SKIN CYSTS এর রোগীলিপি – রোগীর নাম সালমা ২৮ বছর । রোগীর প্রধান সমস্যা স্কিন সিস্ট (SKIN CYSTS)। রোগীর গড়ন
একটু স্থূল, বয়সানুসারে একটু দীর্ঘ, সর্দি ও শ্লেষ্মা প্রবন, ঘর্ম প্রবন, ঠাণ্ডা সহ্য হয় কম, বাতাসে অত্যানুভূতি । রোগীর সিস্টে ব্যাথা নাই,
fatty। খাওয়া দাওয়া করে কিন্তু দুর্বল লাগে।
মনে হয় আরোগ্য হবে না। পা এর তলা জ্বালা সহ ঘাম। পিঠের Cervical region এ ঘর্ম হয়, উদ্বিগ্ন পূর্ণ স্বপ্ন দেখে, টক খাবার পছন্দ, মাংস
অপছন্দ। আমি তাকে ক্যালকেরিয়া কার্ব নির্বাচন করি
সাতদিন পরে এসে রোগী বলল তার অনেক উন্নতি হয়েছে। পায়ের তলায় ঘাম তার এখন অনেক কমে গেছে, পিঠের Cervical region এ
ঘর্ম সেটা কমে গেছে আর যে স্বপ্নটা দেখতো সেটাও এক সপ্তাহের মধ্যে আর দেখে নাই, তার সব থেকে তার ভাল্লাগছে সর্দি প্রবণতা অনেক
কমে গেছে।

আমি বললাম একটু ধৈর্য ধরেন দেখবেন আপনার সিস্টাও (SKIN CYSTS) একবারে নাই হয়ে যাবে।আপনি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবেন।
রোগী তিন মাস পর টেস্ট করল।টেস্টের রিপোর্টে দেখল তার সিস্টা (SKIN CYSTS)আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিন মাসে সে সম্পূর্ণ
ভালো হয়ে গেল। এই হল হোমিও ঔষধ।
আমাদের ওষুধ নির্বাচন করার কতগুলো কৌশল আছে । আমি কিছু কৌশল আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
ঔষধ নির্বাচন কৌশল SKIN CYSTS এর রোগীলিপি
নানা জনে নানা পদ্ধতিতে ঔষধ নির্বাচন করে থাকেন । যেমন –
ক) মনোলক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ নির্বাচন পদ্ধতি (ক্রনিক ,একিউট)
খ) গানিতিক পদ্ধতিতে রোগলক্ষণ ও ঔষধলক্ষণের সমীকরণে (ক্রনিক) ঔষধ নির্বাচন
গ) সহগামী লক্ষণের পদ্ধতি লক্ষণ দ্ধারা ঔষধ নির্বাচণ (একিউট,ক্রনিক)
ঘ) রোগ হবার পশ্চাতে কারণ ভিত্তি জেনে ঔষধ নির্বাচণ (একিউট,ক্রনিক)
ঙ) মহামারী রোগে নির্বাচণ তত্ত্ব সহ ঔষধ নির্বাচণ পদ্ধতি।ঐ রোগের সময় কি কি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তা বুঝতে হবে। শুধু ম্যালেরিয়া
টাইফয়েড হয়েছিল বললেই হবে না। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অবশ্যই অর্গানন ৮৩ থেকে ১০৪ সুত্র মতে হতে হবে।Read More:হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ
ডাঃ হ্যানিম্যান মানসিক লক্ষণের উপর সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।যে কোন ঔষধের পরিচয় জানতে হলে, প্রথমে মানসিক লক্ষণের কথা
সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে হবে।
রোগীর সামগ্রীক লক্ষণের সাথে যদি ঔষধের ও রোগীর মন লক্ষণের সাদৃশ্য ঘটে তবে রোগারোগ্যেও সফলতার বিন্ধু মাত্র দ্ধিধা থাকবে না।
Resources:
1 thought on “SKIN CYSTS এর রোগীলিপি”
Comments are closed.