গাড়িতে উঠলে বমি বন্ধ করার উপায় ও হোমিও ঔষধ – ট্রেন, বাস, জাহাজ বা এরোপ্লেনে উঠলে যে বমি পাওয়া বা বমি হওয়া, এই রোগটাকে বলে মোশান সিকনেস। একে সি-সিকনেসও বলা হয়। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলে কাইনেটোসিস।
আসলে বমি-বমি ভাব অর্থাৎ Sea Sickness (গ্রীক ভাষায় Naus শব্দের মানে Ship বা জাহাজ)। তবে শুধু গাড়ী নয়, যেকোন গতিশীল বস্তু দেখলেই এই মোশন সিকনেস হতে পারে। এমনকি ভিডিও গেমস বা নাগরদোলা দর্শনেও।
মোশন সিকনেস হলো একটি অবস্থা যেখানে ভ্রমণের সময় – যেমন গাড়ি, বাস, নৌকা বা বিমানে – মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথাব্যথা, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ এবং ক্লান্তি অনুভূত হয়।

ভ্রমণ হল আনন্দের আর সেই ভ্রমণটা যদি মাটি হয়ে যায় অসুস্থতার কারণে ভাবুন তো দেখি। আমার অবস্থা যেমন তেমন, আমার সাথে আশেপাশে যে লোকগুলো থাকবে তাদের অবস্থা – আজকে আবারো একটি জরুরী অবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।
আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন, চলুন আলোচনা হয়ে যাক- জেনে নেওয়া যাক আজকে কি কি বিষয়ের উপর আলোচনা করব – অবশ্যই সেটা আমাদের উপকারে লাগবেই।
- গাড়িতে উঠলে বমি বন্ধ করা উপায় ও হোমিও ঔষধ
- গাড়িতে বমি হওয়ার কারণ
- গাড়িতে বমি না করার উপায়
- গাড়িতে উঠলে বমি বন্ধ করা হোমিও ঔষধ
- উপসংহার
Read More:ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ও প্রতিরোধ
গাড়িতে বমি হওয়ার কারণ
এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে চোখ ও কানের মাধ্যমে প্রাপ্ত গতির তথ্যের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, ফলে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয় এবং শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
গাড়িতে বমি না করার উপায়
মোশন সিকনেস এমন এক বিপদ, যেখানে বমি করলেও অস্বস্তি কমে না। যতক্ষণ গতি, ততক্ষণ মাথা ঝিমঝিম, গা গোলানো, বমি একটানা যন্ত্রণা একমাত্র মুক্তি? গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়া। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি গাড়িতে উঠার আগে কিছু প্রস্তুতি নিলেই বাঁচা যায় এই অস্বস্তি থেকে –

- ভরপেট না খেয়ে অল্প কিছু খাবার ও জল খেয়ে গাড়ীতে উঠবেন। একদম পেট খালি রাখলে আবার ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা।
- বাসের বাঁদিকে জানলার ধারে বসার চেষ্টা করবেন, যাতে গায়ে হাওয়া লাগে ও উল্টোদিকের গাড়ী কম দেখতে পান বা পেট্রোলের গন্ধ নাকে কম লাগে।
- মাথা ও চোখের নাড়াচাড়া যতটা সম্ভব কম রাখবেন। গাড়ী চড়ে দূরের দিকে স্ট্রেট তাকিয়ে থাকলে অনেককে উপকার পেতে দেখেছি।
- , বাইরের দৃশ্য দেখা যায় এমন আসনে বসা
- ভ্রমণের সময় বই পড়া বা মোবাইল ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলা
- জানালা খোলা রাখা এবং তাজা বাতাস গ্রহণ এই অবস্থায় আরামদায়ক
Read More:সিপিয়া রোগীর গল্প
এছাড়া, লেবু, আদা, আপেল, জলপাই এবং বিট লবণ মতো প্রাকৃতিক উপাদান বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।

গাড়িতে উঠলে বমি বন্ধ করা হোমিও ঔষধ
একমাত্র হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেই এই রোগ থেকে পুরোপুরি ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।জেনে নেওয়া যাক সেই ঔষধগুলো –
Cocculus indicus:
ককুলাস ইন্ডিকাস: নৌকা গাড়ি বা অন্য কোন যানে যাতায়াত কালে বমি ও বমির ভাব হলে সর্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ হল এই ককুলাস ইন্ডিকাস। রোগী মনে করে যে, সময় অতি শীঘ্র শীঘ্র চলে যাচ্ছে। এই লক্ষণটি এই ঔষধের বিশেষ লক্ষণ আর ঔষধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন বিশেষ লক্ষণের। তাই না?
Nux moschata
নাক্স মস্কেটা: মুখ ও জিহ্বার অত্যন্ত শুষ্কতা। এমনকি শুষ্কতার জন্য জিহ্বা তালুতে লাগিয়ে যায়। এত শুষ্ক থাকা সত্যও পিপাসা না থাকা এই ঔষধের একটি শ্রেষ্ঠ লক্ষণ।গাড়িতে উঠলে মাথা ঘোরা ও বমি।
Borax
বোরাক্স: এর বিশেষ লক্ষণ হল নিম্ন গতিতে ভয় ও চুল জড়িয়ে চুলে জট বাঁধে।নাকের অগ্রভাগের আরক্ততা ও স্ফীতি বোরাক্সের প্রধান লক্ষণ। বমি হয় ভ্রমণ করলে।
নৌকায় বা জাহাজে বমিতে ট্যাবেকাম, অ্যাপোমরফিয়া, পেট্রোলের গন্ধে বমিতে পেট্রোলিয়াম, মাথা ঘোরা বেশী হলে কোনিয়াম, গাড়ীর শব্দে বমিতে থেরিডিয়ন, এরোপ্লেনে চড়লে বমিভাবের প্রতিষেধক হিসাবে বেলেডোনা ইত্যাদি ঔষধ মোশন সিকনেসকে পুরোপুরি কাটিয়ে দিতে পারে।
চেষ্টা করা যেতে পারে বিহেভিয়োরাল থিয়োরী, নিউরো লিঙ্গুইস্টিক প্রোগ্রামিং এর মত কিছু সাইকোলজিক্যাল প্রসেসের।
Read More:হোমিও ঔষধের নামের তালিকা ও কাজ
সুতরাং মোশন সিকনেস আর অসাধ্য রোগ নয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। উপকৃত হবেন।
উপসংহার
আমার ‘গাড়িতে উঠলে বমি বন্ধ করা উপায় ও হোমিও ঔষধ’ এই ব্লগ যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান অথবা যে টপিক সম্পর্কে জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা আমার পেজে।
নিয়মিত আরো বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেলগুলো পেতে হলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!
প্রয়োজনে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন-
সিটি হোমিও রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার,
দোকান নং-116( গ্রাউন্ড ফ্লোর -70, 70/Aপ্রগতি শরণি,
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা 1212,বাংলাদেশ।
01736181642
Resources: