হৃদরোগ মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলি জেনে রাখুন- বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগ মহিলাদের প্রধান ঘাতক, তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হন কারণ মহিলারা এমনিতেই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়।
তাছাড়া পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ভিন্নভাবে লক্ষণগুলোর দেখা মিলে। এই লক্ষণগুলো মহিলাদের মাঝে অজানা বলেই সারা বিশ্বে হৃদরোগে মহিলাদের মৃত্যুর হার বেশি।মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তার মধ্যে প্রধানত হল হার্ট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেলুর।
আমি আমার এই প্রবন্ধে হৃদরোগ কি এবং হৃদরোগ মহিলাদের কেন হয় এর কারণ গুলো কি এর থেকে বাঁচার উপায় কি এবং হার্টের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আলোচনা করব, যাতে মহিলারা হৃদরোগ সম্বন্ধে সচেতন হতে পারেন। আপনারা আমার সাথে থাকবেন আশা করছি। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
যেসব টপিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব –
- হৃদরোগ কি?
- হৃদরোগ মহিলাদের কেন হয়?
- হৃদরোগে ঝুঁকির কারণ
- হৃদরোগে মহিলাদের প্রধান কারণগুলি কি?
- মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের লক্ষণ কি কি?
- নোট করা গুরুত্বপূর্ণ
- কিভাবে হৃদরোগ মহিলাদের ঝুঁকি কমানো যায়?
- মহিলাদের হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়
- অতিরিক্ত টিপস
- হৃদরোগে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট
- উপসংহার
হৃদরোগ কি?
হৃদরোগ হল হৃদপিণ্ডের রোগ। হৃদপিণ্ড হল একটি পেশীবহুল অঙ্গ যা শরীরের সমস্ত অংশে রক্ত পাম্প করে। হৃদরোগ হৃদপিণ্ডের পেশীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে অসুবিধা করে।
হৃদরোগ মহিলাদের কেন হয়?
হার্ট অ্যাটাক হল হৃদযন্ত্রের পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ঘটে। এটি হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ।গবেষণায় বলা হচ্ছে, গাউট বা গেঁটে-বাত, সোরিয়াসিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থাগুলিও হৃদরোগের ঝুঁকির কিছু কারণ।
মহিলাদের হৃদরোগ হওয়ার অনেক কারণ আছে, সাধারণ এবং নির্দিষ্ট উভয় কারণই এর অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ ঝুঁকির কারণ পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই একই রকম। আসুন জেনে নেই হৃদরোগ মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলি জেনে রাখুন, এখানে হৃদরোগে ঝুঁকির কারণ গুলো কি কি?
হৃদরোগে ঝুঁকির কারণ
- পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে বেশি ঝুঁকিতে আছেন আপনিও।
- বয়স: বয়সের সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে।
- উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তনালীগুলিতে প্লাক তৈরি হতে পারে, যা হৃদরোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অস্থিরতা: অস্থিরতা ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়, যা হৃদরোগের জন্য মারাত্মক হুমকি।
- স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- নিষ্ক্রিয় জীবনধারা: অলসভাবে কর্ম বিহীন জীবনধারা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগে মহিলাদের প্রধান কারণগুলি কি?
হৃদরোগ কোরোনারি ধমনীগুলিতে একটি বাধার কারণে হয়, এটি হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৩৫-৫০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। মেনোপজ়ের আগে মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। তবে হৃদরোগে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট কতগুলো কারণ আছে চলুন জেনে নেয়া যাক। হৃদরোগে মহিলাদের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে –
Read More:হরমোনের হোমিও চিকিৎসা
- গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস: এই অবস্থাগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- মেনোপজ: মেনোপজের পরে মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা রক্তনালীগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি: কিছু ধরণের জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং রক্ত নালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- স্তন্যপান না করা: স্তন্যপান করা মহিলাদের হৃদরোগে ঝুঁকি কম থাকে।
- প্রসবকালীন জটিলতা: প্রসবকালীন কিছু জটিলতা, যেমন প্রি-এক্লাম্পসিয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অটোইমিউন রোগ: কিছু অটোইমিউন রোগ, যেমন রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- বিষণ্ণতা: বিষণ্ণতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের লক্ষণ কি কি?
হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না, রোগী যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকেন তাহলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্তত একমাস আগে থেকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখে বুঝে নিবেন। লক্ষণ গুলোর বিষয়ে আমাদের জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা উপেক্ষা করি। তবে হৃদরোগে মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলো খুব কম দেখা মেলে।
- বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হৃদরোগের একটি সাধারণ উপসর্গ, তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি আলাদা অনুভূত হতে পারে। বুকের পেশীতে খিঁচুনি, ব্যথা, ও সংকোচন অনুভব করে। তারা ঘাড়, চোয়াল, উপরের পিঠ বা পেটেও ব্যথা অনুভব করতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট: এটি পরিশ্রম করার জন্য বা পরিশ্রম ছাড়াই ঘটতে পারে।
- ক্লান্তি: যে কোন কাজ করতেও ক্লান্তি অনুভব হয় বা শক্তির অভাব হতে পারে।
- বমি বমি ভাব বা বমি: হৃদরোগে পুরুষদেরও বমি বমি ভাব বা বমি হয় তবে মহিলাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
- হালকা মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা: এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে আপনি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
- ব্যথা বাহু বা চোয়ালের মধ্যে বিকিরণ: পুরুষদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ লক্ষণ, তবে এটি মহিলাদের মধ্যে ঘটলে হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে।
- হৃদস্পন্দন: এটি এমন একটি অনুভূতি যে আপনার হৃদয় দৌড়াচ্ছে বা ফ্লাটার করছে।
- অস্বাভাবিক ঘাম: এটি কোন কারণ ছাড়াই ঘটতে পারে ও শীত অনুভূত হয। আপনি গরম না হলেও এটি হঠাৎ ঘটতে পারে।
- পা বা গোড়ালিতে ফুলে যাওয়া: এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে, আপনার হৃদয় কার্যকরভাবে রক্ত পাম্প করছে না।
নোট করা গুরুত্বপূর্ণ
সব মহিলা্রা এই সমস্ত লক্ষণগুলি অনুভব করবেন না। কিছু মহিলার কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। এই লক্ষণগুলি অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার কারণেও হতে পারে। বুকের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। হৃদরোগ মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলি জেনে রাখুন, এখানে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তির সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- গুরুতর অন্ত্রের ব্যাধি
- ক্যান্সার
- পেশী বা হাড়ের ব্যথা
- হার্ট অ্যাটাক
- মানসিক চাপ
- অ্যালার্জি
- খাদ্য অসহিষ্ণুতা
- পালমোনারি এমবোলিজম: (একটি তখনি ঘটে যখন আপনার গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধে সেখান থেকে ফুসফুসে যায়। এই গভীর শিরাগুলি সাধারণত পায়ে থাকে। বিরল ক্ষেত্রে,গভীর শিরা শরীরের অন্যান্য অংশে থাকে)
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স: (অ্যাসিড রিফ্লাক্স হল একটি হজমের ব্যাধি।একে টক ঢেকুর, চোঁয়া ঢেকুর বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সও বলা হয়)
কিভাবে হৃদরোগ মহিলাদের জন্য ঝুঁকি কমানো যায়?
হৃদরোগ মহিলাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আমরা এই ঝুঁকি অনেকটা কমাতে পারি।
- স্বাস্থ্যকর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া যেমন চর্বি মুক্ত শাকসবজি ফল এবং গোটা শস্য।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান। স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম কম থাকা খাবার খান।।
- উপকারী খাবার: মাছ, মুরগির মাংস, শুকনো বাদাম, এবং বীজের মতো হৃদরোগের জন্য উপকারী খাবার বেশি খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতা বা ৭৫ মিনিট তীব্র-তীব্রতা অ্যারোবিক ব্যায়াম করা।
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন বা মোটা হন তবে ওজন কমানো আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান করা হৃদরোগ মহিলাদের জন্য বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
- নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, মানসিক চাপ হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
Read More:গর্ভাবস্থা ও ডায়াবেটিস যেসব সতর্কতা আপনার জরুরী
মহিলাদের হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়
কিছু টিপস মেনে চললে মহিলারা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। নিজের প্রতি যত্ন নিন। একটু সাময়িক কষ্ট হলেও নিচের দেওয়া নিয়মগুলো মেনে চলুন-
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান। স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম কম থাকা খাবার খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে .৩০মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন বা মোটা হন, তাহলে স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমান।
- স্ট্রেস পরিচালনা করুন: স্ট্রেস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের মতো স্ট্রেস পরিচালনার কৌশলগুলি অনুশীলন করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম পান: প্রতি রাতে ৭ -৮ ঘন্টা ঘুমান।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান ত্যাগ করা হৃদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
- মদ্যপান সীমিত করুন: যদি আপনি মদ্যপান করেন, তাহলে নারীদের জন্য প্রতিদিন এক বা দুটি পানীয় সীমাবদ্ধ করুন।

অতিরিক্ত টিপস
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঔষধ সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: কিছু ধরণের জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঔষধ রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- নিম্ন-ডোজ অ্যাসপিরিন সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: আপনি যদি হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন তবে আপনার ডাক্তার কম-ডোজ অ্যাসপিরিন নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
হৃদরোগে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট
হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ডায়াগনস্টিকের দরকার হৃদরোগ মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলি জেনে রাখুন।এই প্যাথলজিক্যাল টেস্টগুলির মধ্যে কোনগুলি ডাক্তার দিবে তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর। জেনে নেই সেই প্যাথলজিক্যাল টেস্টগুলি কি কি ?
