সালফার হোমিও ঔষধের কাজ

সালফার হোমিও ঔষধের কাজ – সালফার (SULPHER) হলো একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা সাব্লাইমেটেড সালফার থেকে প্রস্তুত করা হয়। ড. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এটিকে হোমিওপ্যাথিতে প্রতিষ্ঠা করেন।

সালফার (অধ:পাতিত গন্ধক) হলো ডাঃ হ্যানিম্যান আবিষ্কৃত একটি প্রধান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ, যা সোরা দোষ দূর করতে ব্যবহৃত হয়।  এটি শরীরে ভেতর থেকে বাহিরের দিকে কাজ করে এবং ত্বকের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখে। এর ফলে ত্বকে উত্তাপ, জ্বালা ও চুলকানি অনুভূত হয়, যা বিশেষ করে বিছানার গরমে বেড়ে যায়।

সালফার হোমিও ঔষধের কাজ
সালফার হোমিও ঔষধের কাজ

আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সালফার নিয়ে A -Z আলোচনা করব। আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

উৎস: খনিজ
প্রুভার: স্যার ডাঃ হ্যানিমান

কাতরতা- গরমকাতর।

ক্রিয়াস্থল: রক্ত সঞ্চালন ভেনাস,চামড়া, চর্মগ্রন্থি, মাথার তালু, সন্ধি, গ্রন্থিগুলো, স্নায়ুমন্ডলী, শ্বাসযন্ত্র, পোর্টেল, উদর, পরিপোষণ যন্ত্রসমূহ, মিউকাস মেমব্রেনস, সেরাস, রেকটাম, বুক।
পাশ: ডানপাশ, বামপাশ, ওপরে বামপাশ নিচে ডানপাশ, ডানপাশ হতে বামপাশ।

কোন কোন মায়াজমের উপর সালফার ঔষধ কাজ করে

সোরিক মায়াজমের উপর গভীরভাবে কাজ করে (এটি প্রধান অ্যান্টি-সোরিক ঔষধ)।

1. Psoric Miasm (সোরিক মায়াজম) – প্রধান মায়াজম

  •  Psora-এর রাজা (King of Psora)
  • সালফার মূলত সোরিক মায়াজমের প্রধান ঔষধ এবং এটি সোরার গভীর শিকড়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • এটি এমন রোগীদের জন্য উপযুক্ত যারা চর্মরোগ, খোসপাঁচড়া, চুলকানি, ত্বকের শুষ্কতা, এবং দীর্ঘস্থায়ী চুলকানিতে ভোগেন।
  • অতিরিক্ত চিন্তাশীল, অলস, কিন্তু আত্মতুষ্ট ব্যক্তিদের জন্য Sulphur গুরুত্বপূর্ণ।

 

2. Syphilitic Miasm (সিফিলিটিক মায়াজম) – কিছুটা প্রভাব

  • যখন আলসার, গভীর ক্ষত, এবং ধ্বংসাত্মক টিস্যু পরিবর্তন দেখা দেয়, তখন Sulphur কার্যকর।
  • গভীর বিষাক্ত উপসর্গ, রাতের দিকে ব্যথা বৃদ্ধি, এবং ধ্বংসাত্মক পরিবর্তন থাকলে Sulphur উপকারী।
  • অনিদ্রা, পাগলাটে চিন্তা, এবং গভীর বিষণ্নতা থাকলে এটি সাহায্য করতে পারে।

 

3. Sycotic Miasm (সাইকোটিক মায়াজম) – সীমিত প্রভাব

  • যখন দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের সমস্যা, ফাঙ্গাল সংক্রমণ, এবং সেবোরিক ডার্মাটাইটিস থাকে, তখন Sulphur কিছুটা সাহায্য করে।
  • সালফার মূত্রথলি ও প্রস্রাবের সংক্রমণের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।

 

সালফার ঔষধের শারীরিক বৈশিষ্ট্য

বুদ্ধিবৃত্তিক ধরণ: ফ্যাকাশে ও রোগাটে।

ব্যবহারিক ধরণ: অত্যন্ত পরিশ্রমী।

Read More:ঔষধের প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান

সালফার ঔষধের চিহ্নিত লক্ষণ

সালফার গ্রহণকারীদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়, কারণ এটি শরীরের কার্যক্ষমতা কিছুটা শিথিল করে। এদের শরীরে উত্তাপের ঝলক, পানির প্রতি অনীহা, চুল ও ত্বকের শুষ্কতা ও কঠিণতা লক্ষ্য করা যায়। ত্বকের রন্ধ্রগুলো লালচে হয়ে ওঠে, বেলা ১১টার সময় পাকস্থলীতে খালি খালিবোধ এবং অস্থির নিদ্রা হয়।

এই ঔষধের রোগীরা সাধারণত দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট অনুভব করেন এবং অপরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করেন, এমনকি স্নান করতেও চান না। এদের চর্মরোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। উপরোক্ত লক্ষণগুলো সালফারের চিহ্নিত লক্ষণ।

 

সালফার ঔষধের কাজ

যখন কোনো সঠিকভাবে নির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কাজ করে না, বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে, তখন সালফার শরীরের প্রতিক্রিয়া শক্তি জাগ্রত করতে সহায়তা করে।

Read More:হোমিওপ্যাথিক অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও ব্যবহার

বারবার ফিরে আসা রোগসমূহে সালফার উপকারী। সাধারণত রোগীর নিঃশ্বাস ও শরীর থেকে বের হওয়া নিঃস্রাবগুলো দুর্গন্ধযুক্ত হয়। তাদের ঠোঁট অত্যন্ত লালচে এবং মুখ মণ্ডল অতি সহজেই খুব গরম হয়ে উঠে। পুরোনো রোগের চিকিৎসার শুরুতে এবং নতুন রোগের চিকিৎসার শেষে সালফার অত্যন্ত কার্যকর।

সালফার হোমিও ঔষধের কাজ
সালফার হোমিও ঔষধের কাজ

 

সালফার ঔষধের মূল লক্ষণ

  • শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া ভাব
  • চুলকানি, বিশেষ করে রাতে ও গরমে
  • অপরিচ্ছন্ন ও অসুস্থ ত্বক, ফুসকুড়ির প্রবণতা
  • পায়ে ও হাতের তালুতে অতিরিক্ত গরম ভাব
  • গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এড়িয়ে চলার প্রবণতা

 

সালফার ঔষধের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য 

  • অন্যের ময়লা-আবর্জনা নিয়ে মন্তব্য করলেও নিজের অপরিচ্ছন্নতা খেয়াল করে না
  • পরিবেশ ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীন
  • ঘর বা অফিস অগোছালো, জঞ্জালপূর্ণ
  • নিজের কাপড়-চোপড় পরিষ্কার রাখতে পারে না
  • কৃপণতা প্রকাশ পায়
  • যেকোনো কিছু জমিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে (কাঁঠাল ধনের মতো)।
  • যান্ত্রিক চিন্তাভাবনা; জিনিসপত্র আলাদা করে রাখে, বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব
  • একগুঁয়ে ও খিটখিটে স্বভাবের
  • হাইপোকন্ড্রিয়ার শিকার
  • দূষণ, সংক্রমণ, উচ্চতা, ক্লাস্ট্রোফোবিয়া, মৃত্যু, দুর্ঘটনা ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে অতিরিক্ত ভয়

 

সালফার ঔষধের সাধারণ লক্ষণ 

  • ত্বকে রক্তসঞ্চালন অনিয়মিত; মাঝে মাঝে ঠান্ডা অনুভূত হয়
  • তীব্র গরম ও বিছানার উষ্ণতা অস্বস্তি সৃষ্টি করে
  • সকাল ১১টার দিকে অস্বস্তি বেশি অনুভূত হয়
  • দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে অস্বস্তি হয়
  • স্নান করতে চায় না, বিশেষ করে সকালে গরম পানিতে স্নান অপছন্দ
  • ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশি কষ্ট হয়, তবে শীতের রোদ সহ্য করতে পারে
  • রাত্রে শারীরিক অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়
  • জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল
  • দমন করা উদগিরণ বা স্রাবের কারণে সমস্যা বৃদ্ধি পায়
  • পশম, ঘাম ও ঠান্ডা আবহাওয়ার সংস্পর্শে অস্বস্তি অনুভূত হয়
  • বাম দিকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বেশি সমস্যা দেখা যায়
  • তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, ঘাম বেশি হয়
  • সাত দিন পর পর বা সপ্তাহের শেষের দিকে সমস্যা বৃদ্ধি পায়
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতে পারে

