and almost marvellously efficacious the more accurately homoeopathic its selection has been, a medicine whose selection has been accurately homoeopathic must be all the more salutary the more its dose is reduced to the degree of minuteness appropriate for a gentle remedial effect.”
অর্থাৎ একই কারণে ঔষধের মাত্রা যথাযথ ভাবে ক্ষুদ্র হলে, যত অধিক পরিমাণে তা সদৃশ নীতিতে নির্বাচিত হয়, তত অধিক পরিমাণে তা উপকারী ও প্রায় বিস্ময়কর ভাবে কার্যকরী হয়, ফলে একটি ঔষধ যার নির্বাচন যথাযথভাবে সদৃশ নীতিতে করা হয়েছে তার মাত্রা উপদ্রববিহীন ভেষজক্রিয়ার উপযোগী করে যত বেশী পরিমাণে হ্রাস করা হয় তা তত বেশী পরিমাণে উপকারী হয়।
হ্যানিম্যান এখানে যা বুঝাতে চেয়েছেন তা হচ্ছে, রোগীকে কষ্ট না দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সুস্থ করতে চাইলে চিকিৎসককে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে,ঔষধটিকে অবশ্যই যথাযথভাবে সদৃশ নীতিতে নির্বাচন করতে হবে এবং অপরটি হচ্ছে ঔষধটিকে রোগীক্ষেত্রে অবশ্যই যথাযথভাবে ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। এক কথায়, ঔষধ যত বেশী সদৃশভাবে নির্বাচিত ও যত বেশী ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রয়োগ হবে রোগী ক্ষেত্রে তা তত বেশী কল্যাণকর ও কার্যকরী হবে।