Read More:বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ
শারীরিক পরীক্ষা
- রক্তচাপ এবং পালস পরীক্ষা: উচ্চ রক্তচাপ এবং দ্রুত পালস হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়।
- শ্বাসযন্ত্রের শব্দ পরীক্ষা: ফুসফুসে তরল জমা হলে ডাক্তাররা স্টিথোস্কোপ ব্যবহার করে শ্বাসযন্ত্রের শব্দ পরীক্ষা করেন।
- হৃদস্পন্দন পরীক্ষা: হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত বহন করে।
প্যাথলজিক্যাল টেস্ট
- ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG ): হৃদস্পন্দনের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করে। এটি হার্ট অ্যাটাকের সময় দেখা যায় এমন অস্বাভাবিকতাগুলি শনাক্ত করতে পারে।
- ট্রোপোনিন পরীক্ষা(Troponin test): হৃদপেশীর ক্ষতির ফলে রক্তে নিঃসৃত প্রোটিন মাত্রা পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার হয়।
- সিবিসি (সম্পূর্ণ রক্ত পরীক্ষা)(CBC test ): রক্তের কোষের সংখ্যা ও অন্যান্য উপাদান পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ের জন্য।
- CXR (চেস্ট এক্স-রে): হৃদয় ও ফুসফুসের ছবি তোলে।এটি ব্যবহার করেম দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যায়
- কার্ডিয়াক এনজাইম পরীক্ষা(Cardiac enzymes): হৃদপেশীর ক্ষতি নির্ণয়ের জন্য রক্তে নির্দিষ্ট এনজাইমের মাত্রা পরিমাপ করার জন্য এই টেস্ট দেওয়া হয়।
- স্ট্রেস পরীক্ষা(Stress test): ব্যায়ামের সময় হৃদয় কীভাবে কাজ করে তা পরীক্ষা করে। এটি একটি ট্রেডমিল বা সাইকেল ব্যবহার করে করা যেতে পারে।
- ইকোকার্ডিওগ্রাম(Echocardiogram): কার্ডিয়াক আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে হৃদয়ের আকার ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে।হৃদরোগ নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতির নাম ইকোকার্ডিওগ্রাম।
- করোনারি অ্যানজিওগ্রাম( Coronary angiogram): হৃদপিণ্ডের রক্তনালীগুলির একটি এক্স-রে। এটি ব্লকেজ বা সংকীর্ণতা সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
- এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং)MRI : হৃদয় ও রক্তনালীগুলির বিস্তারিত চিত্র তৈরি করে।
উপসংহার
সবশেষে বলবো সচেতন হোন। কোন সময় কোন কাজটি করবেন তার একটি ছক একে নিবেন। সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো সাহস। সাহস রাখুন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন। নিজেকে ভালোবাসোন, চারপাশের লোকগুলোকে সচেতন করুন।
‘হৃদরোগ মহিলাদের জন্য লক্ষণগুলি জেনে রাখুন’ নিয়ে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস ছোট্ট লিখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়ে লিখব ইনশাল্লাহ।সাথে থাকবে রোগী লিপি। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Resource:
1. https://www.sciencedirect.com/browse/journals-and-books
2. https://www.bbc.com/bengali/articles/c3g1vxwy0p6o