 

সারকথা

Sulphur মূলত Psoric miasm-এর উপর কাজ করে, তবে এটি কিছুটা Syphilitic এবং Sycotic উপসর্গের উপরও প্রভাব ফেলে।

 

সালফার Children (শিশুদের লক্ষণ)

 

শারীরিক লক্ষণ – 

  1. Skin Issues (চর্মরোগ): চামড়ায় শুষ্কতা, খোসপাঁচড়া, চুলকানি, এবং বারবার ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠা। চুলকানি রাতে ও গরমে বেড়ে যায় এবং খুঁটলে আরাম লাগে।
  2. Digestion Problems (পরিপাকের সমস্যা):  ক্ষুধা বেশি, কিন্তু খাবারের পর অস্বস্তি। মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসে, কিন্তু পরিপাকতন্ত্র দুর্বল।
  3. Weak Immunity (দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা): ঠান্ডা-গরমে সংবেদনশীল, সহজে সর্দি-কাশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী পেটের সমস্যা, ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
  4. Mental Symptoms (মানসিক লক্ষণ): Restless and Curious (অস্থির ও কৌতূহলী স্বভাব): সবকিছু নিয়ে জানতে চায়, প্রশ্ন করে। সহজে বিরক্ত হয় এবং মনোযোগ কম থাকে।
  5. Fearful and Anxious (ভীতু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত): একা থাকতে ভয় পায়, ভূত-প্রেতের ভয় থাকে। অন্ধকার বা অপরিচিত পরিবেশে অস্বস্তি।
  6. Pride and Stubbornness (গর্বিত একগুঁয়ে স্বভাব): নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, অন্যদের উপেক্ষা করে। জেদের বশে অনেক কিছু করে, সহজে কারও কথা শোনে না।কর্তৃত্বপরায়ণ।
  7. বড়দের মতো আচরণ করতে চায়।
  8. খুঁতখুঁতে, স্পর্শকাতর।
  9. অন্য কেউ স্পর্শ করলে খাবার গ্রহণ করতে চায় না।
  10. নোংরা, এমনকি নাক থেকে খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

 

সালফার বৃদ্ধদের লক্ষণ(Elderly)

Physical Symptoms (শারীরিক লক্ষণ)

  1. Chronic Skin Disorders (দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ): চামড়ার শুষ্কতা, চুলকানি, ফাটল, এবং গরমে অস্বস্তি। পুরোনো ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হয়।
  2. Joint and Back Pain (গাঁট পিঠের ব্যথা): সকালে ওঠার পর শরীর শক্ত হয়ে যায়, কিছুক্ষণ হাঁটার পর আরাম লাগে।
  3. Heat Sensitivity (গরমে অসহিষ্ণুতা): গরমে অস্থিরতা, শরীর ঘামে, কিন্তু ঘাম শুকানোর পর ঠান্ডা লাগে।
  4. Digestive Issues (পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা): পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লতা, এবং সকালে পায়খানা যেতে চাওয়া।

 

Mental Symptoms (মানসিক লক্ষণ): 

Forgetfulness and Confusion (ভুলে যাওয়া ও বিভ্রান্তি)অতীতের কথা বেশি মনে রাখে, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যায়।Egoistic and Argumentative (অহংকারী ও তর্কপ্রবণ): নিজের যুক্তি সবসময় ঠিক মনে করে, তর্কে জিততে চায়। Depression and Loneliness (বিষণ্নতা ও একাকীত্ব): একা থাকতে চায়, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। অতীত নিয়ে বেশি ভাবনায় থাকে।

 

সারাংশ

FeatureChildren (শিশু)Elderly (বৃদ্ধ)Skin Issuesচুলকানি, ফুসকুড়ি, খুঁটলে আরামশুকনো চামড়া, পুরোনো ক্ষত শুকাতে দেরি,Digestion অতিরিক্ত ক্ষুধা, হজম সমস্যাকোষ্ঠকাঠিন্য, সকালবেলায় পায়খানাRestlessnessঅস্থিরতা, কৌতূহলগরমে অস্থিরতা, সকালে শরীর শক্ত,Mental Stateভীতু, একগুঁয়ে, নিজেকে বড় ভাবাঅহংকারী, বিষণ্ন, একা থাকতে চায়,Fearঅন্ধকার ও ভূতের ভয়একাকীত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা,Memoryস্মৃতি ভালো, কিন্তু অস্থির।পুরোনো কথা মনে রাখে, সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যায়

 

সালফার ঔষধের মানসিক লক্ষণ

  • দার্শনিক, চিন্তাশীল কিন্তু বাস্তবজ্ঞান কম
  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও গোছগাছের প্রতি উদাসীন
  • আত্মকেন্দ্রিক ও অহংকারী স্বভাবের
  • অলস, তবে মস্তিষ্কের কাজে সর্বদা ব্যস্ত
  • অত্যন্ত ভুলো মন এবং স্মৃতিশক্তির অভাব, চিন্তা করতে পারে না
  • সামান্য জিনিসকে অতি মূল্যবান ভাবে। কাজকর্ম করেনা, ঘুরে বেড়ায়
  • নিজেকে সজাগ করে তুলতে চায় না
  • বয়স্ক ব্যক্তি শিশুর মত খেয়ালী
  • ক্রোধ প্রবণ, বিমর্ষ , শীর্ণ ও দুর্বল , এমনকি যথেষ্ট ক্ষুধা থাকা সত্বেও
  • ধর্মীয় উন্মাদনা, আগুন নিয়ে স্বপ্ন দেখা

 

সালফার ঔষধের অদ্ভুত লক্ষণ

  • পায়ের তালুতে গরম লাগে, ঘুমের সময় পা বের করে রাখে
  • সকাল ১১টায় প্রবল ক্ষুধা লাগে (রাতে ক্ষুধায় ঘুম ভাঙে)
  • সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে পাতলা পায়খানা
  • গোসল করতে চায় না, কিন্তু ত্বকে তীব্র চুলকানি

 

সালফার ঔষধের অদ্বিতীয় লক্ষণ

নাক, ঠোঁট, মলদ্বার লাল হয়ে যায়।

দেখতে অপরিচ্ছন্ন, যদিও ধনী পরিবারে জন্ম।

মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ।

সালফার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করে

সালফারের বিশেষ লক্ষণ 

সালফারের মাথা চোখ

উঁচু স্থানে মাথা ঘোরে।

মাথাব্যথা—জ্বালাপোড়ার অনুভূতি, সপ্তাহান্তে বা দীর্ঘায়িত ঘুমের পর মাথাব্যথা হয়।

গরম ও রোদে মাথাব্যথা বৃদ্ধি পায়, তবে ঠান্ডায় স্বস্তি অনুভূত হয়।

চুলের গোড়ায় চুলকানি ও খুশকি থাকে।

চোখে “বালির মতো” অনুভূতি হয়, ঠান্ডা লাগলে আরাম হয়।

চোখের পাতার কিনারা লালচে ও জ্বালাপোড়া হয়।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের স্রাব জমাট বাধে।

মাথাব্যথার আগে দৃষ্টিশক্তিতে ব্যাঘাত ঘটে।

সালফার হোমিও ঔষধের কাজ
সালফার হোমিও ঔষধের কাজ

 

সালফারের কান নাক 

ওটিটিস মিডিয়া, ওটোরিয়া (কানের সংক্রমণ ও স্রাব)।

কানের শোনার ক্ষমতা কমে যায় (ক্যাটারার কারণে)।

অন্যের গন্ধ সহ্য করতে পারে না, তবে নিজের শরীরের গন্ধ পছন্দ করে।

নাকে ব্রণ দেখা যায়।

 

সালফারের মুখ পেট

মুখ লালচে, বিশেষ করে মেনোপজের সময়।

ঠোঁট লালচে।

ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে সকাল ১১টায়।

গ্যাস্ট্রাইটিস, আলসার, অম্বল থাকতে পারে।

গরম অনুভূত হয়, তবে ঠান্ডা পানীয় খেলে স্বস্তি পায়।

বেশি পান করে, কম খায়।

 

সালফারের মলদ্বার মল 

সকালে ৫-৬টার দিকে ডায়রিয়া হয়, বিশেষ করে বিয়ার খাওয়ার পর।

অর্শের সমস্যা থাকে, যা রাতে বা উষ্ণতায় বাড়ে, তবে ঠান্ডায় স্বস্তি পায়।

মলদ্বারের চারপাশে আর্দ্রতা ও ফুসকুড়ি হতে পারে।

মলের গন্ধ তীব্র হয়। পেট ফেঁপে থাকে।

 

যৌনাঙ্গ প্রজনন স্বাস্থ্য 

সালফারের পুরুষ  

উচ্চ আকাঙ্ক্ষা, তবে যৌনমিলনের সময় অসম্পূর্ণ উত্থান।

পেরিনিয়ামের আশেপাশে ফুসকুড়ি হয়।

অতিরিক্ত ঘাম হয়।

সহবাসের পর দীর্ঘস্থায়ী মূত্রনালীর জ্বালা অনুভূত হয়।

 

সালফারের মহিলা

আক্রমণাত্মক ও জ্বলন্ত লিউকোরিয়া।

বেশি ঘাম হয়।

ফুসকুড়ি ও চুলকানি দেখা যায়।

 

সালফারের শ্বাস-প্রশ্বাস পিঠ

শ্বাসকষ্ট রাতের দিকে বেশি হয়, বসলে স্বস্তি পায়, খোলা বাতাসে ভালো অনুভব করে।

পিঠের দুর্বলতা ও ব্যথা হয়, সোজা হয়ে বসতে বা দাঁড়াতে পারে না।

হাত-পা উষ্ণ ও পোড়ার অনুভূতি হয়, রাতে ঢেকে রাখতে হয়।

পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হয়।

বাতের ব্যথা শীতল আবহাওয়ায় কমে যায়, তবে উষ্ণতায় স্বস্তি পায়।

নখ ভঙ্গুর ও বিকৃত হয়।

বাহুতে লিম্ফ্যাঞ্জাইটিস হতে পারে।

Read More:বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ

সালফারের ঘুম স্বপ্ন

নিদ্রাহীনতা দেখা যায়। ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠে। সাধারণত বাম দিকে ঘুমাতে পছন্দ করে। ঘুমের মধ্যে হাসতে থাকে। উপর হয়ে শুয়ে থাকলে দুঃস্বপ্ন দেখে।

 

সালফারের ত্বক

যেকোনো ধরনের চর্মরোগ হতে পারে, আর্দ্র, জ্বালাপোড়া ও চুলকানি অনুভূত হয়। তাপ, বিছানার গরম, পশম ও স্নানের পর চুলকানি বেড়ে যায়। ফোঁড়া ও ব্রণ হয়। ত্বক অস্বাস্থ্যকর দেখায়।

 

সালফারের প্রধান রোগসমূহ

চিরস্থায়ী চর্মরোগ, সোরিয়াসিস, একজিমা। পাকস্থলীর সমস্যা (অম্লতা, পাতলা পায়খানা)। লিভারের সমস্যা, অর্শ। শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা। গাঁটে ব্যথা, গাউট, বাত। মানসিক সমস্যা, বিষণ্ণতা, ধর্মীয় উন্মাদনা।

 

খাদ্য পানীয় পছন্দ-অপছন্দ

আকাঙ্ক্ষা: মিষ্টি, চর্বিযুক্ত খাবার, মশলাদার খাবার, অ্যালকোহল (বিয়ার, হুইস্কি), আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়।

অপছন্দ: ডিম, টকজাতীয় খাবার, মাছ, চর্বি, জলপাই।

 

বৃদ্ধি

সকালবেলা, দাঁড়িয়ে থাকলে, গরমে, গোসল করলে, বিছানার উষ্ণতায়। দুধ, মিষ্টি ও অ্যালকোহল গ্রহণ করলে।

হ্রাস

ঠাণ্ডা বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া, শুয়ে থাকলে ভালো লাগে।

উপসংহার 

সালফার হোমিও ঔষধের কাজ – আমার এই ব্লগ যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান অথবা যে টপিক সম্পর্কে জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আমার পেজে।

নিয়মিত আরো বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেলগুলো পেতে হলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

প্রয়োজনে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন-

 

সিটি হোমিও রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার,
দোকান নং-116( গ্রাউন্ড ফ্লোর -70, 70/Aপ্রগতি শরণি,
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা 1212,বাংলাদেশ।
01736181642

Resources:

https://en.wikipedia.org/wiki/Sulfur_in_pharmacy

Share this content:

Dr. Khatun invites you to join her in this journey with City Homeo. Your engagement and encouragement are crucial in advancing this endeavor. Together, we can strive towards a healthier community and a better tomorrow.

Leave a Comment